প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭

( ১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন )

সপ্তম অধ্যায়

অপরাধ ও দন্ডসমূহ

দেনাদারের অপরাধ ও উহাদের দণ্ড
৮৪৷ (১) এই আইনের অধীনে কোন দেনাদার দেউলিয়া হইলে বা তাহার বিষয়াদি সম্পর্কে পুনর্গঠন আদেশ প্রদান করা হইলে, তাহার নিম্্নবর্ণিত প্রতিটি কাজ অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথা:-
 
 
 
 
(ক) দেনাদারের কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকিলে উহার স্বাভাবিক খরচ এবং তাহার পরিবারের স্বাভাবিক ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজনে হস্তান্তরিত সম্পত্তি ব্যতীত, তাহার অন্যান্য সকল সম্পত্তি বা উহার কোন অংশ-বিশেষ কিভাবে, কাহার নিকট, কি পণের বিনিময়ে এবং কোন সময়ে হস্তান্তর করা হইয়াছে, তত্সম্পর্কিত তথ্য তিনি যদি, তাহার জানামতে বা বিশ্বাসমতে, সম্পূর্ণভাবে ও বিশ্বস্ততার সহিত রিসিভারের নিকট প্রকাশ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য প্রকাশ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(খ) তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তির যে সকল অংশ রিসিভারের নিকট অর্পণ করিতে আইন অনুসারে দেনাদার বাধ্য, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক তিনি যদি তাহা অর্পণ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(গ) দেনাদারের সম্পত্তি ও বিষয়াদি সম্পর্কিত যে সকল হিসাব-বহি ও অন্যান্য দলিল-পত্র তাহার হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে আছে তাহা যদি তিনি, রিসিভারের নির্দেশ মোতাবেক, রিসিভারের নিকট অর্পণ না করেন :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ অর্পণ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঘ) কোন আর্জি দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়ার পর যদি তিনি তাহার কোন দেনা বা পাওনা অথবা ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি গোপন করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক তিনি প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপে গোপন করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঙ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যেকোন সময় বা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা বা তদধিক মূল্যের তাহার কোন সম্পত্তি প্রতারণামূলকভাবে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে সরাইয়া থাকেন;
 
 
 
 
(চ) যদি দেনাদার তাহার বিষয়াদি সম্পর্কিত কোন বিবরণীতে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ না করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতে সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ উল্লেখ না করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ছ) দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন ভূয়া দেনা প্রমাণিত হইয়াছে মর্মে দেনাদারের জানা বা বিশ্বাস থাকা বা অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি উক্ত প্রমাণের পরবর্তী ১ (এক) মাসের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে রিসিভারকে অবহিত না করেন;
 
 
 
 
(জ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময় তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব বহি বা অন্যান্য দলিল উপস্থাপনে যদি তিনি বাধা প্রদান করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ বাধা প্রদান কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঝ) দেনাদার কর্তৃক বা তাঁহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী বা তত্সম্পর্কিত কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিল গোপন করেন, ধ্বংস করেন, বিকৃত করেন বা ভূয়া প্রতিপন্ন করেন, অথবা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত (privy) থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন কিছু গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কোন কাজ অথবা উহাতে তাহার জড়িত থাকা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ঞ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিলে কোন ভূয়া তথ্য লিপিবদ্ধ করেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, তাহার বিষয়াদির সম্পর্কে কোন তথ্য গোপন বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারা ব্যর্থ বা বিলম্বিত করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ তথ্য লিপিবদ্ধকরণ কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ট) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, যদি তিনি তাহার সম্পত্তি বা বিষয়াদি প্রভাবিতকারী কোন দলিল প্রতারণামূলকভাবে হাত ছাড়া করেন বা উহাতে কোন পরিবর্তন করেন বা উহাতে কোন কিছু উল্লেখ না করেন বা এইরূপ কোন কাজে সজ্ঞানে জড়িত থাকেন;
 
 
 
 
(ঠ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার পর যে কোন সময়, অথবা উক্ত আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহতি পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে, তাহার পাওনাদারগণের নিকট প্রেরিত কোন লিখিত বা মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি তিনি কাল্পনিক ক্ষতি বা খরচ দেখাইয়া তাহার দেনা বা সম্পত্তি বাবদ কোন হিসাব প্রদানের অপচেষ্টা করেন;
 
 
 
 
(ড) একজন দায়গ্রস্ত দেউলিয়া হওয়া সত্ত্বেও-
 
 
 
 
(অ) তাহার দায়গ্রস্ত দেউলিয়া থাকার বিষয়টি প্রকাশ না করিয়া যদি তিনি কোন ব্যক্তির নিকট এককভাবে বা অন্য কাহারও সহিত যৌথভাবে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা বা তদূর্ধ পরিমাণের কোন ঋণ গ্রহণ করেন, অথবা
 
 
 
 
(আ) যে নামে তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন সেই নাম ব্যতীত যদি অন্য কোন নামে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এবং যাহাদের সহিত ব্যবসায়িক লেন-দেন করেন তাহাদের সকলের নিকট দেউলিয়া হিসাবে ঘোষিত তাহার নামটি প্রকাশ না করেন;
 
 
 
 
(ঢ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি তাহার মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কোন আর্থিক বিবরণ প্রস্তুত বা দস্তখত বা সরবরাহ বা অন্যবিধ প্রতারণামূলক কোন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনার মাধ্যমে কোন সম্পত্তি বা ঋণ অর্জন করিয়া থাকেন এবং যাহার নিকট উক্তরূপে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হইয়াছিল সেই পাওনাদারের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ না করিয়া থাকেন;
 
 
 
 
(ণ) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা লেন-দেন করার মিথ্যা ভান করিয়া ধারে কোন সম্পত্তি অর্জন করিয়া থাকেন এবং যে পাওনাদার মূলতঃ তাহার উক্ত ভান দ্বারা প্রভাবিত হইয়াছিলেন তাহার পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ মিথ্যা ভান করা কোন অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(ত) দেনাদার কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে আর্জি দাখিল হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪৮ (আটচল্লিশ) মাসের মধ্যে যে কোন সময় যদি তিনি একজন ব্যবসায়ী বা বণিক থাকিয়া থাকেন এবং যে সম্পত্তি তিনি ধারে অর্জন করিয়াছেন অথচ উহার মূল্য সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন নাই, সেই সম্পত্তি যদি তিনি বন্ধক দেন বা অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করিয়া থাকেন; বা ব্যবসার স্বাভাবিক গতি বহির্ভূত পরিমাণে বা সাধারণ লেন-দেনকারী পক্ষ বহির্ভূত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণ করেন যে, কাহাকেও প্রতারণা করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল না, তাহা হইলে উক্তরূপ কাজ অপরাধ হইবে না;
 
 
 
 
(থ) তাহার বিষয়াদি বা দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারার ব্যাপারে তাহার কোন পাওনাদারের সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে যদি তিনি কোন তথ্যের মিথ্যা উপস্থাপনা বা তদুদ্দেশ্যে অন্যবিধ প্রতারণা করেন;
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ধারা ৪৬(৯) এ উল্লিখিত বিশেষ ব্যবস্থাপকের কার্যকলাপ দেনাদারের কার্যকলাপ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি উক্ত কার্যকলাপ রিসিভারের নির্দেশে সম্পাদিত না হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(২) যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন দেনাদার কোন সম্পত্তি ধারে অর্জন করিয়া এবং উহার মূল্য পরিশোধ না করিয়া বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করিয়া থাকেন, এবং
 
 
 
 
(খ) তিনি উক্তরূপে প্রেরিত সম্পত্তি বাবদ তত্কর্তৃক প্রাপ্ত পণ্যের হিসাব প্রদান করিতে ব্যর্থ হন,
 
 
 
 
তাহা হইলে, দেনাদার তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি বা নিয়ম বহির্ভূতভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রেরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি ইহার বিপরীত প্রমাণিত না হয়৷
 
 
 
 
(৩) যদি-
 
 
 
 
(ক) দেনাদার এমন পরিস্থিততে কোন সম্পত্তি বন্ধকে রাখেন বা উহাকে অন্যবিধভাবে দায়বদ্ধ করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে প্রেরণ করেন যে তাঁহার উক্ত কাজ উপ-ধারা (১)(ত) এর অধীন একটি অপরাধ হয়, এবং
 
 
 
 
(খ) অপর কোন ব্যক্তির উক্তরূপ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করেন,
 
 
 
 
তাহা হইলে উক্ত অপর ব্যক্তিকেও দেনাদারের ন্যায়, উক্ত উপ-ধারার অধীন একই অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তদনুসারে তিনিও একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs