প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

দায়মুক্তি ও দায়গ্রস্ত দেউলিয়া

দায়মুক্তি
৪৭৷ (১) কোন একক দেউলিয়ার ব্যাপারে আদালত তাহার দায়মুক্তির আদেশ দিতে পারিবে, এবং এইরূপ আদেশের ফলে উক্ত দেউলিয়া ৩৯ ধারার অধীনে প্রমাণযোগ্য সকল দাবী, দেনা ও দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিবেন, যদি আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকে৷
 
 
 
 
(২) দেনাদার আর্জি দাখিল করিলে উক্ত আর্জিতেই তিনি তাঁহার দায়মুক্তির জন্য প্রার্থনা করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, এবং যেক্ষেত্রে এক বা একাধিক যথাযোগ্য পাওনাদার উক্ত দরখাস্ত দাখিল করেন, সেক্ষেত্রে ধারা ৩০(১)(খ)(অ) এর অধীনে নির্ধারিত তারিখের পূর্বে দেনাদার তাহার দায়মুক্তির জন্য আবেদন করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) দেউলিয়া ঘোষণাদেশ প্রদানের সময় আদালত উক্ত আদেশের একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে যে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য শুনানীর উদ্দেশ্য হইবে দেনাদারকে দায়মুক্ত করা হইবে কি না তাহা সর্বপ্রথম বিবেচনা করা, এবং উক্ত তারিখ হইবে উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখের ৬০ (ষাট) দিনের পরবর্তী কোন তারিখ:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২৭(৩) মোতাবেক দেউলিয়ার জিজ্ঞাসাবাদ সমাপ্ত না হইয়া থাকিলে উক্তরূপ শুনানী মুলতবী করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শুনানীকালে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে, দেনাদারের নৈতিক স্খলন বা অবহেলার কারণে নহে, বরং সম্পূর্ণভাবে তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে তাহার দেউলিয়া অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে, তাহা হইলে আদালত অবিলম্বে তাহার দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে কোন দায়মুক্তির আদেশ প্রদান করা না হইলে, দেউলিয়া তাহার দায়মুক্তির জন্য আদালতের নিকট একটি স্বতন্ত্র আবেদন করিতে পারিবেন এবং আদালত তত্সম্পর্কে একটি শুনানীর তারিখ ধার্য করিবে, তবে ২৭(৩) ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত দেনাদারের জিজ্ঞাসাবাদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত শুনানী করা হইবে না৷
 
 
 
 
(৬) যদি দেনাদার বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করেন এবং আদালত মনে করে যে, সঙ্গতির অভাবে বা অন্য কোন সন্তোষজনক কারণে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করিতে অসমর্থ, অথবা যদি দেনাদার একজন উন্মাদ (lunatic) হন বা আদালত যদি মনে করে যে, দেনাদার এমন কোন দৈহিক বা মানসিক অসুস্থতা বা অক্ষমতায় ভুগিতেছেন যে, প্রকাশ্য জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকিবার জন্য তিনি উপযুক্ত নহেন, তাহা হইলে আদালত জিজ্ঞাসাবাদ হইতে তাহাকে অব্যাহতি দিতে বা আদালতের বিবেচনামতে যথাযথ শর্তাধীনে, পদ্ধতিতে এবং স্থানে তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) দায়মুক্তির আবেদন সম্পর্কে শুনানীর জন্য আদালতের নথিতে লিপিবদ্ধ প্রত্যেক পাওনাদারকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং এইরূপ কোন বিধি না থাকিলে আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৮) শুনানীর সময় আদালত আবশ্যিকভাবে রিসিভারের বক্তব্য শুনিবে এবং কোন পাওনাদারের বক্তব্যও শুনিতে পারে, এবং আদালত প্রয়োজন মনে করিলে দেনাদারকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs