প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০

( ২০০০ সনের ৮ নং আইন )

1[অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা]

2[৩২৷ 3[(১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া সরকারি হাসপাতালে কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন বেসরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাইবে এবং সরকারি হাসপাতালে এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তি নিজে হাজির হইলে কিংবা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা অপরাধের শিকার ব্যক্তি পুলিশ কর্তৃক উপস্থাপিত হইলে তাহাদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য কোন ফি প্রদেয় হইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন হাসপাতালে এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য উপস্থিত করা হইলে, উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহার মেডিক্যাল পরীক্ষা অতিদ্রুত সম্পন্ন করিবে এবং উক্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হইবার পরবর্তী বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি সার্টিফিকেট বিনামূল্যে অপরাধের শিকার ব্যক্তিকে বা, ক্ষেত্রমত, তাহার পরিবারকে ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রদান করিবে এবং এইরূপ অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি স্থানীয় থানাকে অবহিত করিবে।]

 
 
 
 

(৩) এই ধারার অধীন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে, তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা, ক্ষেত্রমত, মেডিক্যাল পরীক্ষার আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ম্যাজিষ্ট্রেট, ট্রাইব্যুনাল বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে, এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে ৷]


  • 1
    “অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা” শব্দগুলি “অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা” শব্দগুলির পরিবর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ২২ নং আইন) এর ৬ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    ধারা ৩২ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    উপ-ধারা (১) ও (২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ১১ নং অধ্যাদেশ) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs