প্রিন্ট ভিউ

সালিস আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১ নং আইন )

পরিচ্ছেদ-৬

সালিসী কাযর্ধারা পরিচালনা

সালিসী ট্রাইব্যুনালের সাধারণ দায়িত্ব
২৩। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার নিকট দাখিলকৃত যে কোন বিরোধ ন্যায়সংগত এবং পক্ষপাতহীনভাবে নিষ্পত্তি করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে-
 
 
 
 
(ক) প্রত্যেক পক্ষকে লিখিত, মৌখিক বা উভয়ভাবে তাহার মামলা উপস্থাপনের যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) প্রত্যেক পক্ষকে অন্যান্য পক্ষ বা সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত দলিল ও প্রাসংগিক অন্যান্য সামগ্রী পরীক্ষা করার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিবে।
 
 
(২) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার নিকট সালিসের জন্য দাখিলকৃত কোন বিরোধ যথাসম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করিবে।
 
 
 
 
(৩) সালিসী ট্রাইব্যুনাল সালিসী কার্যধারা পরিচালনার ক্ষেত্রে, কার্যবিধি ও সাক্ষ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং উহার উপর অর্পিত অন্য সকল ক্ষমতা প্রয়োগে ন্যায়সংগত, পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালন করিবে।
সালিসী ট্রাইব্যুনাল দেওয়ানী কার্যবিধি আইন এবং সাক্ষ্য আইন অনুসরণে বাধ্য নয়
২৪। এই আইনের অধীন কোন বিরোধীয় বিষয় নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সালিসী ট্রাইব্যুনাল দেওয়ানী কার্যবিধি এবং সাক্ষ্য আইনের বিধানাবলী অনুসরণে বাধ্য হইবে না।
কার্যবিধি নির্ধারণ
২৫। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার কার্যধারায় অনুসরণীয় সকল বা যে কোন বিষয়ে, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, পক্ষগণ কর্তৃক নির্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কার্যপদ্ধতির অনুপস্থিতিতে সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার কার্যধারা পরিচালনায় পদ্ধতিগত ও সাক্ষ্যগত বিষয়গুলি, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্ধারণ করিবে।
 
 
 
 
(৩) পক্ষগণ কর্তৃক চুক্তির মাধ্যমে, বা সালিসী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কার্যধারা পরিচালনায় পদ্ধতিগত ও সাক্ষ্যগত বিষয়গুলি নির্ধারণের ক্ষমতার হানি না করিয়া উক্তরূপ পদ্ধতিগত ও সাক্ষ্যগত বিষয়গুলিতে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে; যথা:-
 
 
 
 
(ক) সমগ্র বা আংশিক কার্যধারা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় ও স্থান;
 
 
 
 
(খ) কার্যধারায় ব্যবহার্য ভাষা এবং কোন সংশ্লিষ্ট দলিলের অনুবাদ সরবরাহ করা;
 
 
 
 
(গ) দাবী সংক্রান্ত লিখিত বিবরণ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের নমুনা, দাখিলের সময় এবং সংশোধনের পরিসীমা;
 
 
 
 
(ঘ) দলিলের প্রকাশ ও উপস্থাপন;
 
 
 
 
(ঙ) পক্ষগণকে জিজ্ঞাসিতব্য প্রশ্ন ও উহার জবাব;
 
 
 
 
(চ) কোন উপাদানের গ্রহণযোগ্যতা, প্রাসংগিকতা বা ওজনের বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক সাক্ষ্য;
 
 
 
 
(ছ) বিরোধীয় বিষয়ে ঘটনা বা আইনগত দিক পর্যালোচনায় সালিসী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা;
 
 
 
 
(জ) মৌখিক বা লিখিত সাক্ষ্য পেশ বা উপস্থাপন।
 
 
 
(৪) সালিসী ট্রাইব্যুনাল তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোন নির্দেশ বাস্তবায়নের সময় ধার্য করিতে এবং ধার্যকৃত সময় বর্ধিত করিতে পারিবে।
সালিসের স্থান
২৬। (১) পক্ষগণ সালিসের স্থান নির্ধারণের লক্ষ্যে মতৈক্যে উপনীত হইতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মতৈক্য না হইলে, পক্ষগণের সুবিধাসহ মামলার অবস্থা বিবেচনায় রাখিয়া সালিসী ট্রাইব্যুনাল সালিসের স্থান নির্ধারণ করিবে।
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার সদস্যদের আলাপ আলোচনার জন্য, সাক্ষী, বিশেষজ্ঞ বা পক্ষগণের শুনানীর জন্য বা দলিল, দ্রব্যসামগ্রী বা অন্যান্য সম্পত্তি পরিদর্শনের জন্য তৎকর্তৃক উপযুক্ত বিবেচিত যে কোন স্থানে মিলিত হইতে পারিবে।
সালিসী কার্যধারা শুরু
২৭। পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, কোন সালিসী কার্যধারা শুরু হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট সালিস চুক্তি প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন বিরোধের উদ্ভব হয়; এবং
 
