প্রিন্ট ভিউ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন )

এই আইন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

আমানত গ্রহণের রশিদ
১৩৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তির নিকট হইতে আমানত গ্রহণ করিলে ঐ ব্যক্তির অনুকূলে তাত্ক্ষণিকভাবে অর্থ গ্রহণের প্রমাণস্বরূপ রশিদ প্রদান করিবে৷
ঋণ সুবিধা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ
 
 
১৪৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান -
 
 
 
 
(ক) এমন কোন আমানত গ্রহন করিবে না যাহা চেক, ড্রাফট্‌ অথবা আমানতকারীর আদেশের মাধ্যমে চাহিবা মাত্র পরিশোধযোগ্য;
 
 
 
 
(খ) স্বর্ণ অথবা কোন বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করিবে না;
 
 
 
 
(গ) কোন একক ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন অথবা কোম্পানীকে অথবা উক্ত ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন বা কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব আছে এমন কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি, গোষ্ঠীর অনুকূলে উহার মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক বা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সহকারে ১০০ শতাংশের অধিক, ঋণ সুবিধা অনুমোদন করিবে না;
 
 
 
 
(ঘ) উহার মোট ঋণ সুবিধার ৫০ শতাংশ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত শতাংশের অধিক হয় এমন ঋণ মঞ্জুর করিবে না;
 
 
 
 
(ঙ) উহার কোন পরিচালক, যৌথ বা পৃথক যেভাবেই হউক না কেন, এর স্বার্থ রহিয়াছে এমন কোন ফার্মকে জামানতবিহীন আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না যদি সার্বিকভাবে ঐরূপ সুবিধার পরিমাণ উহার পরিশোধিত শেয়ার মূলধন ও রিজার্ভের ১০ শতাংশের বেশী হয়;
 
 
 
 
(চ) দফা (ঙ) তে উল্লিখিতভাবে আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা উক্ত দফায় বিধৃত ব্যক্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টিকে পাঁচ লক্ষ টাকার অধিক প্রদান করিবে না৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “পরিচালক” বলিতে পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, জামাতা,পুত্রবধু, শ্বশুর ও শাশুড়ীকেও বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা ১(ঙ) তে উল্লিখিত “জামানতবিহীন আগাম” “জামানতবিহীন ঋণ” অথবা “জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা” অর্থে কোনরূপ জামানত ও সহায়ক ছাড়াই আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান, এবং জামানত বা সহায়ক সমেত আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে ঋণের যে অংশ জামানত বা সহায়কের বাজার মূল্যের অতিরিক্ত হয় উহাকে বুঝাইবে এবং যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে জামানত বা সহায়কের কোন নির্ধারিত বাজার মূল্য নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কর্তৃক স্থিরকৃত পরিমাণ অর্থকে বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না অথবা উহার নিজস্ব শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধান লংঘনপূর্বক জামানতবিহীন আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের ফলে উদ্ভুত কোন লোকসান হইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল পরিচালক যুগ্মভাবে এবং পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী থাকিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৫৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান একক বা সম্মিলিতভাবে উহার অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনভাবে আমদানী ও রপ্তানী ব্যবসাসহ কোন পাইকারী বা খুচরা ব্যবসায় লিপ্ত হইবে না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনে উল্লেখ করা হইয়াছে এমন ব্যবসা এবং অর্থায়ন ব্যবসা ব্যতীত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অন্য কোন ব্যবসা পরিচালনা করিবে না৷
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৬৷ আর্থিক, বাণিজ্যিক, কৃষি বা শিল্প বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের যে কোন ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারণের লক্ষ্যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার পরিশোধিত মুলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় বা ব্যবহার করিতে পারিবেনা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায়ের স্বার্থে অর্জিত শেয়ার যথাশীঘ্র সম্ভব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিক্রয় করিয়া দিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উহার আবেদন সাপেক্ষে এবং ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের অনধিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উপরিউক্ত ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারণের লক্ষ্যে ব্যয় বা ব্যবহার করা যাইবে৷
অস্থাবর সম্পত্তি ধারণের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ
 
 
 
 
১৭৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করিতে বা অধিকারে রাখিতে পারিবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সুবিধা প্রদানের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অস্থাবর সম্পত্তি এবং উহা কর্তৃক প্রদত্ত অনাদায়ী ঋণ আদায়ের স্বার্থে অর্জিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
কতিপয় বিষয় নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা
 
 
 
 
১৮৷ বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ দ্বারা নিম্্নবর্ণিত বিষয় নির্ধারন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বিভিন্ন শ্রেণীর আমানতের উপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় সুদের সর্বোচ্চ হার,
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীতব্য ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ,
 
 
 
 
(গ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা,
 
 
 
 
(ঘ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন শ্রেনীর ঋণের উপর সুদের সর্বোচ্চ হার এবং উক্ত হার হিসাবায়ন পদ্ধতি,
 
 
 
 
(ঙ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন ব্যক্তির অনুকূলে ঋণ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা,
 
 
 
 
(চ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিতব্য রিজার্ভ,
 
 
 
 
(ছ) জনস্বার্থে বা মুদ্রানীতির উন্নতি বিধানে অন্যান্য বিষয়৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs