বিমান-অধিনায়কের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৩৷ (১) কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে বিমান অধিনায়কের যদি এই মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে,-
(ক) উহার আরোহী কোন ব্যক্তি এমন কোন কাজ করিয়াছেন বা করিতে উদ্যত হইয়াছেন যাহা উক্ত বিমান বা উহাতে অবস্থিত কোন বস্তু বা উহার অন্যান্য আরোহীর নিরাপত্তাহানী করিয়াছে বা করিতে পারে, বা উহার সুপরিবেশ ও শৃংখলাহানী করিয়াছে বা করিতে পারে, অথবা
(খ) উহার আরোহী কোন ব্যক্তি এমন কোন কাজ করিয়াছেন যাহা, বিমানটির নিবন্ধনকারী দেশের ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত বৈষম্যমূলক আইন বা রাজনৈতিক প্রকৃতির আইন ব্যতীত, অন্যান্য আইনের অধীনে একটি অপরাধ,
তাহা হইলে বিমান অধিনায়ক, এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, উক্ত আরোহীর উপর যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করিতে পারিবেন বা তাহাকে আটক করাসহ তাহার সম্পর্কে অন্য যে কোন যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন ব্যক্তির উপর বাধানিষেধ আরোপ বা তাহাকে আটক করার উদ্দেশ্যে বিমান-অধিনায়ক তাহাকে সহায়তা করার জন্য বিমানটির অন্য যে কোন ক্রু-সদস্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে এবং যে কোন আরোহীকে প্রয়োজনীয় অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ বা অনুরোধ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷
(৩) বিমানটির কোন ক্রু-সদস্য বা আরোহীর যদি এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, বিমানটির বা উহার কোন আরোহী বা উহাতে অবস্থিত কোন বস্তুর নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে কোন কাজ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত ক্রু-সদস্য বা আরোহী, উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্তি ব্যতিরেকেই, উক্ত কাজ করিতে পারিবেন৷
(৪) এই ধারার অধীনে কোন আরোহীর উপর বাধানিষেধ আরোপ বা তাহাকে আটকের পর প্রথম যখন বিমানটির উড্ডয়ন অবস্থার সমাপ্তি ঘটে তখনই উক্ত বাধানিষেধ বা আটকাবস্থার সমাপ্তি ঘটিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বিমান-অধিনায়ক যদি উড্ডয়ন অবস্থা সমাপ্তি স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে উপ-ধারা (৬) অনুসারে উক্ত বাধানিষেধ আরোপ বা আটক সম্পর্কে অবহিত করিতে না পারেন, অথবা ক্ষেত্রমত সংশ্লিষ্ট আরোহীকে উপ-ধারা (৫) এর অধীনে নামাইয়া দিতে বা সমর্পণ করিতে না পারেন, অথবা উক্ত আরোহী বাধানিষেধ আরোপিত বা আটকাবস্থায় উক্ত বিমানে তাহার যাত্রা অব্যাহত রাখিতে সম্মত হন, তাহা হইলে উড্ডয়ন অবস্থার সমাপ্তি ঘটিবে না৷
(৫) কোন আরোহী সম্পর্কে যদি বিমান-অধিনায়কের এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে,-
(ক) বিমানে উপ-ধারা (১) (ক)- তে বর্ণিত অবস্থা বিরাজমান এবং সে কারণে উক্ত আরোহীকে বিমান হইতে নামাইয়া দেওয়া প্রয়োজন তাহা হইলে তিনি উক্ত আরোহীকে বিমান হইতে যে কোন দেশে নামাইয়া দিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত আরোহী উপ-ধারা (১)(খ) তে বর্ণিত অপরাধ করিয়াছেন, তাহা হইলে তাহাকে টোকিও কনভেনশনভুক্ত দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করিতে পারিবেন৷
(৬) বিমান হইতে কোন আরোহীকে কোন দেশে নামাইয়া দেওয়ার বা সমর্পণ করার ক্ষেত্রে, বিমান-অধিনায়ক উক্তরূপ নামাইয়া দেওয়া বা সমর্পণের ইচ্ছা এবং কারণ সম্পর্কে, যথাশীঘ্র এবং সম্ভব হইলে বিমান অবতরণের পূর্বেই, নিম্্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন, যথা:-
(ক) নামাইয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে, যে দেশে নামাইয়া দেওয়া হইবে সেই দেশের এখতিয়ার সম্পন্ন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে;
(খ) সমর্পণের ক্ষেত্রে, টোকিও কনভেনশনভুক্ত যে দেশে সমর্পণ করা হইবে সেই দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে; এবং
(গ) উক্ত আরোহী যে দেশের নাগরিক সেই দেশে নামাইয়া না দেওয়া বা সমর্পণ না করার ক্ষেত্রে, উক্ত দেশের দূতাবাস বা কনসুলার অফিসকে, যাহা অবতরণ স্থানের নিকটতম হয়৷