প্রিন্ট ভিউ

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

সপ্তম অধ্যায়

অপরাধ ও দন্ডসমূহ

দেনাদারের অপরাধ ও উহাদের দণ্ড
৮৪৷ (১) এই আইনের অধীনে কোন দেনাদার দেউলিয়া হইলে বা তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করা হইলে, তাহার নিম্্নবর্ণিত প্রতিটি কাজ অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকিলে উহার স্বাভাবিক খরচ এবং তাহার পরিবারের স্বাভাবিক ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজনে হস্তান্তরিত সম্পত্তি ব্যতীত, তাহার অন্যান্য সকল সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ-বিশেষ কিভাবে, কাহার নিকট, কি পণের বিনিময়ে এবং কোন সময়ে হস্তান্তর করা হইয়াছে, তত্সম্পর্কিত তথ্য তিনি যদি, তাহার জানামতে বা বিশ্বাসমতে, সম্পূর্ণভাবে ও বিশ্বস্ততার সহিত রিসিভারের নিকট প্রকাশ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য প্রকাশ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(খ) তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তির যে সকল অংশ রিসিভারের নিকট অর্পণ করিতে আইন অনুসারে দেনাদার বাধ্য, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক তিনি যদি তাহা অর্পণ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের সম্পত্তি ও বিষয়াদি সম্পর্কিত যে সকল হিসাব-বহি ও অন্যান্য দলিল-পত্র তাহার হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে আছে তাহা যদি তিনি, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক, রিসিভারের নিকট অর্পণ না করেন :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঘ) কোন আর্জি দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়ার পর যদি তিনি তাহার কোন দেনা বা পাওনা অথবা ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি গোপন করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক তিনি প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে গোপন করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঙ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যেকোন সময় বা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদধিক মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি প্রতারণামূলকভাবে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে সরাইয়া থাকেন;
 
 
 
 
(চ) যদি দেনাদার তাহার বিষয়াদি সম্পর্কিত কোন বিবরণীতে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতে সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ উল্লেখ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ছ) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন ভূয়া দেনা প্রমাণিত হইয়াছে মর্মে দেনাদারের জানা বা বিশ্বাস থাকা বা অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি উক্ত প্রমাণের পরবর্তী ১ (এক) মাসের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে রিসিভারকে অবহিত না করেন;
 
 
 
 
(জ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময় তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব বহি বা অন্যান্য দলিল উপস্থাপনে যদি তিনি বাধা প্রদান করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ বাধা প্রদান কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঝ) দেনাদার কর্তৃক বা তাঁহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিল গোপন করেন, ধ্বংস করেন, বিকৃত করেন বা ভূয়া প্রতিপন্ন করেন, অথবা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত (privy) থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন কিছু গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কোন কাজ অথবা উহাতে তাহার জড়িত থাকা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঞ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিলে কোন ভূয়া তথ্য লিপিবদ্ধ করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন তথ্য গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য লিপিবদ্ধকরণ কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ট) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন দলিল প্রতারণামূলকভাবে হাত ছাড়া করেন বা উহাতে কোন পরিবর্তন করেন বা উহাতে কোন কিছু উল্লেখ না করেন বা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত থাকেন;
 
 
 
 
(ঠ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহতি পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, তাহার পাওনাদারগণের নিকট প্রেরিত কোন লিখিত বা মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি তিনি কাল্পনিক ক্ষতি বা খরচ দেখাইয়া তাহার দেনা বা সম্পত্তি বাবদ কোন হিসাব প্রদানের অপচেষ্টা করেন;
 
 
 
 
(ড) একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া হওয়া সত্ত্বেও-
 
 
 
 
(অ) তাহার দায়গ্রস্ত দেউলিয়া থাকার বিষয়টি প্রকাশ না করিয়া যদি তিনি কোন ব্যক্তির নিকট এককভাবে বা অন্য কাহারও সহিত যৌথভাবে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ পরিমাণের কোন ঋণ গ্রহণ করেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) যে নামে তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন সেই নাম ব্যতীত যদি অন্য কোন নামে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এবং যাহাদের সহিত ব্যবসায়িক লেন-দেন করেন তাহাদের সকলের নিকট দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত তাহার নামটি প্রকাশ না করেন;
 
 
 
 
(ঢ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি তাহার মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কোন আর্থিক বিবরণ প্রস্তুত বা দস্তখত বা সরবরাহ বা অন্যবিধ প্রতারণামূলক কোন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনার মাধ্যমে কোন সম্পত্তি বা ঋণ অর্জন করিয়া থাকেন এবং যাহার নিকট উক্তরূপে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হইয়াছিল সেই পাওনাদারের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ না করিয়া থাকেন;
 
 
 
 
(ণ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা লেন-দেন করার মিথ্যা ভান করিয়া ধারে কোন সম্পত্তি অর্জন করিয়া থাকেন এবং যে পাওনাদার মূলতঃ তাহার উক্ত ভান দ্বারা প্রভাবিত হইয়াছিলেন তাহার পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ মিথ্যা ভান করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ত) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং যে সম্পত্তি তিনি ধারে অর্জন করিয়াছেন অথচ উহার মূল্য সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন নাই, সেই সম্পত্তি যদি তিনি বন্ধক দেন বা অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করিয়া থাকেন; বা ব্যবসার স্বাভাবিক গতি বহির্ভূত পরিমাণে বা সাধারণ লেন-দেনকারী পক্ষ বহির্ভূত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, কাহাকেও প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কাজ অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(থ) তাহার বিষয়াদি বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ব্যাপারে তাহার কোন পাওনাদারের সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে যদি তিনি কোন তথ্যের মিথ্যা উপস্থাপনা বা তদুদ্দেশ্যে অন্যবিধ প্রতারণা করেন;
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ধারা ৪৬(৯) এ উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থাপকের কার্যকলাপ দেনাদারের কার্যকলাপ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি উক্ত কার্যকলাপ রিসিভারের নির্দেশে সম্পাদিত না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(২) যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন দেনাদার কোন সম্পত্তি ধারে অর্জন করিয়া এবং উহার মূল্য পরিশোধ না করিয়া বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন, এবং
 
 
 
 
(খ) তিনি উক্তরূপে প্রেরিত সম্পত্তি বাবদ তত্কর্তৃক প্রাপ্ত পণ্যের হিসাব প্রদান করিতে ব্যর্থ হন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, দেনাদার তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি বা নিয়ম বহির্ভূতভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রেরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি ইহার বিপরীত প্রমাণিত না হয়৷
 
 
 
 
(৩) যদি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার এমন পরিস্থিততে কোন সম্পত্তি বন্ধকে রাখেন বা উহাকে অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করেন যে তাঁহার উক্ত কাজ উপ-ধারা (১)(ত) এর অধীন একটি অপরাধ হয়, এবং
 
 
 
 
(খ) অপর কোন ব্যক্তির উক্তরূপ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে উক্ত অপর ব্যক্তিকেও দেনাদারের ন্যায়, উক্ত উপ-ধারার অধীন একই অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তদনুসারে তিনিও একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
যথাযথ হিসাব-বহি সংরক্ষণ না করার দণ্ড
৮৫৷ (১) কোন দেউলিয়া অনধিক ২ (দুই) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি তিনি, আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ২ (দুই) বত্সরের মধ্যে কোন সময় কোন ব্যবসা-বাণিজ্য করা সত্ত্বেও, উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের যথাযথ হিসাব-বহি না রাখিয়া থাকেন অথবা সংশ্লিষ্ট সকল হিসাব-বহি সংরক্ষণ না করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত দেউলিয়াকে এই উপ-ধারার অধীনে কোন অপরাধ করেন নাই বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের তারিখে তাহার জামানতবিহীন দায়-দেনার পরিমাণ ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকার বেশী না হয়, অথবা
 
 
 
 
(খ) তিনি প্রমাণ করেন যে, তিনি তাহার ব্যবসা-বাণিজ্য এইরূপ পরিস্থিততে পরিচালনা করিয়াছেন যে, তাহার উক্তরূপ ব্যর্থতা কোন অসত্-উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল না অথবা উক্ত ব্যর্থতা উপেক্ষণীয়৷
 
 
 
 
(২) আদালতের অনুমতি ব্যতীত এই ধারার অধীনে দেউলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিয়া কোন কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যক্তিকে যথাযথ হিসাব-বহি রাখেন নাই বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি তিনি-
 
 
 
 
(ক) তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে প্রতিদিন প্রাপ্ত ও পরিশোধিত নগদ অর্থের বিস্তারিত ও পর্যাপ্ত হিসাব-বহিসহ তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের লেন-দেন এবং আর্থিক অবস্থা প্রদর্শনকারী বা ব্যাখ্যামূলক প্রয়োজনীয় হিসাব-বহি রাখিয়া না থাকেন;
 
 
 
 
(খ) তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে কোন পণ্য লেন-দেন করা সত্ত্বেও উক্ত পণ্য মজুতকরণের বিবরণ না রাখিয়া থাকেন; এবং
 
 
 
 
(গ) প্রকৃত ভোক্তাদের নিকট কোন খুচরা পণ্য বিক্রয় করিয়া থাকিলে উক্ত পণ্য ব্যতীত, যে সকল পণ্য কেনা-বেচা করিয়াছেন সেই সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাগণকে চিহ্নিত করিবার জন্য পর্যাপ্ত ও বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করতঃ উহা রক্ষণ না করিয়া থাকেন৷
দায়িত্বহীনভাবে ঋণ গ্রহণ
৮৬৷ একজন দেউলিয়া অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি তিনি, আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, এমন কোন দেনা করিয়া থাকেন যাহা পরিশোধ করার জন্য যুক্তিসংগত প্রত্যাশা করার মত অবস্থা তাহার ছিল না৷
দেনাদারের বাংলাদেশ ত্যাগ
৮৭৷ যদি কোন দেনাদার-
 
 
 
 
(ক) আর্জি দাখিল হওয়ার পরবর্তী কোন সময়ে, আদালতের অনুমতি ব্যতীত, বাংলাদেশ ত্যাগ করেন; অথবা
 
 
 
 
(খ) উক্ত দরখাস্ত দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং উক্তরূপ দাখিলের পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ফিরিয়া না আসেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার পাওনাদারগণকে প্রতারিত বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন নাই, তাহা হইলে উক্তরূপ বাংলাদেশ ত্যাগ কোন অপরাধ হইবে না৷
দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার অপরাধ
৮৮৷ একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়ার নিম্্নবর্ণিত যে কোন কাজ অপরাধ হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) তাহার কোন পাওনাদারকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে যদি তিনি তাহার কোন সম্পত্তি দান, অর্পণ বা অন্যবিধভাবে হস্তান্তর করিয়া বা করাইয়া থাকেন, অথবা তাহার কোন সম্পত্তির উপর চার্জ সৃষ্টি করিয়া বা করাইয়া থাকেন, অথবা তাহার সম্পত্তিকে অন্য কোনভাবে দায়গ্রস্ত বা কর আরোপযোগ্য করিয়া বা করাইয়া থাকেন;
 
 
 
 
(খ) কোন পাওনাদারকে প্রতারিত করিবার উদ্দেশ্যে যদি তিনি তাহার বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশ অনুসারে অর্থ পরিশোধের পূর্বে কোন সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ লুকাইয়া বা সরাইয়া থাকেন৷
কতিপয় অপরাধের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি
৮৯৷ যদি কোন ক্ষেত্রে আদালতের বিবেচনামতে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক তদন্তের পর, উহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন দেউলিয়া ধারা ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭ বা ৮৮-এর অধীন অপরাধ করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত সেইমর্মে উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিতে এবং এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযোগ করিতে পারে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক অভিযোগটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷
দায়মুক্তি ইত্যাদির কারণে ফৌজদারী মামলা হইতে দেনাদার অব্যাহতিপ্রাপ্ত নহেন
৯০৷ দেনাদারকে দায়মুক্তি করিয়া বা তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে কোন আপোষ-মিমাংসা গ্রহণ করিয়া বা তাহার বিষয়াদির পুনর্বিন্যাস বা পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করিয়া আদালত কোন আদেশ প্রদান করা সত্ত্বেও, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংগঠনের দায়ে অভিযুক্ত হইলে উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে গৃহীত কার্যধারা হইতে তিনি অব্যাহতি লাভ করিবেন না৷
পাওনাদার ইত্যাদির অপরাধ
৯১৷ (১) এই ধারার অধীন কোন কার্যধারায়, কোন পাওনাদার যদি এমন কোন দাবী উত্থাপন, ঘোষণা বা হিসাব প্রদান করেন যাহার গুরুত্বপূর্ণ অংশ অসত্য, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করার উদ্দেশ্য তাহার ছিল না৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন কার্যধারায় যদি কোন পাওনাদার, দেনাদারের বিরুদ্ধাচরণে বিরত থাকার (forbearing) উদ্দেশ্যে বা উহার প্ররোচনাস্বরূপ, অন্য কাহারো নিকট হইতে অর্থ বা সম্পত্তি বা জামানত গ্রহণের মাধ্যমে প্ররোচিত হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অর্থ, সম্পত্তি বা জামানতের মূল্যের অনধিক ৩ (তিন) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) যদি কোন পাওনাদার-
 
 
 
 
(ক) ধারা ৪৩ এর বিধান প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনায় সম্মতি দেন বা উহাতে দস্তখত করেন, বা উক্ত সম্মতি বা দস্তখত দেওয়ার জন্য তাহার প্রতিনিধি বা ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তিকে অনুমতি দেন, অথবা ধারা ৪৬-এর বিধান প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন পুনর্গঠন পরিকল্পনার প্রস্তাব পেশ করেন বা এইরূপ প্রস্তাবে ইতিবাচক সম্মতি দেন, এবং
 
 
 
 
(খ) উক্তরূপ সম্মতি প্রদান, দস্তখতকরণ বা প্রস্তাব পেশকরণ-এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তজ্জন্য কোন গোপন বা যোগসাজসী (collusive) অগ্রাধিকার বা সুবিধা লাভ করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, তিনি উক্ত অগ্রাধিকার বা সুবিধার মূল্যমানের অনধিক ৫ (পাঁচ) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং যাহার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরোপিত হইয়াছে, তাহাকে আরোপিত অর্থদণ্ডে অনধিক অর্ধাংশ প্রদানের জন্য আদালত আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত কোন প্রকার অগ্রাধিকার বা সুবিধা গোপন এবং যোগসাজসী বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি উহা সংশ্লিষ্ট পুনর্গঠন পরিকল্পনা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনায় সুষ্পষ্টভাবে উল্লিখিত না থাকে৷
 
 
 
 
(৫) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদত্ত হইয়াছে জানা সত্ত্বেও, যদি কোন ব্যক্তি, উক্ত আদেশ ব্যর্থ করিবার উদ্দেশ্যে, বণ্টনযোগ্য সম্পদের কোন অংশ সরাইয়া বা লুকাইয়া ফেলেন বা নিজে গ্রহণ করেন বা অন্য কোনভাবে বিলিবণ্টন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা উক্ত সম্পত্তির মূল্যের অনধিক ৩ (তিন) গুণের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীন আরোপিত এবং আদায়কৃত অর্থদণ্ড বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা রিসিভারে ন্যস্ত হইবে৷
কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংগঠন
৯২৷ এই আইনের অধীন অপরাধ সংগঠনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট কর্তৃক অপরাধ সংগঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংগঠিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ সংগঠন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকে বুঝাইবে৷
অপরাধ সংগঠনে সহায়তার দণ্ড
৯৩৷ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংগঠনে কোন ব্যক্তিকে অপর কোন ব্যক্তি সহায়তা বা প্ররোচিত করিলে, উক্ত অপর ব্যক্তিও একই অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তদনুসারে তিনিও দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs