প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(১) “অব্যাহতিপ্রাপ্ত সম্পত্তি” অর্থ কোন একক দেনাদারের এমন সম্পত্তি যাহা ধারা ৩২ এর বিধান মোতাবেক অব্যাহতিপ্রাপ্ত;
 
 
 
 
(২) “আর্জি” অর্থ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ধারা ১০ এর অধীনে দাখিলকৃত কোন আবেদনপত্র, এবং “আর্জিকারী” অর্থ যে ব্যক্তি আর্জি দাখিল করেন;
 
 
 
 
(৩) “আদালত” অর্থ ধারা ৪(৩) এ সংজ্ঞায়িত দেউলিয়া বিষয়ক আদালত;
 
 
 
 
(৪) “আনুষ্ঠানিক দাবীনামা” অর্থ ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১)(ঝ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একই ধারার উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে জারীকৃত কোন দাবীনামা;
 
 
 
 
(৫) “আপীল” অর্থ ধারা ৯৬ এর অধীনে দায়েরকৃত আপীল;
 
 
 
 
(৬) “আপীল আদালত” অর্থ বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ;
 
 
 
 
(৭) “আপোষ মীমাংসা” অর্থ ধারা ৪৩ এর অধীনে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত কোন আপোষ মীমাংসা;
 
 
 
 
(৮) “একক ব্যক্তি” অর্থ প্রাকৃতিক সত্তা বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি এবং “একক দেনাদার” অর্থ এমন একজন দেনাদার যিনি একক ব্যক্তি;
 
 
 
 
(৯) “ক্রোক” অর্থ ধারা ১০১ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এই আইনের কোন বিধান অনুসরণ বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়নযোগ্য কোন ক্রোক;
 
 
 
 
(১০) “ঘোষণাদেশ” বা “দেউলিয়া ঘোষণাদেশ” অর্থ ধারা ১০ এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়া প্রদত্ত কোন আদেশ;
 
 
 
 
(১১) “জেলা আদালত” অর্থ কোন জেলার উপর আদি এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন প্রধান দেওয়ানী আদালত;
 
 
 
 
(১২) “তফসিল” অর্থ ধারা ৩৮(১) এর অধীনে প্রণীত তফসিল;
 
 
 
 
(১৩) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860);
 
 
 
 
(১৪) “দাবী” অর্থ যে কোন প্রকারের বা প্রকৃতির দাবী যাহা অর্থ দ্বারা পরিমাণযোগ্য;
 
 
 
 
(১৫) “দায়গ্রস্ত দেউলিয়া” অর্থ কোন একক দেউলিয়া যাহার ব্যাপারে এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করা হয় নাই;
 
 
 
 
(১৬) “দায়মুক্তি” অর্থ এমন একটি অবস্থা যখন কোন একক দেউলিয়ার ব্যাপারে এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দায়মুক্তি আদেশের ফলে তিনি ৩৯ ধারার অধীনে তাহার বিরুদ্ধে প্রমাণযোগ্য দেনার দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি লাভ করেন;
 
 
 
 
(১৭) “দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” অর্থ ধারা ২৪ (১)(ক) এর অধীনে মনোনীত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(১৮) “দেউলিয়া” অর্থ ধারা ১০ বা ধারা ৪৫ বা ধারা ৪৬(১৩) এর অধীনে দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত কোন দেনাদার;
 
 
 
 
(১৯) “দেউলিয়া কর্ম” অর্থ ধারা ৯ এ উল্লিখিত কোন দেউলিয়া কর্ম;
 
 
 
 
(২০) “দেওয়ানী কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908);
 
 
 
 
(২১) “ধারা” অর্থ এই আইনের কোন ধারা বা দেওয়ানী-কার্যবিধি বা ফৌজদারী-কার্যবিধি এর কোন section;
 
 
 
 
(২২) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(২৩) “ডিক্রী” অর্থ দেওয়ানী কার্যবিধির ২(২) ধারায় সংজ্ঞায়িত decree;
 
 
 
 
(২৪) “পাওনাদার কমিটি” অর্থ ধারা ৩৬(১) বা ধারা ৪৬ (১১) (ছ) এর অধীনে গঠিত কোন পাওনাদার কমিটি;
 
 
 
 
(২৫) “পুনর্গঠন” অর্থ ধারা ৪৬ এর অধীনে যথাযোগ্য দেনাদারের দেনার ব্যাপারে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত পুনর্গঠন;
 
 
 
 
(২৬) “পুনর্বিন্যাস” অর্থ কোন দেনাদারের বিষয়াদির ব্যাপারে ধারা ৪৩ এর অধীনে প্রস্তাবিত বা অনুমোদিত পুনর্বিন্যাস;
 
 
 
 
(২৭) “পুনরীক্ষণ” অর্থ ধারা ৯৯ এর অধীন পুনরীক্ষণ;
 
 
 
 
(২৮) “প্রতিনিধি” অর্থে কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(২৯) “প্রমাণযোগ্য দেনা” অর্থ ধারা ৩৯ এর অধীনে দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রমাণযোগ্য কোন দেনা;
 
 
 
 
(৩০) “প্রশাসনিক ব্যয়” অর্থ এই আইনের বিধান অনুসারে রিসিভারের প্রাপ্য ফিস ও বন্টনযোগ্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, বিক্রয় বা বিলি-বন্টন বাবদ ব্যয়সহ দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পরে উক্ত সম্পদের বিরুদ্ধে উদ্ভূত কোন দাবী পরিশোধের ব্যয়;
 
 
 
 
(৩১) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
 
 
 
 
(৩২) “বণ্টনযোগ্য অংশ” বা “বণ্টিত অংশ” অর্থ বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে পাওনাদারগণের নিকট বণ্টনের উদ্দেশ্যে ধারা ৭৬ হইতে ৭৯ এর বিধান মোতাবেক নির্ধারিত অংশ;
 
 
 
 
(৩৩) “বণ্টনযোগ্য সম্পদ” অর্থ ধারা ৩১(২) এ উল্লিখিত বণ্টনযোগ্য সম্পদ এবং এই আইনের অন্যান্য বিধান অনুসারে বণ্টনযোগ্য সম্পদের অংশরূপে অন্তর্ভুক্ত হয় এইরূপ কোন বিষয় সম্পত্তি;
 
 
 
 
(৩৪) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(৩৫) “বিশেষ ব্যবস্থাপক” অর্থ ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (৮) বা (৯) এ উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থাপক;
 
 
 
 
(৩৬) “ব্যক্তি” অর্থ কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধি সংস্থা, সমিতি ও অংশীদারী কারবার (partnership firm) অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(৩৭) “ব্যাংক ঋণ” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর অধীন কোন ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(ঞ) তে সংজ্ঞায়িত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা আর্থিক সুবিধা, যাহা দাবী হিসাবে গণ্য হইতে পারে;
 
 
 
 
(৩৮) “যথাযোগ্য দেনাদার” অর্থ এমন একজন দেনাদার যিনি একক ব্যক্তি নহেন;
 
 
 
 
(৩৯) “যথাযোগ্য পাওনাদার” অর্থ এমন পাওনাদার, যিনি একক বা যাহারা যৌথভাবে অন্তত: ৫,০০,০০০.০০ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ দেনার দাবীতে দেনাদারের নিকট ৯(১) ধারার (ঝ) দফা অনুসারে আনুষ্ঠানিক দাবীনামা প্রেরণ করিয়াছেন;
 
 
 
 
(৪০) “রিসিভার” অর্থ ধারা ৬৪ এর অধীনে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী রিসিভার এবং ২৩(১) ধারা বা ৪৬(৩) ধারার অধীনে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী রিসিভার এবং ৭৪ ধারার অধীনে নিযুক্ত সরকারী রিসিভারও অন্তর্ভুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(৪১) “দেনাদারের সম্পত্তি” অর্থ দেনাদারের নিজ নামে এবং বেনামীতে তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও অন্য কোন ব্যক্তির নামে রক্ষিত সম্পত্তি৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs