পরিবেশ আদালতের এখ্তিয়ার
                        
                        
                    
                    
                    
                
            
            
                
                	৫৷ (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিবেশ আইনের অধীন অপরাধের বিচার ও ক্ষতিপূরণ লাভের জন্য বা উভয়ের জন্য এই আইনের বিধান অনুসারে পরিবেশ আদালতে সরাসরি মামলা করিতে হইবে এবং শুধু উক্ত আদালতে বিচারার্থ গ্রহণ (cognizance), বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণসহ উহার বিচার ও নিষ্পত্তি হইবে৷
 
 
 
 
	 [(২) পরিবেশ আদালত এই আইনের ধারা ৫ক এর অধীন অপরাধসহ অন্য কোন পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ, উক্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উহার অংশবিশেষ, যানবাহন বা অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী বা বস্তু বাজেয়াপ্তির আদেশ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আদেশ বা ডিক্রি প্রদান করিতে পারিবে; এবং এতদ্ব্যতীত উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে একই রায়ে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) 	যে কাজ করা বা না করার কারণে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে, উহার পুনরাবৃত্তি না করা বা অব্যাহত না রাখা বা, ক্ষেত্রমত, এইরূপ কাজ করার জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;
 
 
 
 
(খ) 	উক্ত অপরাধ বা ঘটনার কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হইয়াছে বা হইতে পারে উহার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে আদালতের বিবেচনামত উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত ব্যক্তিকে বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;
 
 
 
 
(গ) 	দফা (খ) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধরণ এবং মহা-পরিচালক বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ:
 
 
 
 
	তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) বা (গ) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পুনঃবিবেচনার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি রায় প্রদানের তারিখের অনধিক ১৫(পনের) দিনের মধ্যে আবেদন করিতে পারিবেন এবং মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া এইরূপ আবেদন আদালত পরবর্তী ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
	(৩) পরিদর্শকের লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন পরিবেশ আদালত কোন অপরাধ বা কোন পরিবেশ আইনের অধীন ক্ষতিপূরণের দাবী বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না:
 
 
 
 
	তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত পরিদর্শক কোন অপরাধের অভিযোগ বা তগতিপূরণের দাবী গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি উহার ভিত্তিতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন নাই এবং উক্ত অভিযোগ বা দাবী বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা আছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকেই সরাসরি উক্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা তগতিপূরণের দাবী বিচারার্থ গ্রহণ করিতে বা যথাযথ মনে করিলে অভিযোগ বা দাবী সম্পর্কে  তদন্তর জন্য উক্ত পরিদর্শক তদন্তর নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷]
 
 
 
 
	(৪) ও (৫) [পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]