প্রিন্ট ভিউ

সালিস আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১ নং আইন )

পরিচ্ছেদ-৪

সালিসী ট্রাইব্যুনাল গঠন

সালিসকারীর সংখ্যা
১১। (১) উপ-ধারা (৩) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে সালিসী ট্রাইব্যুনালে সালিসকারীর সংখ্যা নির্ধারণে পক্ষগণের স্বাধীনতা থাকিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংখ্যা নির্ধারিত না হইলে তিনজন সালিসকারী সমন্বয়ে সালিসী ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে।
 
 
 
 
(৩) ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে পক্ষগণ যেইক্ষেত্রে জোড়সংখ্যক সালিসকারী নিয়োগ করিবে সেইক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্ত সালিসকারীগণ যৌথভাবে একজন অতিরিক্ত সালিসকারী নিয়োগ করিবেন, যিনি সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
সালিসকারী নিয়োগ
১২। (১) সালিসকারী নিয়োগ সম্পর্কিত পদ্ধতি নির্ধারণে সম্মত হইতে পক্ষগণের, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, স্বাধীনতা থাকিবে।
 
 
 
 
(২) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, যে কোন জাতীয়তার ব্যক্তিকে সালিসকারী নিয়োগ করা যাইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সম্মত পদ্ধতির অবর্তমানে-
 
 
 
 
(ক) একমাত্র সালিসকারী সমন্বয়ে গঠিত সালিসী ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে, কোন পক্ষ হইতে অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে পক্ষগণ সালিসকারী নিয়োগে সম্মত হইতে ব্যর্থ হইলে, যে কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে-
 
 
 
 
(অ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিস ব্যতীত অন্যান্য সালিসের ক্ষেত্রে, জেলাজজ উক্ত সালিসকারী নিয়োগ করিবেন; এবং
 
 
 
 
(আ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসের ক্ষেত্রে, প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের কোন বিচারক উক্ত সালিসকারী নিয়োগ করিবেন;
 
 
(খ) তিনজন সালিসকারী সমন্বয়ে গঠিত সালিসের ক্ষেত্রে, পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, প্রত্যেক পক্ষ একজন করিয়া সালিসকারী নিয়োগ করিবে এবং উক্তরূপে নিযুক্ত সালিসকারীগণ তৃতীয় একজন সালিসকারী নিয়োগ করিবেন, যিনি সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হইবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণের ক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) অপর পক্ষ হইতে অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে সালিসকারী নিয়োগ করিতে যদি কোন পক্ষ ব্যর্থ হন; অথবা
 
 
 
 
(খ) নিয়োগপ্রাপ্ত সালিসকারীগণ যদি তাহাদের নিয়োগের পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে তৃতীয় সালিসকারী নিয়োগে সম্মত হইতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে, যে কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত তৃতীয় সালিসকারী;
 
 
 
 
(গ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিস ব্যতীত অন্যান্য সালিসের ক্ষেত্রে জেলাজজ নিয়োগ করিবেন; এবং
 
 
 
 
(ঘ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি, কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের কোন বিচারক নিয়োগ করিবেন।
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর দফা (খ) এর অধীন নিযুক্ত তৃতীয় সালিসকারী উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হইবেন।
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন একাধিক সালিসকারী নিযুক্ত হইলে, জেলাজজ বা, ক্ষেত্রমত, প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের কোন বিচারক উক্ত সালিসকারীদের মধ্য হইতে একজনকে সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ করিবেন।
 
 
(৭) পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত নিয়োগ পদ্ধতির অধীন যদি-
 
 
 
 
(ক) কোন পক্ষ অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করিতে ব্যর্থ হয়; বা
 
 
 
 
(খ) পক্ষগণ, বা সালিসকারীগণ, অনুরূপ পদ্ধতির অধীন কোন বিষয়ে সম্মত হইতে ব্যর্থ হয়; বা
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি বা তৃতীয় কোন পক্ষ অনুরূপ পদ্ধতির অধীন উক্ত ব্যক্তি বা তৃতীয় পক্ষের উপর আরোপিত কোন দায়িত্ব সম্পাদনে ব্যর্থ হয়,
 
 
 
 
তাহা হইলে যে কোন পক্ষ, সালিস চুক্তিতে নিয়োগদান সম্পর্কে ভিন্নরূপ কোন পন্থা নির্ধারিত না থাকিলে, সালিসকারী কিংবা সালিসকারীদের নিয়োগ প্রদানের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য;
 
 
 
 
(ঘ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিস ব্যতীত অন্যান্য সালিসের ক্ষেত্রে, জেলাজজের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং জেলাজজ সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সালিসকারীদের নিয়োগ করিবেন; এবং
 
 
 
 
(ঙ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসের ক্ষেত্রে, প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের কোন বিচারকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের বিচারক সালিসী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সালিসকারীদের নিয়োগ করিবেন।
 
 
 
 
(৮) উপ-ধারা (৩), (৪) এবং (৭) এর অধীন সালিসকারী বা সালিসকারীগণের নিয়োগ উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে।
 
 
 
 
(৯) প্রধান বিচারপতি, কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের বিচারক কিংবা, ক্ষেত্রমত, জেলাজজকে এই ধারার অধীন সালিসকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষগণ কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তির অধীন সালিসকারীর যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতার শর্তসমূহ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সালিসকারী নিয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা করিতে হইবে।
 
 
 
 
(১০) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসে একমাত্র সালিসকারী কিংবা তৃতীয় সালিসকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি বা, ক্ষেত্রমত, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের বিচারক, পক্ষগণ একাধিক জাতীয়তার হইলে উক্ত জাতীয়তা হইতে ভিন্ন জাতীয়তার সালিসকারী নিয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
(১১) প্রধান বিচারপতি কিংবা, ক্ষেত্রমত, জেলাজজ এই ধারার অধীন বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য যেইরূপ পদ্ধতি বা পরিকল্পনা যথার্থ বলিয়া গণ্য করিবেন সেইরূপ পদ্ধতি কিংবা পরিকল্পনা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
 
 
(১২) উপ-ধারা (৩), (৪) এবং (৭) এর অধীন প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের বিচারক কিংবা, ক্ষেত্রমত, জেলাজজ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
 
 
 
 
(১৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রধান বিচারপতি, কোন নির্দিষ্ট মামলা বা মামলাসমূহের জন্য কিংবা সার্বিক দায়িত্ব পালনের জন্য কোন বিচারককে দায়িত্বে নিয়োগ করিতে এবং উক্ত বিচারকের দায়িত্বকাল নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় "জেলাজজ" অর্থে যে জেলাজজের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সালিস চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে সেই জেলাজজকে বুঝাইবে।
আপত্তির কারণসমূহ
১৩। (১) সালিসকারী হিসাবে নিয়োগের অনুরোধপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি প্রথমে তাহার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সম্পর্কে সঙ্গত সন্দেহের উদ্ভব হইতে পারে এইরূপ সকল পরিস্থিতি প্রকাশ করিবেন।
 
 
 
 
(২) প্রত্যেক সালিসকারী তাহার নিয়োগের সময় হইতে সালিসী কার্যধারা চলাকালীন যে কোন সময়ে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পরিস্থিতি অনতিবিলম্বে চুক্তির সকল পক্ষকে এবং অন্য সকল সালিসকারীকে অবগত করিবেন, যদি ইতোমধ্যে তাহারা তৎসম্পর্কে অবহিত না হইয়া থাকেন।
 
 
 
 
(৩) কোন সালিসকারীর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে যদি তাহার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকার কোন পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে বা পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত যোগ্যতা তাহার না থাকে।
 
 
 
 
(৪) সালিসকারী নিয়োগদানকারী বা সালিসকারী নিয়োগে সম্মতিদানকারী কোন পক্ষ, উক্ত নিয়োগের পরবর্তী সময়ে তাহার জানা কোন পরিস্থিতির কারণে, উক্ত সালিসকারীর বিরুদ্ধে আপত্তি দিতে পারিবেন।
আপত্তি দায়েরের পদ্ধতি
১৪। (১) উপ-ধারা (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, পক্ষগণ সালিসের বিরুদ্ধে আপত্তি দায়েরের পদ্ধতি নিরূপণে সম্মত হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সম্মতিতে উপনীত হইতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কোন পক্ষ কোন সালিসকারীর বিরুদ্ধে আপত্তি দায়ের করিতে চাহিলে উক্ত পক্ষ ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে আপত্তির কারণসমূহ বর্ণনা করিয়া সালিসী ট্রাইব্যুনালের নিকট আপত্তি দায়ের করিবে।
 
 
 
 
(৩) সংশ্লিষ্ট সালিসকারী তাহার পদ হইতে নিজেকে প্রত্যাহার না করিলে অথবা অপর পক্ষ বা একাধিক পক্ষের ক্ষেত্রে পক্ষগণ উক্ত আপত্তিতে সম্মত না হইলে, উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত লিখিত বিবৃতি দাখিল হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আপত্তির বিষয়ে সালিসী ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন সালিসী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৫) আপীল দায়ের হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।
 
 
 
 
(৬) পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত পদ্ধতি, কিংবা উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত পদ্ধতির অধীন দায়েরকৃত আপত্তি অথবা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আপীল অকৃতকার্য হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল সালিসী কার্যধারা অব্যাহত রাখিবে এবং রোয়েদাদ প্রদান করিবে।
সালিসকারীর কর্তৃত্বের অবসান
১৫। (১) সালিসকারীর কর্তৃত্বের অবসান হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) তিনি স্বীয় পদ হইতে নিজকে প্রত্যাহার করিয়া নেন;
 
 
 
 
(খ) তিনি মারা যান;
 
 
 
 
(গ) সকল পক্ষ তাহার অপসারণে সম্মত হয়; বা
 
 
 
 
(ঘ) তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অথবা অযৌক্তিক বিলম্ব ব্যতিরেকে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন এবং নিজেকে স্বীয় পদ হইতে প্রত্যাহার করিয়া নেন বা সকল পক্ষ তাহার কর্তৃত্বের অবসানে সম্মত হয়।
 
 
 
 
(২) যদি কোন সালিসকারী উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ উল্লেখিত কারণে অযোগ্যতার জন্য দায়ী হইয়া স্বীয় পদ হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিতে ব্যর্থ হন এবং সকল পক্ষ তাহার অপসারণে সম্মত হইতেও ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে-
 
 
 
 
(ক) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিস ব্যতীত অন্যান্য সালিসের ক্ষেত্রে, জেলাজজ;
 
 
 
 
(খ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টের কোন বিচারক- উক্ত সালিসকারীকে অপসারণ করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
(৩) যেইক্ষেত্রে পক্ষগণ সম্মত হয়, সেইক্ষেত্রে পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত ব্যক্তির দ্বারা অপসারণ কার্যকর হইবে।
 
 
 
 
(৪) যদি কোন সালিসকারী স্বীয় পদ হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিয়া নেন অথবা যেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ উল্লেখিত পরিস্থিতির অধীন সকল পক্ষ তাহার কর্তৃত্বের অবসানে সম্মত হয়, সেইক্ষেত্রে উহা এই দফা অথবা ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত কোন কারণের বৈধতার অর্থে গ্রহণ করা বুঝাইবে না।
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় "জেলাজজ" অর্থে যে জেলাজজের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সালিস চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে সেই জেলাজজকে বুঝাইবে।
কর্তৃত্বের অবসান হইয়াছে এমন সালিসকারীর প্রতিস্থাপন
১৬। (১) কোন সালিসকারীর কর্তৃত্বের অবসান হইলে উক্ত সালিসকারীর প্রতিস্থাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল সালিসকারী নিয়োগের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
 
 
 
 
(২) পক্ষগণের মধ্যে মতৈক্যের অবর্তমানে-
 
 
 
 
(ক) প্রতিস্থাপিত সালিসকারী, সালিসী ট্রাইব্যুনালের বিবেচনা মোতাবেক, যে পর্যায়ে অপসারিত সালিসকারীর কর্তৃত্ব অবসান হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে শুনানী অব্যাহত রাখিবেন;
 
 
 
 
(খ) কোন সালিসকারীর কর্তৃত্ব অবসান হওয়ার পূর্বে সালিসী ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশ অথবা কোন সিদ্ধান্ত অনুরূপ অবসানের কারণে অবৈধ হইবে না।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs