প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
২০৷ 1[(১) ধারা ৩৫ এর বিধান সাপেক্ষে এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার ধারা ২৬ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ২৬ক এর অধীন পঠিত ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য হইবে।]
(২) ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী শুরু হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা চলিবে।
(৩) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে একশত আশি 2[কার্যদিবসের] মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
3[(৩ক) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, ধারা ৯ এর অধীন ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার বিচারকার্য ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে নব্বই কার্যদিবসের মধ্যে সমাপ্ত করিবে।]
4[(৪) উপ-ধারা (৩) এবং উপ-ধারা (৩ক) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন না হইবার জন্য কোন সরকারি কর্মকর্তা দায়ী তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচারণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং উক্ত অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবন্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।]
(৫) কোন মামলার বিচারকার্য শেষ না করিয়া যদি কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলী হইয়া যান, তাহা হইলে তিনি বিচারকার্যের যে পর্যায়ে মামলাটি রাখিয়া গিয়াছেন, সেই পর্যায় হইতে তাহার স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করিবেন এবং তাহার পূর্ববর্তী বিচারক যে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছেন সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করার প্রয়োজন হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি বিচারক কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা অপরিহার্য বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইয়াছে এমন যে কোন সাক্ষীকে তলব করিয়া পুনরায় তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন।
5[(৬) কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করিলে এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন অপরাধের বিচার কার্যক্রম রুদ্ধদ্বার কক্ষে (trial in camera) অনুষ্ঠান করিতে পারিবে।]
(৭) কোন শিশু এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে বা উক্ত অপরাধের সাক্ষী হইলে তাহার ক্ষেত্রে 6[শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন)] এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব অনুসরণ করিতে হইবে।
7[(৮) কোন নারী বা শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখিবার আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, উক্ত নারী বা শিশুর কল্যাণ ও স্বার্থ রক্ষার্থে তাহার মতামত গ্রহণ ও বিবেচনা করিবে।]
8[(৯) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কেবল ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া বিচারকার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে।]