পরিবেশ আদালতের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা
৮৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, [* * *] বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে এবং পরিবেশ আদালত একটি ফৌজদারী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং ফৌজদারী কার্যবিধিতে সেশনস আদালত কর্তৃক কোন মামলার নিষ্পত্তির জন্য যে পদ্ধতি নির্ধারিত আছে পরিবেশ আদালত সে পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া মামলার বিচার ও নিষ্পত্তি করিবে৷
(২) [পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]
(৩) পরিবেশ আদালত উহার নিকট বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বা ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তর প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে৷
(৪) এই আইন বা পরিবেশ আইন দ্বারা ন্যস্ত যে কোন ক্ষমতা পরিবেশ আদালত প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
[(৫) পরিবেশ আদালতে বিচার্য সকল মামলা রাষ্ট্রের পক্ষে একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বা অতিরিক্ত বা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর পরিচালনা করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, পরিদর্শক বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা পরিচালনায় উক্ত প্রসিকিউটরকে সহায়তা করিতে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতে তাহার বক্তব্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷]
(৬) তগতিপূরণ সংক্রান্ত্ম মামলা বিচার ও নিষ্পত্তির তেগত্রে এই আইনের বিধান সাপেতেগ, দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং সেই তেগত্রে পরিবেশ আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন কোন তগতিপূরণের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
(৭) বিচারের জন্য মামলার শুনানী তিনবারের অধিক মুলতবী করা যাইবে না এবং একশত আশি দিনের মধ্যে পরিবেশ আদালত উক্ত মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি এই সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হয়, তাহা হইলে পরিবেশ আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত একশত আশি দিনের পরবর্তী পনের দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিবেশ আপীল আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত একশত আশি দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে৷