ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
১১৷ (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক ও নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন৷
(২) ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার দায়িত্ব পালনে চ্যান্সেলরের নিকট দায়ী থাকিবেন৷
(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাঁহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
(৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর ভাইস-চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকিবে৷
(৫) অধ্যাদেশ ও সংবিধি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা রক্ষার জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর দায়ী থাকিবেন৷
(৬) ভাইস-চ্যান্সেলর জরুরী পরিস্থিততে তাত্ক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন মনে করিলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণতঃ যে কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিতেন সেই কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে যথাশীঘ্র সম্ভব গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন৷
(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করিলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
(৮) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে যে কোন কর্মচারী, কর্মকর্তা কিংবা শিক্ষককে সমবেতন ও সমমর্যাদার অন্য কোন পদে বদলী করিতে পারিবেন৷
(৯) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, ছাত্র-শৃংখলা কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর যদি কোন কর্তৃপক্ষের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের সহিত একমত পোষণ না করেন তাহা হইলে তিনি উহার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নিয়মিত সভায় সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইতে পারিবেন এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ পুনর্বিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলরের সহিত দ্বিমত পোষণ করে তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্যে সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
(১১) সংবিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োগ করিবেন৷