প্রিন্ট ভিউ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন )

এই আইন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

ব্যাংকের নিকট হিসাব বিবরণী দাখিল
২৩৷ প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণ কোম্পানী আইন মোতাবেক প্রস্তুতকৃত লাভ-ক্ষতির হিসাব ও ব্যালেন্সশীট এর একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷
নিরীক্ষকের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা।
1[২৩ক। ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্ত্ততকৃত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।]
নিরীক্ষক নিয়োগ ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব
২৪৷ (১) কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষক নিয়োগে অসমর্থ হইলে, বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষকের সাথে অপর একজন নিরীক্ষকের কাজ করার প্রয়োজন থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাকে প্রদেয় পারিতোষিকও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
 
 
(৩) যে বত্সরের জন্যে নিরীক্ষক নিযুক্ত হইবেন সেই বত্সরের হিসাব নিরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং তত্ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরী করাই হইবে এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষকের দায়িত্ব৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত দায়িত্ব ছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংক নিরীক্ষকের উপর তত্কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন দায়িত্ব আরোপ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিরীক্ষক অতিরিক্ত পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, ব্যালেন্সশীট ও লাভ-ক্ষতির হিসাবের সাথে সংযোজিত করিতে হইবে এবং উহার একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৬) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের বিধানসমূহ গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হইয়াছে বা পালন করা হয় নাই অথবা প্রতারণা বা অসততার দরুন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে;
 
 
 
 
(খ) লোকসানের দরুন আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মূলধন পঞ্চাশ শতাংশ পরিমাণ নামিয়া গিয়াছে;
 
 
 
 
(গ) পাওনাদারগণের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে; অথবা
 
 
 
 
(ঘ) পাওনাদারগণের পাওনা মিটানোর জন্যে সম্পদ যথেষ্ট কি-না সে ব্যাপারে সন্দেহ রহিয়াছে;
 
 
 
 
তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবেন৷
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইত্যাদির অযোগ্যতা
২৫৷ (১) দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, বা কোন সময় দেউলিয়া ছিলেন, বা পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ বন্ধ করিয়াছেন, বা পাওনাদারের সহিত আপোষ রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন, বা স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হইয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইতে, থাকিতে বা ব্যবস্থাপনার জন্য নিযুক্ত হইতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন বন্ধ ঘোষিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা উহার ব্যবস্থাপনার সহিত সরাসরিভাবে জড়িত কোন ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত হওয়ার মত কোন পদে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না৷
 
 
2[(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা একাধিক ব্যাংক কোম্পানী বা একাধিক সাধারণ বীমা কোম্পানী বা একাধিক জীবন বীমা কোম্পানীর পরিচালক থাকিবেন না৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বীমা কোম্পানী অর্থ Insurance Act, 1938 (IV of 1938) এর section 2 এর clause (8) এ সংজ্ঞায়িত insurance company.]
চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক পর্ষদ অথবা কোন পরিচালকের অপসারণ
২৬৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা উহার আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে, বা জনস্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদেশ প্রদানের পূর্বে যাহার বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে তাহাকে উহার বিরুদ্ধে কারণ প্রদর্শনের জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে৷
 
 

  • 1
    ধারা ২৩ক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬১ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৩) আর্থিক প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs