প্রিন্ট ভিউ

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

আদালতের গঠন, ক্ষমতা ও পদ্ধতি

দেউলিয়া বিষয়ক আদালত
৪৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জেলা আদালত হইতে এই আইনের অধীন এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন আদালত এবং উক্ত আদালতের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় এই আইনের অধীন উদ্ভূত কার্যধারাসমূহের বিচার ও নিষ্পত্তিকারী বিচারক হইবেন জেলাজজ৷
 
 
 
 
(২) জেলাজজ তাঁহার জজশীপে কর্মরত যেকোন অতিরিক্ত জেলাজজকে এই আইনের অধীন কার্যধারার বিচার ও নিষ্পত্তি করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এ উল্লিখিত জজের আদালত, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেউলিয়া বিষয়ক আদালত বলিয়া অভিহিত হইবে৷
দেউলিয়া বিষয়ক সকল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদালতের ক্ষমতা
৫৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, দেউলিয়া বিষয়ক কোন কার্যধারায় উত্থাপিত যেকোন ধরনের প্রশ্ন, স্বত্ব বা অগ্রাধিকার সংক্রান্তই হউক অথবা আইনগত বা ঘটনাগত বা অন্য যে কোন ধরনের হউক না কেন, যাহা আদালতের গোচরীভূত হয় বা যাহা উক্ত মামলার পূর্ণাঙ্গ ন্যায় বিচার বা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির পূর্ণাঙ্গ বণ্টনের উদ্দেশ্যে নিষ্পত্তি করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া আদালত মনে করে সেইরূপ সকল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ ক্ষমতা আদালতের থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, আদালতের প্রত্যেক সিদ্ধান্ত, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, একদিকে দেনাদার তথা তাহার বণ্টনযোগ্য সম্পদ (Estate) এবং অপরদিকে তাহার বিরুদ্ধে বা বণ্টনযোগ্য সম্পদের উপর দাবী উত্থাপনকারী সকল ব্যক্তি বা এইরূপ ব্যক্তিগণের এক বা একাধিকের মাধ্যমে বা অধীনে দাবী উত্থাপনকারী সকল ব্যক্তির মধ্যে সকল বিষয়ে চূড়ান্ত হইবে এবং তদনুসারে তাহাদের সকলের উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷
 
 
 
 
(৩) যেক্ষেত্রে আদালত মনে করে যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদান করা সমীচীন বা প্রয়োজনীয় নহে কিন্তু কোন সম্পত্তিতে দেনাদারের বিক্রয়যোগ্য স্বার্থ রহিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ আছে, সেইক্ষেত্রে, অধিকতর তদন্ত ব্যতিরেকে আদালত উক্ত স্বার্থ, উহার মতে উপযুক্ত পদ্ধতি ও শর্তাধীনে, বিক্রয় করিতে পারিবে৷
আদালতের সাধারণ ক্ষমতা
৬৷ আদালত উহার আদি দেওয়ানী এখ্‌তিয়ার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে, সেই একইরূপ ক্ষমতা এই আইনের অধীন যেকোন কার্যধারার ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
আদালতের বিশেষ ক্ষমতা
৭৷ (১) যেক্ষেত্রে আদালত প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে বা এই আইনের অধীনে অর্পিত ক্ষমতাবলে রিসিভার বা আদালতের অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা নির্দেশ পালনে কোন দেনাদার বা অন্য কোন ব্যক্তি ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে আদালত, নিজ উদ্যোগে বা রিসিভার বা উক্ত অন্য কর্মকর্তার আবেদনক্রমে, উক্ত ব্যর্থ দেনাদার বা ব্যর্থ ব্যক্তিকে উক্ত আদেশ বা নির্দেশ পালনের আদেশ দিতে পারিবে, অথবা সংগত কারণ থাকিলে উক্ত ব্যর্থ দেনাদার বা ব্যর্থ ব্যক্তিকে আদালত নির্ধারিত মেয়াদের জন্য ও শর্তাধীনে দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করিবার আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে উক্ত ব্যর্থতার ব্যাপারে কোন ব্যক্তির অন্য কোন অধিকার বা প্রতিকার ক্ষুণ্ন হইবেনা, বরং উক্ত ক্ষমতা উক্তরূপ অধিকার বা প্রতিকারের অতিরিক্ত গণ্য হইবেন৷
আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি
৮৷ (১) এই আইনের দ্বারা বা অধীনে ভিন্নরূপ কোন স্পষ্ট বিধান করা না হইলে, দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১১ এর বিধান ব্যতীত অন্য কোন বিধান আদালতের কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন সকল কার্যধারায় আদালত এই আইন এবং বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs