প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কোম্পানী আইন, ১৯৯৪

( ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন )

আদালতের সাধারণ (Ordinary) ক্ষমতা

কোম্পানীর সম্পত্তির দখলদার হিসাবে সন্দেহভাজন ও অন্যান্য ব্যক্তির উপর সমনজারীর ক্ষমতা

২৭৮৷ (১) কোম্পানীর অবলুপ্তির আদেশদানের পর, যদি উহার কোন কর্মকর্তা কিংবা অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার নিকট কোম্পানীর কোন সম্পদ আছে বলিয়া জানা যায় বা সন্দেহ হয় অথবা যিনি কোম্পানীর নিকট ঋণী আছেন বলিয়া বিবেচনা করা যায় কিংবা যিনি কোম্পানীর ব্যবসা, লেন-দেন, সম্পত্তি বা অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে সক্ষম বলিয়া বিবেচিত হন, তবে আদালত সেই ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার জন্য সমনজারী করিতে পারিবে৷

 
 

(২) আদালত উক্ত ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করাইয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে এবং তাহার জবাব সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করিয়া উহাতে স্বাক্ষরদানের জন্য তাহাকে নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

 
 
 

(৩) উক্ত ব্যক্তির হেফাজতে বা ক্ষমতাধীনে কোম্পানী সংক্রান্ত যে সব নথিপত্র আছে তাহা উপস্থাপনের জন্য আদালত তাহাকে নির্দেশ দিতে পারিবে, তবে তিনি উপস্থাপিত নথিপত্রের উপর নিজের কোন পূর্বস্বত্ব (Lien) দাবী করিলে অনুরূপ উপস্থাপনের কারণে উক্ত পূর্বস্বত্ব ক্ষুণ্ন হইবে না এবং কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উক্ত পূর্বস্বত্ব সংক্রান্ত সকল বিষয়ও আদালত নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন৷

 

(৪) সমনকৃত কোন ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত হারে রাহা খরচ প্রদানের প্রস্তাব করার পরও যদি তিনি আদালতে হাজির হইতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে আদালত তাহাকে গ্রেপ্তার করাইয়া হাজির করাইবার ব্যবস্থা করাইতে পারিবে, যদি না আদালতে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে তাহার আইনগত প্রতিবন্ধকতা থাকে এবং আদালত চলাকালে উক্ত প্রতিবন্ধকতার বিষয় আদালতকে অবহিত করার পর আদালত হাজির না হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করে৷


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs