প্রিন্ট ভিউ

সালিস আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১ নং আইন )

পরিচ্ছেদ-১২

বিবিধ

খরচ, ইত্যাদির জমাকরণ
৪৯। (১) সালিসী ট্রাইব্যুনাল উহার নিকট দাখিলকৃত কোন দাবীর সংশ্লেষ ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (৭) এর উল্লিখিত খরচ হিসাবে ব্যয় হইতে পারে এমন অর্থের পরিমাণ আগাম জমার জন্য নির্ধারণ করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে দাবী ছাড়াও পাল্টা দাবী সালিসী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয় সেইক্ষেত্রে সালিসী ট্রাইব্যুনাল উক্তরূপ দাবী এবং পাল্টা দাবী সংশ্লেষে ব্যয়িতব্য জমার ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত জমার অর্থ পক্ষগণ কর্তৃক সমান অংশে পরিশোধিতব্য হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন এক পক্ষ উহার অংশ জমা করিতে অসমর্থ হইলে, অপর পক্ষ সেই অংশ জমা করিতে পারিবে:
 
 
 
 
আরো শর্ত থাকে যে, অপর পক্ষও যদি উপরিল্লিখিত দাবী বা পাল্টা দাবী সম্পর্কিত অংশ জমা না করে তাহা হইলে সালিসী ট্রাইব্যুনাল সালিসী কার্যধারার সমাপ্তি ঘোষণা করিতে পারিবে অথবা পক্ষগণকে রোয়েদাদ প্রদান করিতে অস্বীকার করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৩) সালিসী কার্যধারার সমাপ্তি হওয়ার পর সালিসী ট্রাইব্যুনাল জমা সম্পর্কে একটি হিসাব পক্ষগণকে সরবরাহ করিবে এবং অব্যয়িত অর্থ, পক্ষকে বা ক্ষেত্রমত, পক্ষগণকে ফেরত প্রদান করিবে।
সালিসকারীর পারিশ্রমিক ও খরচ সম্পর্কে বিরোধ
৫০। (১) যদি কোন সালিসী ট্রাইব্যুনাল তদ্কর্তৃক দাবীকৃত খরচ পরিশোধ ব্যতীত উহার রোয়েদাদ প্রদান করিতে অস্বীকার করে, তাহা হইলে আদালত এতদুদ্দেশ্যে কোন পক্ষ কর্তৃক পেশকৃত আবেদনের ভিত্তিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে-
 
 
 
 
(ক) উক্ত পক্ষ সালিসী ট্রাইব্যুনাল দাবীকৃত খরচের অর্থ আদালত জমা করিলে, সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল সালিসী রোয়েদাদ প্রদান করিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) আদালতের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্তের পর জমাকৃত টাকা হইতে যুক্তিসংগত খরচের টাকা হিসাবে সালিসী ট্রাইব্যুনালকে প্রদানের পর উদ্বৃত্ত, যদি থাকে, উক্ত পক্ষকে ফেরত প্রদান করা হইবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে কোন পক্ষ আবেদন করিতে পারিবে যদি তাহার সহিত সালিসী ট্রাইব্যুনালের লিখিত চুক্তি দ্বারা দাবীকৃত ফি নির্ধারিত হইয়া না থাকে এবং এইরূপ যে কোন আবেদনের বিষয়ে সালিসী ট্রাইব্যুনালের আদালতে হাজির হওয়ার এবং বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে।
 
 
 
 
(৩) যে ক্ষেত্রে সালিসের খরচ সম্পর্কে বিতর্ক উত্থাপিত হয় এবং উক্তরূপ খরচ সম্পর্কে সালিসী রোয়েদাদ পর্যাপ্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত না থাকে, সে ক্ষেত্রে আদালত সালিসের খরচ সম্পর্কে উহার বিবেচনায় সংগত যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী এবং সালিসী চুক্তির ভিন্নতর শর্ত, যদি থাকে, সাপেক্ষে সালিসী রোয়েদাদে সালিসের অনাদায়ী কোন খরচ আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে সালিসী ট্রাইব্যুনালের অগ্রস্বত্ব (lien) থাকিবে।
কোন পক্ষের মৃত্যুজনিত কারণে সালিস চুক্তি দায়মুক্ত নয়
৫১। (১) পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে-
 
 
 
 
(ক) কোন পক্ষের মৃত্যুজনিত কারণে কোন সালিস চুক্তি দায়মুক্ত (discharge) হইবে না এবং ক্ষেত্রমত, মৃতের আইনানুগ প্রতিনিধি দ্বারা বা উক্ত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বলবৎযোগ্য হইবে;
 
 
 
 
(খ) যে পক্ষের দ্বারা সালিসকারী নিযুক্ত হইয়াছে সেই পক্ষের মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট সালিসকারীর কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হইবে না।
 
 
 
 
(২) এই ধারার কোন কিছুই কোন ব্যক্তির মৃত্যুর মাধ্যমে তাহার অধিকার লোপ পাওয়া সংক্রান্ত প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধানকে ক্ষুন্ন করিবে না।
দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে বিধান
৫২। (১) দেউলিয়া আইন এর অধীন দেউলিয়া ঘোষিত কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন চুক্তিতে পক্ষ থাকেন যাহাতে এই মর্মে শর্ত থাকে যে, উক্ত চুক্তি হইতে উদ্ভূত বা উক্ত সংশ্লেষে যে কোন বিরোধ সালিসে প্রেরিত হইবে, তাহা হইলে উক্ত আইনের অধীন নিযুক্ত রিসিভার যদি উক্ত চুক্তি গ্রহণ (adopt) করেন, সেইক্ষেত্রে অনুরূপ শর্ত যতদূর উক্ত বিরোধের সহিত সংশ্লিষ্ট ততদূর উক্ত রিসিভার দ্বারা বা রিসিভারের বিরুদ্ধে তাহার দ্বারা বা তাহার বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হইবে।
 
 
(২) যেইক্ষেত্রে দেউলিয়া আইন এর অধীন দেউলিয়া ঘোষিত কোন ব্যক্তি দেউলিয়া কার্যধারা শুরু হইবার পূর্বেই কোন সালিস চুক্তিতে পক্ষ হইয়া থাকেন এবং উক্ত চুক্তি সম্পর্কিত কোন বিষয়ে যদি দেউলিয়া কার্যধারা সম্পর্কে বা উক্ত কার্যধারার উদ্দেশ্যে সাব্যস্ত হওয়া আবশ্যক হয়-
 
 
 
 
(ক) তাহা হইলে বিষয়টিতে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য না হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত আইন এর অধীন অন্য কোন পক্ষ অথবা নিযুক্ত রিসিভার এখতিয়ারসম্পন্ন দেউলিয়া আদালতে চলমান দেউলিয়া কার্যধারায় আবেদন করিয়া এইমর্মে আদেশের জন্য আবেদন করিতে পারিবে যেন বিরোধীয় প্রশ্নটি সালিস চুক্তি অনুযায়ী সালিসে প্রেরণ করা হয়; এবং
 
 
 
 
(খ) দেউলিয়া আদালত, এইরূপ ক্ষেত্রে বিষয়টির সংশ্লিষ্ট পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হওয়া প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় "দেউলিয়া আইন" অর্থ দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন) এবং "রিসিভার" অর্থ দেউলিয়া আইনের ধারা ২ এর দফা (৪) এর ব্যাখ্যাত রিসিভারকে বুঝাইবে।
অধিক্ষেত্র
৫৩। এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন সালিস চুক্তি সম্পর্কে কোন আদালতে কোন আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) কেবলমাত্র উক্ত আদালতেরই উক্ত সালিসী কার্যধারার উপর অধিক্ষেত্র থাকিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত চুক্তি ও সালিসী কার্যধারা হইতে পরবর্তীতে উদ্ভূত সকল কার্যধারা কেবলমাত্র উক্ত আদালতেই দায়ের করা যাইবে, অন্য কোন আদালতে দায়ের করা যাইবে না।
সালিস এর বিধান সম্বলিত আইনের ক্ষেত্রে এই আইনের প্রয়োগ
৫৪। এই আইনের কোন কিছুই Industrial Relations Ordinance, 1969 (XXIII of 1969) বা সালিসের জন্য বিশেষ বিধান সম্বলিত অন্য কোন আইনের অধীন সালিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
তামাদি
৫৫। (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে তামাদি আইন আদালতের কার্য-ধারার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযোজ্য হয় একইভাবে এই আইনের অধীন সালিসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
 
 
 
 
(২) এই ধারা এবং তামাদি আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন সালিস ধারা ২৭ এ উল্লিখিত তারিখে শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৩) যেইক্ষেত্রে ভবিষ্যতে উদ্ভূত কোন বিরোধ সালিসে প্রেরণ করার লক্ষ্যে সালিস চুক্তিতে এইরূপ সংস্থান করা হয় যে, কোন দাবী চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বারিত হইবে যদি চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সালিসী কার্যধারা শুরু করার লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ গৃহীত না হয় সেইক্ষেত্রে আদালত উহার বিবেচনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে উপযুক্ত শর্ত আরোপ করা সাপেক্ষে সময়সীমা যুক্তিসংগতভাবে বর্ধিত করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৪) যেইক্ষেত্রে আদালত কোন সালিসী রোয়েদাদ বাতিলের আদেশ করিয়া থাকে, সেইক্ষেত্রে সালিস শুরু হওয়ার তারিখ হইতে আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদত্ত হওয়ার তারিখের মধ্যবর্তী সময় তামাদি আইন অনুসারে গণনা বহিভূর্ত থাকিবে।
ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ
৫৬। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি প্রমাণীকৃত পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের প্রমাণীকৃত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs