প্রিন্ট ভিউ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন )

এই আইন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

পরিদর্শন
২০৷ (১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কমকর্তার দ্বারা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উহার খাতাপত্র ও হিসাব পরিদর্শন করাইতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মর্মে মনে করার কারণ থাকে যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইরূপ ব্যবসায় নিয়োজিত আছে যাহা উহার আমানতকারী ও খাতকের স্বার্থের পরিপন্থী, অথবা উহার সম্পদ জনসাধারণের দায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত, অথবা উহা এই আইনের বিধানের পরিপন্থী কাজ কর্মে লিপ্ত, তাহা হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক, উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খাতাপত্র, হিসাব বই ও অন্যান্য দলিল পরীক্ষা করাইতে পারিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানী আইনের section 144 এর অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক ছাড়াও অন্য যে কোন নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন অথবা তদন্তের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উহার হিসাব বহি, হিসাব ও অন্যান্য দলিলে প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তার সহিত সহযোগিতা করিবে এবং তদন্ত পরিচালনার স্বার্থে যে কোন তথ্য ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ হিসাব বহি, হিসাব ও অন্যান্য দলিল এমন সময় বা স্থানে উপস্থাপন করা যাইবে না যাহা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটাইতে পারে৷
দায় পরিশোধে অক্ষমতা অবহিতকরণ
২১৷ যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই মর্মে সন্দেহ করার কারণ থাকে যে, উহা গ্রাহকগণের দায়-দায়িত্ব মিটাইতে অসমর্থ হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে অথবা যখন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার কোন গ্রাহকের পাওনা স্থগিত করিতে বাধ্য হইতেছে তখনি সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি অবহিত করিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীতব্য ব্যবস্থাদি
 
 
 
 
২২৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ২১ এর বিধান মোতাবেক উহার অক্ষমতার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিলে বা ধারা ২০ এর অধীন পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, বা উহা আর্থিকভাবে দেউলিয়া হইয়া পড়িয়াছে বা দেনা পরিশোধে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রায় অক্ষম হওয়ার পর্যায়ে রহিয়াছে বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহাকে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত ভংগ করিয়াছে বা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বক্তব্য উপস্থাপনে যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর বাংলাদেশ ব্যাংক, আদেশ দ্বারা, নিম্্নবর্ণিত সকল বা যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্যবস্থা মান্য করিতে বাধ্য থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) উহার অর্থায়ণ ব্যবসা সম্পর্কীয় কোন কাজ করিতে বা না করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) উহার ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কোন ব্যক্তিকে উহারই খরচে নিয়োগ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উহার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে অথবা তজ্জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বতঃই বা কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সংশোধন বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে সংশোধন বা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারায় উল্লিখিত কারণে যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের জন্য হাই কোর্ট বিভাগে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব গ্রহণ করিবে সেক্ষেত্রে যতদিন পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক এ মর্মে সন্তুষ্ট না হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে উহার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার আর প্রয়োজন নাই ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক উহাকে নিয়ন্ত্রণে রাখিবে এবং অনুরূপ নিয়ন্ত্রণ বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার সুবিধার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার জন্য নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় পারিশ্রমিক বা তাহার কাজের অন্যান্য শর্তাদি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিবে এবং তজ্জন্য এবং উহার নিয়ন্ত্রণ বাবদ অন্যান্য খরচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বহন করিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs