প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

আপোষ মিমাংসা, পুনবির্ন্যাস ও পুর্নগঠন

আপোষ মিমাংসা এবং পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা

আপোষ মিমাংসা এবং পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা
৪৩৷ (১) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের পর যদি কোন দেনাদার তাহার দেনার দায় মিটানোর জন্য কোন আপোষ-মিমাংসা (composition) প্রস্তাব বা তদুদ্দেশ্যে তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা (scheme of arrangement) সম্বলিত প্রস্তাব, অতঃপর এই অধ্যায়ে প্রস্তাব বলিয়া অভিহিত, উপস্থাপন করেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে এবং তদ্‌সম্পর্কে সকল পাওনাদারকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং এইরূপ বিধি না থাকিলে, আদালতের বিবেচনামত যথাযথ নোটিশ প্রদান করিবে, এবং প্রস্তাবটির বাস্তবায়নযোগ্যতা সম্পর্কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ও দাখিল করার জন্য রিসিভারকে নির্দেশ দিবে; এবং অতঃপর রিসিভার তাহার সুনির্দিষ্ট মতামতসহ উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(২) আদালতে প্রমাণিত সকল দেনার মূল্যমানের ভিত্তিতে এবং নথিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি, দুই-তৃতীয়াংশ পাওনাদার আদালতে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহাদের আইনজীবী বা তাহাদের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হইয়া উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রস্তাব বিবেচনান্তে গ্রহণ করেন এবং আদালত উহা অনুমোদন করে, তাহা হইলে উক্ত প্রস্তাব সকল পাওনাদার যথাযথভাবে গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিতমতে প্রস্তাবটি বিবেচনার সময় দেনাদার তাহার প্রস্তাবের শর্তাবলী সংশোধন করিতে পারিবেন এবং আদালত উক্ত সংশোধন অনুমোদন করিতে পারিবে, যদি আদালতের মতে উক্ত সংশোধন সামগ্রিকভাবে সকল পাওনাদারের জন্য কল্যাণকর হয়৷
 
 
 
 
(৪) প্রস্তাবটি সম্পর্কে রিসিভারের প্রতিবেদন এবং কোন পাওনাদার কর্তৃক বা তাহার পক্ষে উত্থাপিত আপত্তি শুনানী ও বিবেচনার পর আদালত যদি মনে করে যে, প্রস্তাবটির শর্তাবলী যুক্তিসংগত নহে বা সামগ্রিকভাবে পাওনাদারগণের জন্য কল্যাণকর হইবে না, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাবটির অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করিবে৷
 
 
 
 
(৫) যদি প্রস্তাবটি সম্পর্কিত এমন কোন বিষয় আদালতের গোচরীভূত হয়, যাহা প্রমাণিত হইলে আদালতকে দেনাদারের দায়মুক্তি প্রত্যাখ্যান স্থগিত বা তদ্‌সম্পর্কে শর্ত আরোপ করিতে হইবে, তাহা হইলে আদালত উক্ত প্রস্তাবের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করিবে, যদি না উক্ত বিষয়ে পাওনাদারগণকে নোটিশ প্রদান এবং শুনানীর পর পাওনাদারগণের পাওনা পরিশোধের উদ্দেশ্যে, দেনাদার আদালতের বিবেচনামতে যুক্তিসংগত জামানত প্রদান করে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জামানতবিহীন পাওনাদারগণের প্রাপ্য সকল পাওনার ১৫% হইতে ৬৫% এবং ব্যাংক ঋণের পাওনাদারগণের প্রাপ্য সকল পাওনার ২৫% হইতে ৭৫%, যাহা আদালত নির্ধারণ করে, এর সমপরিমাণ অর্থের জামানত প্রদান করা হইলে, যুক্তিসংগত জামানত প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত যুক্তিসংগত জামানত নির্ধারণের ক্ষেত্রে আদালত দেনাদারের দেনার সম্পর্কে নিম্্নবর্ণিত পরিস্থিতিগুলি বিবেচনা করিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার সম্পূর্ণভাবে তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণের শিকার হইয়া থাকিলে, উক্ত কারণের মাত্রা;
 
 
 
 
(খ) কোন উদ্যোগে (enterprise) অর্থায়নের জন্য দেনাদার অর্থ গ্রহণ করিয়া থাকিলে, উক্ত উদ্যোগের সহিত সম্পৃক্ত ঝুঁকির মাত্রা;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের কার্যকলাপ, সত্বুদ্ধি-বিরোধী বা নৈতিকতা-বিরোধী কিনা৷
 
 
 
 
(৬) আদালত এমন কোন আপোষ-মিমাংসা বা পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা অনুমোদন করিবে না, যাহাতে ৭৫ ধারা অনুসারে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেনাসমূহ অন্যান্য দেনার তুলনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা নাই৷
 
 
 
 
(৭) অন্য যে কোন ক্ষেত্রে আদালত প্রস্তাবটি অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs