আপীল
৯৬৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, দেনাদার, যে কোন পাওনাদার, রিসিভার বা অন্য যে কোন ব্যক্তি, দেউলিয়া বিষয়ক কার্যধারায় এখ্তিয়ারসম্পন্ন কোন অতিরিক্ত জেলা জজ বা জেলা জজ প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে উহার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(২) সুপ্রীমকোর্ট সময় সময় হাইকোর্ট বিভাগের এইরূপ একটি বেঞ্চ গঠন করিবে যাহার দায়িত্ব হইবে শুধুমাত্র এই আইনের অধীন দায়েরকৃত আপীলসমূহ নিষ্পত্তি করা৷
(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীনে আপীল দায়ের করিতে চাহিলে, তিনি-
(ক) তাহার উক্ত অভিপ্রায় সম্পর্কে, বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান তারিখের পরবর্তী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে, আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন;
(খ) দেনাদার হইলে, পাওনাদারের সাকুল্য দাবী, যাহা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হয়, এর ১০% এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিবেন;
(গ) বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান তারিখের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীলের মেমোরেন্ডাম আপীল আদালতে দাখিল করিবেন;
(ঘ) আপীল আদালতে মেমোরেন্ডাম দাখিলের পূর্বে, নিম্্ন-আদালতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত সংখ্যক মেমোরেন্ডামের অনুলিপি দাখিল করিবেন;
(ঙ) মেমোরেন্ডামের সহিত আদালত প্রদত্ত এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন-পত্র দাখিল করিবেন যে, দফা (খ) মোতাবেক প্রয়োজনীয় অর্থ, যদি প্রযোজ্য হয়, জমা করা হইয়াছে এবং দফা (ঘ) মোতাবেক মেমোরেন্ডামের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরবরাহ করা হইয়াছে৷
(৪) উপ-ধারা (৩) (ক) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, আদালত-
(ক) উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে বিরোধীয় সিদ্ধান্ত বা আদেশের সত্যায়িত (certified) নকল আপীল করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সরবরাহ করিবে, এবং এইরূপ নকলের খরচ উক্ত ব্যক্তি অগ্রিম জমা দিবেন;
(খ) প্রস্তাবিত আপীলের দ্বারা প্রভাবিত হইতে পারেন এইরূপ ব্যক্তিগণের সংখ্যা বিবেচনাক্রমে প্রস্তাবিত আপীলের মেমোরেন্ডামের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আপীল করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিবে এবং এইরূপ অনুলিপি জমা হইলে উহাদিগকে ঐ সকল ব্যক্তি বা তাহাদের নিয়োজিত এডভোকেট বা তাহাদের ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করিবে৷
(৫) নিম্্নবর্ণিত যে কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে আপীল করা যাইবে, যথা:-
(ক) স্বত্ব নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
(খ) দেউলিয়া কর্ম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
(গ) বণ্টনযোগ্য সম্পদ হইতে বণ্টিত অংশ প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত;
(ঘ) ধারা ২৮ এর বিধান মোতাবেক কোন আর্জি খারিজের আদেশ;
(ঙ) ধারা ২৯ এর বিধান মোতাবেক ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ;
(চ) ধারা ৩০ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ;
(ছ) ধারা ৩৩ এর বিধান মোতাবেক স্থানান্তরিত এমন কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পত্তিকারী ডিক্রী (প্রাথমিক ডিক্রীসহ), সিদ্ধান্ত বা আদেশ যাহার বিরুদ্ধে, মামলা বা কার্যধারাটি যদি স্থানান্তরকারী আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হইত, আপীল করা যাইত;
(জ) ধারা ৩৮ এর বিধান মোতাবেক তফসিলে কোন মৌলিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত সংক্রান্ত আদেশ;
(ঝ) ধারা ৪০ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদকারী আদেশ;
(ঞ) ধারা ৪২ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত আদেশ, যাহা দ্বারা নিরুপিত শর্তাধীনে দেনাদারের নিকট কোন সম্পত্তি ফিরিয়া যায়;
(ট) ধারা ৪৬ এর বিধান মোতাবেক প্রদত্ত কোন পুনর্গঠন পরিকল্পনার আদেশ বা উহা অনুমোদনকারী আদেশ;
(ঠ) দায়মুক্তির আবেদনের ব্যাপারে ৪৭ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ;
(ড) কোন পাওনাদারের পাওনা প্রত্যাখ্যান করিয়া বা পাওনার পরিমাণ কমাইয়া ৫৭ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ;
(ঢ) কোন সম্পত্তির পূর্ববর্তী হস্তান্তর রদ করিয় ৫২ হইতে ৬৩ ধারা পর্যন্ত ধারাসমূহের অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ৷
(৬) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত ব্যতীত আদালতের অন্য কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্য কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোনভাবেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
(৭) আপীল আদালত দেউলিয়া ঘোষণাদেশের কার্যকারিত স্থগিত করিয়া সাধারণতঃ কোন আদেশ প্রদান করিবে না, এবং রিসিভার, দেউলিয়া ও পাওনাদারগণ এই আইনের বিধান মোতাবেক কার্য করিতে থাকিবে, যদি না আপীল আদালত লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক কোন বিশেষ কার্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে:
তবে শর্ত থাকে যে, আপীলে কোন দেউলিয়া ঘোষণাদেশ রদ হইয়া গেলে উক্তরূপ রদকরণ সত্ত্বেও, দেউলিয়া ঘোষণাদেশের পরে রিসিভার, দেউলিয়া, পাওনাদারগণ বা আদালত কর্তৃক এই আইনের বিধান মোতাবেক কৃত কোন কাজের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না, যদি আপীল আদালত উক্ত কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিয়া না থাকে৷