প্রিন্ট ভিউ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩

( ১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন )

এই আইন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

সাময়িক স্থগিতকরণ, পুনর্গঠন ও একত্রীকরণ
২৭৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আদেশ দ্বারা অনধিক ছয় মাস মেয়াদের জন্য উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত মেয়াদ অনধিক আরো ছয় মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশের মেয়াদ বলবত্ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা আমানতকারীদের স্বার্থে বা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থার স্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের জন্য
 
 
অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারায় হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লিখিত, এর সহিত একত্রীকরণের জন্য স্কীম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপরোল্লিখিত স্কীমে নিম্্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নাম, নিবন্ধীকরণ, মূলধন, সম্পদ, ক্ষমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব, সুবিধা, দায়-দায়িত্ব এবং কর্তব্য;
 
 
 
 
(খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণের ক্ষেত্রে, স্কীমে নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নিকট উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা, সম্পত্তি, সম্পদ এবং দায়ের হস্তান্তর;
 
 
 
 
(গ) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন, বা নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ এবং কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কিভাবে এবং কি শর্তে উক্ত পরিবর্তন করা হইবে সে বিষয়ে, এবং নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগের ক্ষেত্রে, কোন মেয়াদের জন্য নিয়োগ করা হইবে সে বিষয়;
 
 
 
 
(ঘ) মূলধন পরিবর্তনের জন্য বা পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার উদ্দেশ্য পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সংঘ- স্মারক সংশোধন;
 
 
 
 
(ঙ) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সাময়িক স্থগিত রাখার আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গৃহীত যে সকল পদক্ষেপ বা কার্যধারা অনিস্পন্ন ছিল তা পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অব্যাহত রাখার বিষয়;
 
 
 
 
(চ) জনস্বার্থে, অথবা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের স্বার্থে, অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে প্রয়োজন মনে করে সেভাবে উক্ত সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের প্রাক-পুনর্গঠন বা প্রাক-একত্রীকরণ স্বার্থ বা দাবী হ্রাসকরণ;
 
 
 
 
(ছ) আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের দাবী পূরণকল্পে-
 
 
 
 
(অ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ-এর পূর্বে উহাতে বা উহার বিরুদ্ধে তাহাদের স্বার্থ বা অধিকার ভিত্তিতে, উহা নগদ পরিশোধ; বা
 
 
 
 
(আ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা উহার বিরুদ্ধে তাহাদের স্বার্থ বা দাবী দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, হ্রাসকৃত স্বার্থ বা দাবীর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;
 
 
(জ) পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যে পরিমাণ শেয়ার ছিল সে পরিমাণ শেয়ার, বা দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত শেয়ারের ভিত্তিতে প্রদেয় শেয়ার পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে উক্ত সদস্যগণকে বরাদ্দকরণ এবং কোন শেয়ারের পরিবর্তে নগদ দাবী করিলে বা কোন সদস্যকে শেয়ার বরাদ্দ করা সম্ভব না হওয়ার ক্ষেত্রে, তাহাদের পূর্ণ দাবী পূরণকল্পে-
 
 
 
 
(অ) পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে তাহাদের স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ, বা
 
 
 
 
(আ) উক্ত স্বার্থ দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;
 
 
 
 
(ঝ) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী যে বেতনে ও শর্তাধীনে কর্মরত ছিলেন সেই একই বেতনে ও শর্তাধীনে পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার বিষয়:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এই ধারার অধীন স্কীম অনুমোদনের তিন বত্সর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বেই-
 
 
 
 
(অ) পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারীগণের জন্য এইরূপ বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে যা এইরূপ নির্ধারণের সময় উক্ত রূপ সমমর্যদাসম্পন্ন কর্মচারীগণ ভোগ করেন এবং এইরূপ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমতুল্যতা ও কর্মচারীগণের পারস্পরিক সমমর্যাদা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই হইবে চূড়ান্ত;
 
 
 
 
(আ) হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান উহার নিজস্ব কর্মচারীগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সংগে তুলনীয় হইলে পূর্বতন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণের জন্য একই বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে এবং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত দেখা দিলে বিষয়টি, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণের তারিখ হইতে তিন বছর সময় অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঞ) দফা (জ) তে যাহাই থাকুক না কেন, স্কীমে যে সকল কর্মচারীর ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ থাকিবে, বা যে সকল কর্মচারী, সরকার কর্তৃক স্কীম মঞ্জুর হওয়ার এক মাস সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে পুনর্গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসাবে বহাল না হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া নোটিশ প্রদান করিবে, সেই সকল কর্মচারীর ক্ষতিপূরণ, পেনশন, গ্রাচ্যুইটি, ভবিষ্য তহবিল এবং অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা প্রদানের বিষয়;
 
 
(ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন অথবা একত্রীকরণের জন্য অন্য কোন নিয়ম ও শর্তাদি;
 
 
 
 
(ঠ) পুনর্গঠন অথবা একত্রীকরণ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাসংগিক, আনুসাংগিক বা পরিপূরক অন্য কোন বিষয়৷
 
 
 
 
(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত স্কীমের খসড়া কপি, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি বা পরামর্শ প্রদানের আহবান জানাইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আপত্তি ও পরামর্শ বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক খসড়া স্কীমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৫) ও (৬) মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমটি অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে, এবং অনুরূপভাবে অনুমোদিত স্কীমটি, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ হইতে, কার্যকর হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, স্কীমের বিভিন্ন বিধানের প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৮) স্কীম অথবা উহার কোন বিধান কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে নিম্্নবর্ণিত সকলেই উহা মানিতে বাধ্য থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এবং একত্রীকরণের সহিত সম্পর্কিত অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
 
 
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদার;
 
 
 
 
(গ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোন তহবিলের ব্যবস্থাপনার সহিত কোন ট্রাষ্টি বা উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে অধিকার বা দায় রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি৷
 
 
 
 
(৯) স্কীম কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় স্কীমে বিধৃত পরিমাণে হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হইবে৷
 
 
(১০) স্কীমটির বিধান কার্যকর করিতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সরকার, আদেশ দ্বারা, উহার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত কিন্তু উক্ত বিধানের সাথে অসমঞ্জস্য নহে এমন সবকিছু করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১১) এই ধারার অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণ স্কীম অনুমোদিত হইলে, উক্ত স্কীম বা উহার কোন বিধানের অধীনে হস্তান্তর গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান যে ব্যবসা অর্জন করে উহা, স্কীমটি বা উহার বিধান কার্যকর হইবার তারিখ হইতে হস্তান্তর-গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই আইন দ্বারা পরিচালিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত স্কীমকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক সাত বত্সরের জন্য উক্ত আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে উক্ত ব্যবসাকে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১২) ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা স্থগিতকরণ (Moratorium) আদেশ থাকা সত্ত্বেও, একটি মাত্র স্কীমের দ্বারা উক্ত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না৷
 
 
 
 
(১৩) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে বা অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান এবং উহার অধীন প্রস্তুতকৃত যে কোন স্কীম কার্যকর হইবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একীভূত হওয়া
২৮৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে একীভূত হইতে বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শেয়ার অর্জন করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পূর্বানুমোদনের আবেদন বিবেচনার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদনকারীর নিকট যে কোন তথ্য চাহিতে পারিবে এবং আবেদনকারীকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ না দিয়া কোন আবেদন নাকচ করিবে না৷
হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন
২৯৷ কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়;
 
 
(খ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অক্ষম হয়;
 
 
 
 
(গ) উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই আইনের বিধান লংঘন করার দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত হয়৷
 
 

অপরাধ ও শাস্তি

লাইসেন্সবিহীন অর্থায়ন ব্যবসার শাস্তি
৩০৷ কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া অর্থায়ন ব্যবসা করেন বা অর্থায়ন ব্যবসা করার জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাওয়ার পরেও অর্থায়ন ব্যবসা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ২ বত্সরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ৫ এর অধীন তদন্তে সহযোগিতা না করার শাস্তি
৩১৷ (১) ধারা ৫ এর অধীন তদন্তকালে অর্থায়ন ব্যবসায়ে নিয়োজিত সন্দেহভাজন কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোন তথ্য, দলিল, নথিপত্র, বহি, হিসাব ও রেকর্ডপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট পেশ করিতে অস্বীকার করিলে বা তদন্তকাজে অসহযোগিতা করিলে, তিনি অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা অনুর্ধ ১ বত্সরের কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন তথ্য বা রেকর্ডপত্র আদালতে জমাদানের নির্দেশ অমান্য করিলে তিনি উক্ত ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
লাইসেন্সের জন্য ভুল তথ্য প্রদানের শাস্তি
৩২৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্সের জন্য পেশকৃত আবেদনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিলে, তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সরের কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
লাইসেন্সের শর্ত পালন না করার শাস্তি
৩৩৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত পালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট শর্ত পালনে ব্যর্থ হইলে, প্রতিদিনের ব্যর্থতার জন্য ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ৭ এর বিধান ভংগের শাস্তি
৩৪৷ ধারা ৭ এর বিধান ভংগ করিয়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার শাখা খুলিয়া অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করিলে সেই প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনের কার্যক্রমের জন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধারা ১৪ এর বিধান ভংগের শাস্তি
 
 
 
 
৩৫৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ১৪ এর বিধান লংঘন করিয়া ঋণ সুবিধা প্রদান করিলে উহা অনধিক ২০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
তরল সম্পদ সংরক্ষণের ব্যর্থতার শাস্তি
৩৬৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী তরল সম্পদ সংরক্ষণে ব্যর্থ হইলে উহা প্রতিদিনের ঘাটতির এক শতাংশ হারে অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
ধারা ২০ এর অধীন তদন্তকালে হিসাব বহি, ইত্যাদি সরবরাহে ব্যর্থতার শাস্তি
৩৭৷ ধারা ২০ এর অধীন পরিদর্শনকালে যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাব বহি, হিসাব, তথ্য বা প্রয়োজনীয় অন্য কোন দলিল দস্তাবেজ সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বিধি অমান্যের শাস্তি
৩৮৷ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধারা ২২ এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা অমান্য করিলে উহা ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
ধারা ২৫ মোতাবেক অযোগ্য ব্যক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পৃক্ত থাকার শাস্তি
৩৯৷ কোন ব্যক্তি ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুযায়ী অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও উহাদের বিধান লংঘন করিয়া যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পৃক্ত থাকেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সর কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং কোন ব্যক্তি উক্ত ধারার উপ-ধারা (৩) এর বিধান লংঘন করিয়া যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন, তাহা হইলে তিনি ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে মিথ্যা পরিচয়দানের শাস্তি
৪০৷ কোন প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া লাইসেন্সধারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচয় প্রদান করিয়া যদি কার্য পরিচালনা করে, তাহা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক, অংশীদার পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট প্রত্যেকেই অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সর কারাদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন, বা তিনি উক্তরূপ লংঘনের সহিত কোনভাবে জড়িত নন৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বহি, ইত্যাদিতে মিথ্যা সংযোজনের শাস্তি
৪১৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক, নিরীক্ষক, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাব বহি, হিসাব, প্রতিবেদন, ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজ, বা অন্যান্য দলিলে, অতঃপর উক্ত দলিল বলিয়া উল্লিখিত, মিথ্যা কিছু সংযোজন করেন বা করিতে সাহায্য করেন বা উক্ত দলিলের কিছু গোপন বা নষ্ট করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা অনুর্ধ ৩ বত্সরের কারাদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা অন্যান্য দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, অথবা অনুরূপ কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই এই রকম অপরাধের শাস্তি
৪২৷ কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করেন বা করিতে বিরত থাকেন যাহা এই আইনের কোন বিধান বা বিধানের অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করার সামিল এবং তজ্জন্য এই আইনে কোন স্বতন্ত্র দণ্ডের ব্যবস্থা নাই, তাহা হইলে তিনি অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষমতা
৪৩৷ (১) ধারা ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯ এবং ৪২ এর অধীন কোন ব্যক্তি দণ্ডনীয় অপরাধ করিলে, তাহার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে কোন অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শাইতে সুযোগ দিতে পারিবে এবং তাহার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি কোন ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ অংকের অনধিক যে কোন অংকের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অর্থদণ্ড আরোপ করার ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উহা পরিশোধ করিলে তাহার বিরুদ্ধে তত্কর্তৃক কৃত অপরাধের জন্য আর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না; কিন্তু যদি তিনি উক্তরূপ সময়সীমার মধ্যে দণ্ডিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিবে৷
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs