প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কোম্পানী আইন, ১৯৯৪

( ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন )

পরিপূরক বিধানসমূহ

কতিপয় সম্পদের দাবী পরিত্যাগ

৩২৬৷ (১) অবলুপ্তির কার্যক্রম চলিতেছে এমন কোন কোম্পানীর সম্পদের কোন অংশের মধ্যে যদি দূর্বহ চুক্তির (onerous covenants) ফলে ভারাক্রান্ত যে কোন ধরনের জমি অথবা অন্য কোম্পানীর কোন শেয়ার বা ষ্টক অথবা কোন অলাভজনক চুক্তি থাকে, অথবা যদি অন্য এইরূপ সম্পত্তি থাকে যাহার ব্যাপারে উহার দখলদারের সহিত কোন চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এমন কোন দূর্বহ কাজ করিতে হইবে অথবা এমন অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে, যে কারণে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়যোগ্য নহে কিংবা সহজে বিক্রয়যোগ্য নহে, তাহা হইলে কোম্পানীর লিকুইডেটর উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করার চেষ্টা অথবা নিজ দখলে আনিয়া উহার মালিক হিসাবে কোন কার্য করিয়া থাকিলেও তিনি, আদালতের অনুমতি লইয়া এবং এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার পর বার মাস কিংবা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, নিজ স্বাক্ষরে লিখিতভাবে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিতে পারিবেন :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, অবলুপ্তি আরম্ভ হইবার এক মাসের মধ্যে ঐরূপ কোন সম্পত্তি সম্পর্কে লিকুইডেটর জ্ঞাত না হইলে, তিনি ঐ সম্পত্তি সন্বন্ধে জ্ঞাত হইবার বার মাস অথবা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে এই ধারার অধীনে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

 
 

(২) এই ধারা অধীনে কোন সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ সেই তারিখ হইতে কার্যকর হইবে যে তারিখে কোম্পানীর অধিকার, স্বার্থ, দায়-দেনা বা অন্য সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করা হইয়াছে; কিন্তু উক্ত পরিত্যাগ, কোম্পানীকে বা কোম্পানীর সম্পত্তিকে দায়মুক্ত করার জন্য যতটুকু প্রযোজ্য ততটুকু ব্যতীত, পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে অন্য কোন ব্যক্তির অধিকার বা দায়-দেনা ক্ষুণ্ন করিবে না৷

 
 

(৩) আদালত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিবার অনুমতি দানকালে বা উহার পূর্বে উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এইরূপ নোটিশ দিবার নির্দেশ দিতে পারে এবং সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগের অনুমতিদানের ব্যাপারে এইরূপ শর্ত আরোপ করিতে এবং এইরূপ অন্য কোন আদেশ প্রদান করিতে পারে, যাহা আদালত ন্যায়সংগত বলিয়া মনে করে৷

 
 

(৪) যদি কোন সম্পত্তিতে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লিকুইডেটরের নিকট আবেদন করেন যে, উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করা হইবে কি না তাহা স্থির করা হউক এবং যদি আবেদন প্রাপ্তির ত্রিশ দিন বা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে লিকুইডেটর আবেদনকারীকে এই মর্মে নোটিশ না দেন যে, তিনি সম্পত্তিটির দাবী পরিত্যাগের জন্য আদালতে আবেদন করিবেন, তাহা হইলে লিকুইডেটর এই ধারার অধীনে উক্ত সম্পত্তির দাবী পরিত্যাগ করিতে পারিবেন না; এবং কোন চুক্তির ক্ষেত্রে লিকুইডেটর যদি এইরূপ আবেদন দাখিলের পর উপরোল্লিখিত সময়ের মধ্যে বা বর্ধিত সময়ের মধ্যে চুক্তিটির ব্যাপারে দাবী পরিত্যাগ না করেন, তবে কোম্পানী তাহা গ্রহণ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

 
 

(৫) যদি কোন ব্যক্তি কোম্পানীর সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তির সূত্রে লিকুইডেটরের নিকট হইতে কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হন বা উক্ত চুক্তি অনুযায়ী লিকুইডেটরের প্রতি তাহার কোন দায়-দায়িত্ব থাকে, তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে চুক্তিটি এই শর্তে বাতিলের আদেশ দিতে পারিবে যে, সংশ্লিষ্ট যে কোন পক্ষ কর্তৃক চুক্তি পালন না করায় ক্ষতিপূরণ দিতে বা লইতে হইবে অথবা আদালত যথাযথ মনে করিলে অন্য কোন আদেশও দিতে পারিবে; এবং আদালতের উক্ত আদেশবলে এইরূপ ব্যক্তিকে প্রদেয় কোন ক্ষতিপূরণ কোম্পানীর অবলুপ্তির সময় উহার ঋণ হিসাবে প্রমাণে ব্যবহার করা যাইবে৷

 
 

(৬) যদি কোন ব্যক্তি এমন আবেদন করেন যে, দাবী পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ আছে কিংবা উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে তিনি এইরূপ দায়গ্রস্ত আছেন যাহা এই আইনের অধীনে নিষ্পত্তি হয় নাই, তাহা হইলে আদালত তাহার এবং প্রয়োজন মনে করিলে অন্যান্য ব্যক্তির শুনানী গ্রহণ শেষে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা বা দখল পাইবার অধিকারী ব্যক্তির মালিকানায় বা দখলে উহা ন্যস্ত করার আদেশ দিতে পারে কিংবা উপরোক্ত দাবী বাবদ ক্ষতিপূরণ হিসাবে যাহার নিকট ন্যস্ত করা ন্যায়সংগত বিবেচিত হয় তাহার নিকট কিংবা তাহার ট্রাষ্টির নিকট উক্ত সম্পত্তি আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে, হস্তান্তর বা ন্যস্ত করার আদেশ দিতে পারে; এবং উক্তরূপে কোন সম্পত্তি ন্যস্তকরণের আদেশ প্রদত্ত হইলে কোন হস্তান্তর বা স্বত্ব নিয়োগের দলিল ব্যতিরেকেই আদেশে বর্ণিত সম্পত্তি উক্ত ব্যক্তির নিকট ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, দাবী পরিত্যক্ত সম্পত্তি যদি ইজারাধীন সম্পত্তি হয়, তবে আদালত, কোম্পানীর অধীনে উপ-ইজারা স্বত্ববলে (Under lessee) বা বন্ধকী স্বত্ববলে দাবীদার কোন ব্যক্তির অনুকূলে উক্ত সম্পত্তি ন্যস্ত হওয়ার আদেশদান করিবে না, যদি না নিম্নরূপ শর্ত আরোপ করা হয়, যথা :-

 
 

(ক) অবলুপ্তি আরম্ভ হওয়ার তারিখে উক্ত সম্পত্তির ইজারা বা বন্ধকের ব্যাপারে কোম্পানীর যে সকল দায়-দায়িত্ব ছিল উক্ত ব্যক্তিরও সেই সকল দায়-দায়িত্ব থাকিবে; অথবা

 
 

(খ) আদালত যদি উপযুক্ত মনে করে তবে, উক্ত তারিখে উক্ত ইজারা সম্পর্কে কোম্পানীর যে সকল দায়-দায়িত্ব ছিল সেই একই দায়-দায়িত্ব সাপেক্ষে ইজারা উক্ত ব্যক্তির নিকট সেই তারিখেই হস্তান্তর করা হইয়াছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উপরোক্ত যে কোন শর্ত আরোপের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তবে এমনও গণ্য করা যাইবে যে, ইজারাটি শুধুমাত্র ন্যস্ত্মকারী আদেশে উল্লিখিত সম্পত্তি সম্বলিত; এবং কোন উপ-ইজারাদার বা বন্ধকগ্রহীতা উপরোক্ত শর্তে উক্ত আদেশ গ্রহণে অসম্মত হইলে, তিনি উক্ত সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ বা সংশ্লিষ্ট জামানত সম্পর্কিত সকল অধিকার হারাইবেন; এবং যদি উপরোক্ত শর্ত সম্বলিত আদেশ গ্রহণ করিতে কোম্পানীর অধীনে দাবীদার ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি না পাওয়া যায় তাহা হইলে আদালত অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে বা অন্য কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে উক্ত সম্পত্তিতে কোম্পানীর সকল স্বার্থ ন্যস্ত করিতে পারিবে; এবং তাহা করা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর কোম্পানী কর্তৃক সৃষ্ট দায়-দায়িত্ব, স্বার্থ ও ঋণ হইতে মুক্ত অবস্থায় তিনি এককভাবে বা ক্ষেত্রমত কোম্পানীর সহিত যৌথভাবে ইজারার মূল চুক্তি পালন করিবেন৷

 
 

(৭) এই ধারার অধীনে দাবী পরিত্যাগ কার্যকর হওয়ার ফলে কোন ব্যক্তির স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইলে, তিনি  ক্ষুণ্ন হওয়া স্বার্থের সমপরিমাণ অর্থের জন্য কোম্পানীর পাওনাদার বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তদনুযায়ী উক্ত অর্থ অবলুপ্তির সংক্রান্ত একটি পাওনা হিসাবে প্রমাণ করিতে পারিবেন৷


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs