প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০

( ২০০০ সনের ৮ নং আইন )

ট্রাইব্যুনালের এখ্‌তিয়ার

২৭৷ 1[(১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।

 
 
 
 

(১ক) কোন অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন মর্মে হলফনামা সহকারে ট্রাইব্যুনালের নিকট অভিযোগ দাখিল করিলে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকারীকে পরীক্ষা করিয়া,-

 
 
 
 

(ক) সন্তুষ্ট হইলে অভিযোগটি অনুসন্ধানের (inquiry) জন্য কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগটি অনুসন্ধান করিয়া সাত কার্য দিবসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের নিকট রিপোর্ট প্রদান করিবেন;

 
 
 
 

(খ) সন্তুষ্ট না হইলে অভিযোগটি সরাসরি নাকচ করিবেন।

 
 
 
 

(১খ) উপ-ধারা (১ক) এর অধীন রিপোর্ট প্রাপ্তির পর কোন ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-

 
 
 
 

(ক) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন এবং অভিযোগের সমর্থনে প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ আছে সেই ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উক্ত রিপোর্ট ও অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন;

 
 
 
 

(খ) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় নাই কিংবা অভিযোগের সমর্থনে কোন প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই সেই ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি নাকচ করিবেন।

 
 
 
 

(১গ) উপ-ধারা (১) এবং (১ক) এর অধীন প্রাপ্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল, যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবেন।]

 
 
 
 

(২) যে ট্রাইব্যুনালের এখ্‌তিয়ারাধীন এলাকায় কোন অপরাধ বা উহার কোন অংশ সংঘটিত হইয়াছে অথবা যেখানে অপরাধীকে বা, একাধিক অপরাধীর ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজনকে পাওয়া গিয়াছে, সেই স্থান বা ট্রাইব্যুনালের এখ্‌তিয়ারাধীন, সেই ট্রাইব্যুনালে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণের জন্য রিপোর্ট বা অভিযোগ পেশ করা যাইবে এবং সেই ট্রাইব্যুনাল অপরাধটির বিচার করিবে।

 
 
 
 

(৩) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সংগে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটির বিচার এই আইনের অধীন অপরাধের সহিত এই আইনের বিধান অনুসরণে একই সংগে বা একই ট্রাইব্যুনালে করা যাইবে।


  • 1
    উপ-ধারা (১), (১ক), (১খ) এবং (১গ) পূর্ববর্তী উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs