৪৪৷ (১) সেসনস্ আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালতে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচার করা যাইবে না৷
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উহার কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করা যাইবে না৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ
৪৫৷ (১) এই আইনের অধীন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদানের সাথে সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করিবে৷
(২) প্রতি বত্সর জুলাই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা সরকারের নিকট সরবরাহ করিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংঘ-স্মারক পরিবর্তন
৪৬৷ (১) কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন আপত্তি নাই এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংঘ-স্মারক পরিবর্তনের কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
(২) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উহা লংঘনের তারিখ হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
৪৭৷ এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কিছুর জন্য বা সরল বিশ্বাসে কোন কিছু সম্পাদন করিবার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বা সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷
কতিপয় ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা
৪৮৷ বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষণা করিতে পারে যে, এই আইনের সকল বা কোন বিশেষ বিধান, কোন নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত কোন মেয়াদকালে প্রযোজ্য হইবে না৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরিউক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ প্রবিধান দ্বারা-
(ক) এই আইনের অধীন নির্ধারণ করা যায় এমন ফিস নির্ধারণ করিতে পারিবে;