আপীল
১১৷ (১) দেওয়ানী কার্যবিধি বা ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কোন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী [ব্যতীত] পরিবেশ আদালতের কার্যধারা, আদেশ, রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি ও আরোপিত দণ্ড সম্পর্কে কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপতেগর নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
(২) পরিবেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি বা আরোপিত দণ্ডের দ্বারা সংতগুব্ধ পক্ষ, উক্ত রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি বা দণ্ডাদেশ [খালাস আদেশ বা কোন দেওয়ানী মামলা খারিজের আদেশ বা উপ-ধারা (৩) এ উর্লিখিত আদেশ] প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে ধারা ১২ এর অধীন গঠিত পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল করিতে পারিবেন৷
[(৩) পরিবেশ আদালত প্রদত্ত অন্ত্মবর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ, স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ, জামিন মঞ্জুর করা বা না করার আদেশ, চার্জ গঠন বা ডিসচার্জ এর আদেশ এবং কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করা বা না করার আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল করা যাইবে; অন্য কোন অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে বা অন্য কোন আদালতে আপীল বা উহার বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
(৩ক) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রদত্ত দণ্ডাদেশ, খালাস আদেশ, জামিন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করার আদেশ, চার্জ গঠন বা ডিসচার্জ করার আদেশ এবং কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করা বা না করার আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল করা যাইবে; অন্য কোন আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে বা অন্য কোন আদালতে আপীল বা উহার বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷]
(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার উপর পরিবেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা ডিক্রির বিরুদ্ধে সংতগুব্ধ পক্ষ আপীল দায়ের করিতে ইচ্ছুক হইলে তিনি, ডিক্রিকৃত অর্থের অর্ধেক অর্থ ডিক্রি প্রদানকারী আদালতের নিকট জমা না করিয়া, উক্ত রায় বা ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন না৷