 
 
 
(খ) চুক্তির কোন পক্ষ-
 
 
 
 
(অ) অন্য পক্ষের নিকট হইতে উক্ত চুক্তি হইতে উদ্ভুত কোন বিরোধ সালিসে প্রেরণ করিতে বা প্রেরণ করার বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপনের নোটিশ প্রাপ্ত হয়; বা
 
 
 
 
(আ) অন্য পক্ষের নিকট হইতে বিরোধীয় বিষয়ে একটি সালিসী ট্রাইব্যুনাল নিয়োগের জন্য বা নিয়োগে অংশগ্রহণ করিতে বা সম্মত হইতে বা একটি সালিসী ট্রাইব্যুনালের নিযুক্তিতে অনুমোদন জ্ঞাপনের নোটিশপ্রাপ্ত হয়।
কার্যধারা সংহতকরণ এবং একত্রে শুনানী
২৮। (১) পক্ষগণ এতদুদ্দেশ্যে সম্মত হইতে পারিবে যে-
 
 
 
 
(ক) কোন সালিসী কার্যধারা অন্য সালিসী কার্যধারার সাথে সংহত হইবে;
 
 
 
 
(খ) সম্মত শর্তাধীনে একত্রে শুনানী অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
 
 
(২) পক্ষগণ মতৈক্যের মাধ্যমে অনুরূপ ক্ষমতা সালিসী ট্রাইব্যুনালকে অর্পণ না করিলে, কার্যধারা সংহতকরণ বা একত্রে শুনানীর আদেশ প্রদানের কোন ক্ষমতা সালিসী ট্রাইব্যুনালের থাকিবে না।
দাবীর বিবরণী ও জবাব
২৯। (১) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাবীকারী তাহার দাবী সমর্থনকারী ঘটনা, বিবেচ্য বিষয় ও প্রার্থীত প্রতিকার বর্ণনা করিবে এবং প্রতিপক্ষ এই সকল সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জবাব প্রদান করিবে।
 
 
 
 
(২) পক্ষগণ বিবরণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দলিল দাখিল করিতে এবং ভবিষ্যতে উপস্থাপন করা হইবে এইরূপ সকল দলিল বা সাক্ষ্যের বিবরণ সংযুক্ত করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৩) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, সালিসী কার্যধারা চলাকালে যে কোন পক্ষ তাহার দাবী সংশোধন বা দাবীর সহিত সংযোজন করিতে পারিবে, যদি না সালিসী ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচার বা বিলম্ব এড়ানোর স্বার্থে উক্ত সংশোধন বা সংযোজন মঞ্জুর করা যথাযথ হইবে না মর্মে বিবেচনা করে।
শুনানী ও কার্যধারা
৩০। (১) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য মৌখিক শুনানী বা মৌখিক যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠান করা হইবে কিনা অথবা পক্ষগণ কর্তৃক দাখিলকৃত হলফনামাসহ দলিল ও অন্যান্য উপাদানের ভিত্তিতে কার্যধারা পরিচালনা করা হইবে কিনা তাহা সালিসী ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মৌখিক শুনানী অনুষ্ঠিত হইবে না মর্মে পক্ষগণ মতৈক্যে উপনীত না হইলে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল যে কোন পক্ষের অনুরোধে বা নিজ উদ্যোগে কার্যধারার যথাযথ পর্যায়ে মৌখিক শুনানী গ্রহণ করিবে।
 
 
 
 
(২) শুনানী গ্রহণ এবং দলিল, দ্রব্যসামগ্রী বা অন্যান্য সম্পত্তি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সালিসী ট্রাইব্যুনালের বৈঠকের বিষয়ে পক্ষগণকে পর্যাপ্ত অগ্রিম নোটিশ প্রদান করিবে।
 
 
 
 
(৩) সালিসী ট্রাইব্যুনালের নিকট সরবরাহকৃত সকল বিবরণী, দলিল বা অন্যান্য তথ্য বা কোন একপক্ষ কর্তৃক উক্ত ট্রাইব্যুনালের নিকট দাখিলকৃত আবেদন সম্পর্কে অপর পক্ষকে অবগত করিবে এবং সালিসী ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নির্ভর করিতে পারে এইরূপ যে কোন বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন বা সাক্ষ্যগত দলিল পক্ষগণকে অবগত করিবে।
আইনগত বা অন্যান্য প্রতিনিধিত্ব
৩১। পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, সালিসী কার্যধারার কোন পক্ষ আইনজীবী বা তাহার মনোনীত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত কার্যধারায় প্রতিনিধিত্ব করিতে পারিবে।
বিশেষজ্ঞ, আইন উপদেষ্টা বা এসেসর নিয়োগের ক্ষমতা
৩২। (১) পক্ষগণের মধ্যে ভিন্নরূপ চুক্তি না থাকিলে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল-
 
 
 
 
(ক) তৎকর্তৃক নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিশেষজ্ঞ বা আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) কারিগরি বিষয়ে সহায়তাদানের জন্য এসেসর নিয়োগ করিতে পারিবে; এবং
 
 
(গ) সংশ্লিষ্ট কোন তথ্য প্রদানের বা সংশ্লিষ্ট দলিল, দ্রব্যসামগ্রী বা অন্যান্য সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ, আইন উপদেষ্টা, বা, ক্ষেত্রমত, এসেসরের পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করিতে বা উহাতে প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য কোন পক্ষকে আদেশ করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে-
 
 
 
 
(ক) কোন পক্ষের বা সালিসী ট্রাইব্যুনালের অনুরোধে কোন বিশেষজ্ঞ, আইন উপদেষ্টা, বা, ক্ষেত্রমত, এসেসর তাহার লিখিত বা মৌখিক প্রতিবেদন দাখিল এবং তথ্য, মতামত বা পরামর্শ সরবরাহ করিবার পর মৌখিক শুনানীতে অংশগ্রহণ করিবে, যাহাতে পক্ষগণ তাহাকে প্রশ্ন করিতে এবং বিবেচ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাইতে পারে;
 
 
 
 
(খ) বিশেষজ্ঞ, আইন উপদেষ্টা, বা, ক্ষেত্রমত, এসেসর তাহার দখলে থাকা সমুদয় দলিল, দ্রব্যসামগ্রী বা অন্যান্য সম্পত্তি, যাহা প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য তাহাকে সরবরাহ করা হইয়াছিল, তাহা কোন পক্ষের অনুরোধে উক্ত পক্ষের প্রাপ্তিসাধ্য করিবে;
 
 
 
 
(গ) কোন বিশেষজ্ঞ, আইন উপদেষ্টা বা এসেসর কর্তৃক সালিসী ট্রাইব্যুনালে দালিখকৃত কোন প্রতিবেদন, তথ্য, মতামত বা পরামর্শের উপর মন্তব্য করার জন্য পক্ষগণকে যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিবে।
সাক্ষীর প্রতি সমন
৩৩। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনাল বা, সালিসী ট্রাইব্যুনালের অনুমতিক্রমে, সালিসী কার্যধারার কোন পক্ষ প্রয়োজনীয় কোন ব্যক্তিকে পরীক্ষার জন্য, বা দ্রব্যসামগ্রী উপস্থাপনের জন্য বা উভয় উদ্দেশ্যে সালিসী ট্রাইব্যুনালের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য বা, ক্ষেত্রমত, উপস্থাপনের জন্য সমন ইস্যুর লক্ষ্যে আদালতে আবেদন করিতে পারিবে এবং আদালত অনুরূপ সমন ইস্যু করিবে।
 
 
 
 
(২) আদালতে কোন মোকদ্দমার বিচারে কোন ব্যক্তিকে যে প্রশ্নের উত্তরদানে বা যে দ্রব্য উপস্থাপনে বাধ্য করা যায় না উপ-ধারা (১) এর অধীন ইস্যুকৃত কোন সমনের মাধ্যমে সালিসী ট্রাইব্যুনালে হাজির করা কোন ব্যক্তিকে সেইরূপ কোন প্রশ্নের উত্তরদানে বা দলিল বা দ্রব্য-সামগ্রী উপস্থাপনেও বাধ্য করা যাইবে না।
 
 
 
 
(৩) যেই সকল ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীনে ইস্যুকৃত সমন অনুসারে সালিসী ট্রাইব্যুনালে হাজির হইতে ব্যর্থ হইবে, বা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে বা বিষয়ে বিচ্যুতি করিবে বা সম্পাদনে অস্বীকার করিবে বা সালিসী কার্যধারা চলাকালে সালিসী ট্রাইব্যুনাল অবমাননার অপরাধ করিবে, তাহা হইলে, সালিসী ট্রাইব্যুনালের অভিযোগের ভিত্তিতে তাহারা, আদালতের আদেশ দ্বারা, আদালতে মোকদ্দমার বিচারকালে কৃত অনুরূপ অপরাধের জন্য যেইরূপ শাস্তির জন্য দায়ী হইতেন সেইরূপ শাস্তির জন্য দায়ী হইবেন।
সালিসী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান
৩৪। পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে-
 
 
 
 
(ক) সালিসী ট্রাইব্যুনালে মৌখিক বা লিখিতভাবে বা এফিডেভিট দ্বারা সাক্ষ্য প্রদান করা যাইবে;
 
 
 
 
(খ) সাক্ষীর সম্মতি সাপেক্ষে, সালিসী ট্রাইব্যুনাল সাক্ষীকে শপথ বা সত্য পাঠ করাইতে পারিবে।
পক্ষগণের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সালিসী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা
৩৫। (১) যথাযথভাবে ও দ্রুত সালিসী কার্যধারা পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় কোন কিছু সম্পাদনে কোন পক্ষের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সালিসী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতার বিষয়ে পক্ষগণ চুক্তিতে উপনীত হইতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) কোন দাবীদার ধারা ২৯ এর-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) অনুসারে তাহার দাবীর বিবরণী প্রদানে ব্যর্থ হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল কার্যধারা সমাপ্ত করিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) উপ-ধারা (১) অনুসারে উক্ত দাবীদারের প্রতিপক্ষ জবাবের বিবরণী প্রদানে ব্যর্থ হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল ঐ ব্যর্থতাকে অভিযোগের স্বীকৃতি গণ্য না করিয়া কার্যধারা অব্যাহত রাখিবে।
 
 
 
 
(৩) যদি সালিসী ট্রাইব্যুনালের নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দাবী আদায়ের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে দাবীদার এমন অস্বাভাবিক ও অমার্জনীয় বিলম্ব করিয়াছেন যাহার ফলে-
 
 
 
 
(ক) বিরোধের ন্যায্য সমাধান সম্ভব না হওয়ার মত বাস্তব ঝুঁকির সৃষ্টি হইয়াছে বা হইবার সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে; বা
 
 
 
 
(খ) প্রতিপক্ষের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হইয়াছে বা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে-
 
 
 
 
তাহা হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল দাবী খারিজ করিয়া রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৪) যদি কোন পক্ষ, পর্যাপ্ত কারণ ব্যতীত, এতদুদ্দেশ্যে জারীকৃত নোটিশপ্রাপ্তি সত্ত্বেও-
 
 
 
 
(ক) কোন মৌখিক শুনানীতে হাজির হইতে বা প্রতিনিধিত্ব করিতে ব্যর্থ হয়; বা
 
 
 
 
(খ) আবশ্যকীয় লিখিত সাক্ষ্য দাখিল করিতে বা লিখিত নিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল উক্ত পক্ষের অনুপস্থিতিতে বা, ক্ষেত্রমত, তাহার পক্ষে লিখিত সাক্ষ্য বা নিবেদন উপস্থাপন ব্যতীত কার্যধারা অব্যাহত রাখিতে এবং উপস্থাপিত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
(৫) কোন পক্ষ পর্যাপ্ত কারণ প্রদর্শন ব্যতীত সালিসী ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশ বা নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে, উক্ত ট্রাইব্যুনাল অনুরূপ আদেশ বা নির্দেশ প্রতিপালনের জন্য উহার বিবেচনায় সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৬) কোন দাবীদার জামানত বা খরচার সংস্থানের লক্ষ্যে সালিসী ট্রাইব্যুনাল কতৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইলে উক্ত ট্রাইব্যুনাল দাবী খারিজ করিয়া রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৭) এই ধারার কোন উপ-ধারায় উল্লেখ করা হয় নাই, সালিসী ট্রাইব্যুনালের এমন কোন আদেশ যদি কোন পক্ষ প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত ট্রাইব্যুনাল -
 
 
 
 
(ক) এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আদেশের বিষয়বস্ত ছিল এমন অভিযোগ বা উপাদানের উপর অসমর্থ পক্ষ নির্ভর করিতে পারিবে না;
 
 
 
 
(খ) আদেশ অমান্যের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে অসমর্থ পক্ষের স্বার্থের প্রতিকূল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উহার নিকট যথাযথভাবে উপস্থাপিত উপাদানের ভিত্তিতে রোয়েদাদ প্রণয়নে অগ্রসর হইতে পারিবে; বা
 
 
 
 
(ঘ) আদেশ অমান্যের পরিণতিতে খরচের ব্যয় বিষয়ে উহার বিবেচনায় উপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs