ঋণ সুবিধা, ইত্যাদি সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ
১৪৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান -
(ক) এমন কোন আমানত গ্রহন করিবে না যাহা চেক, ড্রাফট্ অথবা আমানতকারীর আদেশের মাধ্যমে চাহিবা মাত্র পরিশোধযোগ্য;
(খ) স্বর্ণ অথবা কোন বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করিবে না;
(গ) কোন একক ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন অথবা কোম্পানীকে অথবা উক্ত ব্যক্তি, ফার্ম, কর্পোরেশন বা কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব আছে এমন কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি, গোষ্ঠীর অনুকূলে উহার মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক বা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সহকারে ১০০ শতাংশের অধিক, ঋণ সুবিধা অনুমোদন করিবে না;
(ঘ) উহার মোট ঋণ সুবিধার ৫০ শতাংশ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত শতাংশের অধিক হয় এমন ঋণ মঞ্জুর করিবে না;
(ঙ) উহার কোন পরিচালক, যৌথ বা পৃথক যেভাবেই হউক না কেন, এর স্বার্থ রহিয়াছে এমন কোন ফার্মকে জামানতবিহীন আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না যদি সার্বিকভাবে ঐরূপ সুবিধার পরিমাণ উহার পরিশোধিত শেয়ার মূলধন ও রিজার্ভের ১০ শতাংশের বেশী হয়;
(চ) দফা (ঙ) তে উল্লিখিতভাবে আগাম, ঋণ বা ঋণ সুবিধা উক্ত দফায় বিধৃত ব্যক্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টিকে পাঁচ লক্ষ টাকার অধিক প্রদান করিবে না৷
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “পরিচালক” বলিতে পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, জামাতা,পুত্রবধু, শ্বশুর ও শাশুড়ীকেও বুঝাইবে৷
(২) উপ-ধারা ১(ঙ) তে উল্লিখিত “জামানতবিহীন আগাম” “জামানতবিহীন ঋণ” অথবা “জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা” অর্থে কোনরূপ জামানত ও সহায়ক ছাড়াই আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদান, এবং জামানত বা সহায়ক সমেত আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে ঋণের যে অংশ জামানত বা সহায়কের বাজার মূল্যের অতিরিক্ত হয় উহাকে বুঝাইবে এবং যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে জামানত বা সহায়কের কোন নির্ধারিত বাজার মূল্য নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কর্তৃক স্থিরকৃত পরিমাণ অর্থকে বুঝাইবে৷
(৩) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না অথবা উহার নিজস্ব শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না৷
(৪) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধান লংঘনপূর্বক জামানতবিহীন আগাম ঋণ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের ফলে উদ্ভুত কোন লোকসান হইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল পরিচালক যুগ্মভাবে এবং পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী থাকিবে৷