বিমানে সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে সাক্ষ্যগ্রহণ সংক্রান্ত বিধান
৯৷ (১)
Evidence Act, 1872 (Act 1 of 1872) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন যে ক্ষেত্রে কোন বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহাতে সংঘটিত কোন কার্যকলাপ বা অপরাধের ব্যাপারে কোন বাংলাদেশী আদালতের কার্যধারায় এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন হয় যাহাকে, বিশেষ কোন কারণে, বা অযৌক্তিক সময়ক্ষেপণ বা খরচ ব্যতীত, বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে হাজির করান সম্ভব নহে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে তাহার মৌখিক সাক্ষ্য (Deposition) উক্ত কার্যধারায় গ্রহণ করা যাইবে, যদি তিনি উক্ত সাক্ষ্য শপথপূর্বক-
(ক) বাংলাদেশের বাহিরে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রদান করিয়া থাকেন; এবং
(খ) সংশ্লিষ্ট দেশের কোন বিচারক বা ম্যাজিষ্ট্রেট বা উক্ত দেশের আইনানুসারে উক্তরূপ সাক্ষ্য গ্রহণের এখতিয়ারসম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা বাংলাদেশের কোন কনসুলার কর্মকর্তার সম্মুখে প্রদান করিয়া থাকেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিচারক, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যক্তি বা কর্মকর্তা কর্তৃক সাক্ষীর বক্তব্য স্বাক্ষরিত না হইলে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন মর্মে উক্ত স্বাক্ষরকারী প্রত্যয়ন না করিলে, কোন মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
(৩) কোন আইনগত কার্যধারায় উপরি-উক্ত বিচারক, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যক্তি বা কর্মকর্তার স্বাক্ষর বা তাহার পদবীর সত্যতা প্রমাণের প্রয়োজন হইবে না এবং, বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, উক্তরূপ মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতির প্রমাণ হিসাবে উক্ত প্রত্যয়নপত্রই পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে৷
(৪) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা বহির্ভূত কোন স্থানে কোন বাংলাদেশী বিমান উড্ডয়নে থাকাকালে উহাতে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে কোন অভিযোগ উপরি-উক্ত কনসুলার কর্মকর্তার নিকট উত্থাপন করা হইলে, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে এবং এতদুদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করাইয়া তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
(৫) কোন মৌখিক সাক্ষ্য এই ধারা ব্যতীত অন্য কোন আইনের অধীনে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইলে তাহা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান কোন বাধা হইবে না৷
(৬) এই ধারায়-
(ক) “মৌখিক সাক্ষ্য” বলিতে এফিডেভিট, দৃঢ়কথন (Affirmation) এবং বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) কোন ব্যক্তি শপথবাক্য পাঠ করিতে আপত্তি করিলে তাহার ক্ষেত্রে, “শপথ” বলিতে তত্কর্তৃক সত্য বলিয়া প্রদত্ত ঘোষণা বা দৃঢ়কথনও অন্তর্ভুক্ত হইবে৷