প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ২২ নং আইন )

1[অনাদায়ী ও কম পরিশোধিত মূল্য সংযোজন করসহ অন্যান্য 2[শুল্ক-কর] আদায়]
৫৫৷ 3[(১) যেক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বা টার্ণওভার কর এর আওতায় তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তির যোগ্য ব্যক্তি, তদকর্তৃক ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত এক বা একাধিক 4[অপরাধ সংঘটনের] কারণে অথবা ভুলবশত: বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে, সরবরাহকৃত পণ্য বা প্রদত্ত সেবার উপর প্রদেয়-
 
 
(ক) মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ধার্য বা পরিশোধ করা হয় নাই,
 
 
(খ) একই কারণে মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ফেরত প্রদান করা হইয়াছে,
 
 
(গ) ধারা ১৩ এর অধীন মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক, আবগারী শুল্ক, অন্যান্য শুল্ক ও কর (আগাম আয়কর ব্যতীত) প্রত্যর্পণ করা হইয়াছে,
 
 
(ঘ) বাংলাদেশে সরবরাহকৃত কোন পণ্য বা সেবার উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের বিপরীতে সমন্বয় করা হইয়াছে,
 
 
সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে তাহার উপর যে তারিখে উক্ত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক প্রদেয় হইয়াছিল বা প্রত্যর্পণ বা ফেরত প্রদান বা সমন্বয় করা হইয়াছিল সেই তারিখ হইতে পাঁচ (৫) বৎসরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা নোটিশ দ্বারা, নোটিশে উল্লিখিত শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর দাবি করিয়া, উহাতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে উক্ত শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর পরিশোধের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন5[:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক), (গ), (চ), (জ), (ঝ), (ট) ও (ঠ) এর অধীন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, বা ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় উল্লিখিত ৫(পাঁচ) বৎসর সময়সীমা প্রযোজ্য হইবে না।]]
 
 
 
(২) আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোন মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, কোন কারণবশতঃ পরিশোধ করা না হইয়া থাকিলে [বা ভুলবশতঃ কম পরিশোধিত] হইয়া থাকিলে বা ফেরত প্রদত্ত হইয়া থাকিলে উহা Customs Act এর Section 32 [এবং section 83A] তে প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী আদায় করা হইবে৷
 
 
6[(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন শুল্ক ও কর প্রদানের জন্য যেই ব্যক্তির নিকট হইতে দাবী করা হয় সেই ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারার অধীন কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যে লিখিতভাবে উক্ত দাবীর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করিলে তাহাকে শুনানীর সুযোগদান করিতে হইবে; অতঃপর উক্ত ব্যক্তির উত্থাপিত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা উক্ত আপত্তি দাখিলের 7[১২০(একশত বিশ) দিনের] মধ্যে বা কোন আপত্তি দাখিল করা না হইলে উক্ত উপ-ধারার অধীন নোটিশ জারীর তারিখের 8[১২০(একশত বিশ) দিনের] মধ্যে নোটিশে দাবীকৃত শুল্ক ও করের পরিমান,প্রয়োজনবোধে, পুনঃনির্ধারণক্রমে চূড়ান্ত করিতে পারিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তি নোটিশে দাবীকৃত বা, ক্ষেত্রমত, পুনঃনির্ধারিত শুল্ক ও কর পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷]
 
 
9[(৪) উপ-ধারা (১) এ অধীন শুল্ক ও কর প্রদানের জন্য যেই ব্যক্তির নিকট হইতে দাবী করা হয়, সেই ব্যক্তি লিখিতভাবে উক্ত দাবীকৃত অর্থ কিস্তিতে পরিশোধের ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে কমিশনার তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও কিস্তিতে উক্ত 10[দাবীকৃত শুল্ক ও কর ] পরিশোধের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
 
তবে শর্ত থাকে যে, কিস্তি প্রদানের সময়সীমা ছয় মাসের অতিরিক্ত হইবে না৷]

  • 1
    উপান্তটীকা অর্থ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 2
    “শুল্ক ও কর” শব্দগুলি “শুল্ক-কর” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    উপ-ধারা (১) অর্থ আইন, ২০১২ এর ৮২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 4
    “অপরাধ সংঘটনের” শব্দগুলি “কার্যক্রম গ্রহণের” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪২ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 5
    কোলন (:) চিহ্নটি দাঁড়ি (।) চিহ্নটির পরিবর্তে সংযোজিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪২ (খ) ধারাবলে সংযোজিত।
  • 6
    উপ-ধারা (৩) অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 7
    ১২০(একশত বিশ) দিনের" সংখ্যাগুলি,শব্দগুলি ও বন্ধনী "নব্বই দিনের" শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ৮৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    ১২০(একশত বিশ) দিনের" সংখ্যাগুলি,শব্দগুলি ও বন্ধনী "নব্বই দিনের" শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ৮৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    উপ-ধারা (৪) অর্থ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৭ নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
  • 10
    “দাবীকৃত শুল্ক ও কর” শব্দগুলি “দাবীকৃত অর্থের মধ্য হইতে অর্থদণ্ড ও জরিমানার অর্থ” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১০ নং আইন) এর৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১ জুলাই ২০০৮ তারিখ হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs