প্রিন্ট ভিউ

সালিস আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১ নং আইন )

পরিচ্ছেদ-৫

সালিসী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার

সালিসী ট্রাইব্যুনালের স্বীয় এখতিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা
১৭। পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হওয়ার ক্ষেত্রে, নিম্নোক্ত বিষয়সহ যে কোন প্রশ্নে সালিসী ট্রাইব্যুনাল স্বীয় এখতিয়ারে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বৈধ সালিস চুক্তির অস্তিত্ব থাকা;
 
 
 
 
(খ) সালিসী ট্রাইব্যুনালের যথাযথভাবে গঠন;
 
 
 
 
(গ) সালিস চুক্তিটি জননীতির পরিপন্থী হওয়া;
 
 
 
 
(ঘ) সালিস চুক্তিটি সম্পাদনের অযোগ্য হওয়া; এবং
 
 
 
 
(ঙ) সালিস চুক্তি মোতাবেক সালিসে প্রেরিত বিষয়াদি।
চুক্তির বিভাজ্যতা
১৮। সালিসী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে অন্য চুক্তির অংশরূপে বিদ্যমান প্রত্যেক সালিস চুক্তি একটি পৃথক চুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে।
সালিসী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার বিষয়ে আপত্তি
১৯। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার সম্পর্কিত কোন আপত্তি জবাব দাখিলের পূর্বে উত্থাপন করিতে হইবে।
 
 
 
 
(২) সালিস কার্যধারা চলাকালে সালিসী ট্রাইব্যুনাল কোন বিষয়ে উহার কর্তৃত্বের পরিসীমা অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে পরিসীমা বহির্ভূত বিষয়ক অভিযোগ উত্থাপন করিতে হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লেখিত সময়সীমার পরে উত্থাপিত কোন আপত্তি গ্রহণ করা যাইবে যদি সালিসী ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় উক্তরূপ বিলম্ব যুক্তিসংগত বিবেচিত হয়।
 
 
 
 
(৪) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লেখিত আপত্তির উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং যেইক্ষেত্রে সালিসী ট্রাইব্যুনাল কোন অভিযোগ খারিজ করিবে সেইক্ষেত্রে সালিসী কার্যধারা অব্যাহত রাখিবে এবং রোয়েদাদ প্রদান করিবে।
 
 
 
 
(৫) কোন সালিসকারী নিয়োগ করিয়াছেন বা নিয়োগদানে অংশগ্রহণ করিয়াছেন কেবলমাত্র এই কারণে কোন পক্ষ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপন করা হইতে বারিত হইবেন না।
এখতিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা
২০। (১) হাইকোর্ট বিভাগ, সালিসী কার্যধারার যে কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে, অন্য সকল পক্ষের প্রতি নোটিশ জারীপূর্বক, সালিসী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) এই ধারার অধীনে কোন আবেদন বিবেচনা করা হইবে না, যদি না হাইকোর্ট বিভাগ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-
 
 
 
 
(ক) বিষয়টি নিষ্পত্তি হইলে খরচার পর্যাপ্ত সাশ্রয় হইতে পারে;
 
 
 
 
(খ) আবেদনটি অবিলম্বে দাখিল করা হইয়াছিল; এবং
 
 
 
 
(গ) বিষয়টি নিষ্পত্তির সমর্থনে উত্তম যুক্তি রহিয়াছে।
 
 
 
 
(৩) যেই সকল যুক্তির ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন সেই সকল যুক্তি উক্ত আবেদনে উল্লেখ করিতে হইবে।
 
 
 
 
(৪) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, এই ধারার অধীন কোন আবেদন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকাকালে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল সালিস কার্যক্রম অব্যাহত রাখিতে এবং রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে।
সালিসী ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
২১। (১) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, কোন পক্ষের অনুরোধে বিরোধীয় কোন বিষয় সম্পর্কে অন্তর্বর্তীকালীন সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সালিসী ট্রাইব্যুনাল অন্য কোন পক্ষকে আদেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা যাইবে না।
 
 
 
 
(২) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্দেশিত ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন পক্ষকে উপযুক্ত জামানত সরবরাহের নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৩) অপর পক্ষকে নোটিশ প্রদান ব্যতীত এই ধারার অধীনে কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, বিলম্বের কারণে এই ধারার অধীন অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইবে, তাহা হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল নোটিশ প্রদানের শর্ত পরিহার করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
(৪) সালিসী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধকারী পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক বলবৎ হইতে পারিবে।
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা বলবৎকরণের জন্য আদালতে দাখিলকৃত আবেদন ধারা ৭ বা সালিসী চুক্তির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বা চুক্তির কোন শর্ত পরিত্যাগ নয় মর্মে গণ্য হইবে।
সালিস ব্যতীত অন্যভাবে নিষ্পত্তি
২২। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সালিস ব্যতীত অন্যভাবে বিরোধের নিষ্পত্তি উৎসাহিত করা হইলে উহা সালিস কার্যধারার সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে না এবং সালিসী ট্রাইব্যুনাল সকল পক্ষের সম্মতিক্রমে, সালিসী কার্যধারার যে কোন পর্যায়ে, বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতা, আপোষ বা অন্য যে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) সালিসী কার্যধারা চলাকালে পক্ষগণ বিরোধীয় বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করিলে এবং পক্ষগণ কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইলে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল উক্তরূপ নিষ্পত্তিকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হিসাবে সালিসী রোয়েদাদ আকারে লিপিবদ্ধ করিবে।
 
 
 
 
(৩) সর্বসম্মত শর্তে সালিসী রোয়েদাদ ধারা ৩৮ মোতাবেক প্রদত্ত হইবে এবং উহা যে একটি সম্মত শর্তের সালিসী রোয়েদাদ এই মর্মে উক্ত রোয়েদাদে উল্লেখ করিতে হইবে।
 
 
 
 
(৪) সর্বসম্মত শর্তের সালিসী রোয়েদাদের মর্যাদা ও কার্যকরতা বিরোধীয় অন্য যে কোন বিষয়ে প্রদত্ত সালিসী রোয়েদাদের অনুরূপ হইবে।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs