ঋণ-সীমার সাধারণ সীমাবদ্ধতা
২৬খ। এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন,
(১) কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে প্রদত্ত বা প্রদেয় সকল ঋণ সুবিধার আসল অংকের মোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক রক্ষিত মূলধনের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত হারের অধিক হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সীমা কোন অবস্থাতেই শতকরা ২৫ ভাগের অধিক হইবে না।
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত বা প্রদেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্ণীত বৃহদাংক ঋণের সর্বমোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর মোট ঋণ ও অগ্রিমের সেই শতাংশ অপেক্ষা অধিক হইবে না যাহা এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হইবে।
(৩) সরকারকে অথবা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তার বিপরীতে প্রদত্ত বা প্রদেয় ঋণ কিংবা ১ (এক) বৎসরের চাইতে কম মেয়াদের আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এবং (২) এ বর্ণিত বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) কোন ব্যাংকিং গ্রুপের ক্ষেত্রে এই ধারায় বর্ণিত সীমাসমূহ কোন পদ্ধতিতে প্রয়োগ হইবে তাহা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এই ধারার অধীনে নির্দেশিত হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘গ্রুপ’’ বলিতে কোন ঋণগ্রহীতা এবং তাহার সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অন্য যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাদের একজনের আর্থিক স্বচ্ছলতা অন্যজনের আর্থিক স্বচ্ছলতাকে প্রভাবিত করে, অথবা তাহাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের কারণে একজনের দায় বা সুবিধা অন্যজনের উপর বর্তায়, এইরূপ সকলকে বুঝাইবে।