১৯৯১ সনের ২২ নং আইন সংশোধন
৭৷
মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন) এর-
(১) ধারা ১ এর উপান্ত টীকার, “প্রয়োগ” কমা ও শব্দ বিলুপ্ত হইবে;
(২) ধারা ২ এর-
(ক) দফা (গ) এর উপ-দফা (অ) এর “মোড়ক সামগ্রী” শব্দগুলির পরিবর্তে “যে কোন গ্যাস, জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত যে কোন পদার্থ, মোড়ক সামগ্রী” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) দফা (ণ) এর “বিশ” শব্দটির পরিবর্তে “দশ” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(গ) দফা (থথ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (থথ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(থথ) “ব্যবসায়ী” বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি তত্কর্তৃক আমদানীকৃত, ক্রয়কৃত, অর্জিত বা অন্য কোনভাবে সংগৃহীত পণ্যের কোনরূপ আকৃতি, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য বা গুণগত পরিবর্তন না করিয়া পণ্যের বিনিময়ে সাধারণ ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় বা অন্যবিধভাবে হস্তান্তর করেন;”
(৩) ধারা ৩ এর-
উপ-ধারা (১) এ “দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত” শব্দগুলির পর “বাংলাদেশ প্রদত্ত” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;
(৪) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২ক) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“(২ক)৷ কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি যদি কন্ট্রাক্ট বা সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির উত্পাদিত পণ্য সংগ্রহপূর্বক তাহার নিজস্ব ব্রান্ড নামে সরাসরি বা নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র বা ডিস্ট্রিবিউটর বা কমিশন এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রয় করেন, তাহা হইলে ব্রান্ড নামযুক্ত পণ্যটির ক্ষেত্রে উহার স্বত্বাধিকারী কর্তৃক ক্রেতার নিকট হইতে প্রাপ্য পণের ভিত্তিতে মূল্য সংযোজন কর নিরূপণ করা হইবে এবং উক্ত পণ উপ-ধারা (২) তে বর্ণিত “প্রাপ্য পণ” এর সমপরিমাণ হইবে৷”;
(৫) ধারা ৫ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪ক) সংযোজিত হইবে, যথা:-
“(৪ক) কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যবসায়ী কর্তৃক পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে, কোন নির্দিষ্ট কর মেয়াদে উক্ত ব্যবসায়ীর সরবরাহ বাবদ প্রাপ্ত বা প্রাপ্ত বলিয়া বিবেচিত মোট মূল্য, যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিরূপিত হইবে, এর ভিত্তিতে মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা যাইবে৷”;
(৬) ধারা ২৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“২৪৷ মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে সহায়তা প্রদান৷- (১) মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাগণকে এই আইনের অধীন তাহাদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করার জন্য এতদ্বারা পুলিশ, বাংলাদেশ রাইফেলস্, বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড ও আনসারের যে কোন সদস্য এবং আবগারী, শুল্ক, আয়কর ও মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী সকল সরকারী কর্মকর্তাসহ অন্য যে কোন সরকারী কর্মকর্তা এবং সকল ব্যাংক কর্মকর্তার উপর ক্ষমতা অর্পণ ও দায়িত্ব আরোপ করা হইল৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন সদস্য বা কর্মকর্তা উক্ত উপ-ধারার অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালনে তাঁহাকে সহায়তা করার জন্য অন্য যে কোন ব্যক্তিকে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি প্রয়োজনীয় সহায়তা করিতে বাধ্য থাকিবেন৷”;
(৭) ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের পরিবর্তে নিম্নরূপ শর্তাংশ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির পণ্য আটক করা হইলে, উক্ত পণ্যের ন্যায়-নির্ণয়ন অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায় (Pending adjudication), বিধিতে উল্লিখিত কর্মকর্তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তাধীনে আটককৃত পণ্য উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তি বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুকূলে অন্তবর্তীকালীন ছাড়-প্রদান করিতে পারিবেন৷”;
(৮) ধারা ৩৯ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশের “ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে;
(৯) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের শেষ প্রান্তস্থিত দাঁড়ির পরিবর্তে কোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং তত্পর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:-
“আরও শর্ত থাকে যে, যেই ক্ষেত্রে ধারা ৪২ এর অধীনে আপীল করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারী উক্ত সুযোগ গ্রহণ করেন নাই, সেই ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার অধীনে তাহার আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না৷”;
(১০) ধারা ৪৬ এর-
(ক) উপান্ত টীকার “প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিতি” শব্দগুলির পরিবর্তে “প্রতিনিধি ও মূসক পরামর্শকের মাধ্যমে উপস্থিতি ইত্যাদি” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
(খ) বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে সংখ্যায়িত হইবে;
(গ) উক্তরূপ সংখ্যায়িত উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২) সংযোজিত হইবে, যথা:-
“(২) এই আইন বা বিধির অধীন যে কোন কার্যধারা উপলক্ষ্যে, বা যে কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির পক্ষে মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে কোন কাজ সম্পাদনের জন্য অথবা উক্ত ব্যক্তির পক্ষে উপ-ধারা (১) অনুসারে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষ, বোর্ড বা সরকারের নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য বা উক্ত ব্যক্তিকে এই আইন বা বিধি হইতে উদ্ভূত হইয়াছে বা হইতে পারে এমন যে কোন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিতে পদ্ধতিতে ও শর্তাধীনে, যে কোন ব্যক্তিকে মূল্য সংযোজন কর পরামর্শক হিসাবে লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে৷”;
(১১) ধারা ৪৭ এর শর্তাংশের শেষ প্রান্তস্থিত দাঁড়ির পরিবর্তে কোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং তত্পর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:-
“আরও শর্ত থাকে যে, যেই ক্ষেত্রে ধারা ৪২ এর অধীনে আপীল করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারী উক্ত সুযোগ গ্রহণ করেন নাই, সেই ক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে তাহার আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না৷”;
(১২) দ্বিতীয় তফসিল এর-
(ক) শিরোনামা সংখ্যা S০০৪.০০ এর বিপরীতে সেবা প্রদানকারী “নির্মাণ সংস্থা” এর ব্যাখ্যার পরিবর্তে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
ব্যাখ্যা:- (১) “নির্মাণ সংস্থা” অর্থ এমন কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি যাহা বা যিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভবন, যোগাযোগ মাধ্যম, পরিবহন, সড়ক মহাসড়ক, সেতু বা অন্য যে কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া থাকে বা থাকেন৷
(২) উক্ত অবকাঠামোর সহিত সংযুক্ত হয় বা উহার অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এইরূপ যে কোন ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী সংস্থাপনও (যেমন: শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ফল্স সিলিং, লিফট ইত্যাদি) ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷”;
(খ) শিরোনামা সংখ্যা S০২০.০০ এর বিপরীতে সেবা প্রদানকারী “জরিপ সংস্থা” এর ব্যাখ্যার পরিবর্তে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“ব্যাখ্যা:- “জরিপ সংস্থা” অর্থ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমদানিকৃত, রপ্তানিতব্য, দেশের অভ্যন্তরে মজুদকৃত বা সরবরাহকৃত পণ্যের জরিপ কার্যে অথবা বীমা সংক্রান্ত জরিপ কার্যে অথবা ভূমি জরিপসহ সকল প্রাকৃতিক, আর্থিক, মানব ও কারিগরি সম্পদ পরিমাপ বা জরিপ কার্যে বা আর্থ-সামাজিক জরিপ কার্যে বা অন্য যে কোন জরিপ কার্যে নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা৷”;
(গ) শিরোনামা সংখ্যা S০২৯.০০ এবং উহার বিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলামের এন্ট্রি সমূহের পরিবর্তে নিম্নরূপ শিরোনামা সংখ্যা ও এন্ট্রি সমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-
“S০২৯ |
S০২৯.০০ |
চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী: |
|
|
|
|
S০২৯.১০ |
চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান: |
|
|
|
|
|
ব্যাখ্যা: “চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান” অর্থ |
|
|
|
|
|
(১) এমন কোন স্থান, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যেখানে কোন মানুষের দৈহিক বা মানসিক বিষয়ের চিকিত্সার নিমিত্ত ব্যবস্থাপত্র, পরামর্শ বা প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় এবং উপরি-উক্ত এক বা একাধিক সেবা প্রদানের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় এবং উহার বিনিময়ে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে সেবা মূল্য আদায় করা হয়; এবং |
|
|
|
|
|
(২) যে কোন দন্ত চিকিত্সা কেন্দ্র, উহাতে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকুক কিংবা না থাকুক: |
|
|
|
|
|
তবে শর্ত থাকে যে, যেই সকল স্থান, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় বিনা মূল্যে বা দাতব্য ভিত্তিতে বা নাম মাত্র মূল্যের বিনিময়ে উপরিউক্ত কোন সেবা প্রদান বা আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় সেই সকল স্থান, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এই সংজ্ঞার আওতাবহির্ভূত হইবে৷ |
|
|
|
|
S০২৯.২০ |
প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী: |
|
|
|
|
|
ব্যাখ্যা: “প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী” অর্থ এমন স্থান, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যেখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আলট্রাসনিক পদ্ধতিতে বা ইলেট্রনিক স্ক্যানিং এর মাধ্যমে বা অন্য যে কোন প্রক্রিয়ায় যে কোন শারীরবৃত্তীয় বা রোগ সম্পর্কিত পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়৷” |
|
(ঘ) শিরোনামা সংখ্যা S০৩৯.০০ এবং উহার বিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলামের এন্ট্রি সমূহের পর নিম্নরূপ শিরোনামা সংখ্যা ও এন্ট্রি সমূহ সন্নিবেশিত হইবে, যথা: |
|
|
|
S০৪০ |
S০৪০.০০ |
সিকিউরিটি সার্ভিস: |
|
|
ব্যাখ্যা: “সিকিউরিটি সার্ভিস” অর্থ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যে কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, ভবন, কমপ্লেক্স, অংগন, অফিস বা অন্য যে কোন ধরনের স্থাপনার বা কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রহরী, কর্মী, জনবল বা যন্ত্রপাতি সরবরাহ কাজে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান৷ |
|
|
|
S০৪১ |
S০৪১.০০ |
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র: |
|
|
ব্যাখ্যা: “শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র” অর্থ এমন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থান যেখানে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শাড়ীসহ যে কোন ধরনের তৈরী পোশাক পণের বিনিময়ে বিক্রয় করিয়া থাকেন অথবা বিক্রয়ের লক্ষ্যে প্রদর্শন করেন৷ |
S০৪২ |
S০৪২.০০ |
স্বয়ংক্রিয় বা যন্ত্রচালিত করাতকল: |
|
|
ব্যাখ্যা: “স্বয়ংক্রিয় বা যন্ত্রচালিত করাতকল” অর্থ স্বয়ংক্রিয় বা যন্ত্রচালিত করাত কল যাহার দ্বারা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পণের বিনিময়ে গাছ, গাছের কান্ড বা গুড়ি বা শাখা প্রশাখা চেরাই কিংবা যে কোন ধরনের কাঠ কর্তন, চেরাই, মসৃণ করার কাজ করিয়া থাকেন; এবং কাঠ সিজনিং প্লান্টও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷ |
S০৪৩ |
S০৪৩.০০ |
ট্রেড সার্ভিস: |
|
|
ব্যাখ্যা: “ট্রেড সার্ভিস” অর্থ এমন কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি যাহা বা যিনি আমদানিকৃত বা দেশে উত্পাদিত পণ্যের কোনরূপ আকৃতি, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য বা গুণগত পরিবর্তন না করিয়া পণের বিনিময়ে উক্ত পণ্য পাইকারীভাবে (Wholesale) বিক্রয়, বিনিময় বা হস্তান্তর করেন৷”; |
|
|
|
(১৫) তৃতীয় তফসিলের পরিবর্তে এই আইনের চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত তফসিল প্রতিস্থাপিত হইবে৷ |