আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
[৭ক। (১) ধারা ৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পক্ষগণ ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে, কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সালিসী কার্যধারা চলাকালীন কিংবা তৎপূর্বে অথবা ধারা ৪৪ বা ৪৫ এর অধীন সালিসী রোয়েদাদ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ এবং অন্যান্য সালিসের ক্ষেত্রে আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির পক্ষে সালিসী কার্যধারা পরিচালনার জন্য অভিভাবক নিয়োগ;
(খ) সালিসী চুক্তির অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়বস্তু হিসাবে অন্তর্ভুক্ত কোন মালামাল বা সম্পত্তির অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজত বা বিক্রয় বা অন্য কোন সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
(গ) কোন পক্ষ কর্তৃক সালিসী রোয়েদাদ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর কিংবা স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা;
(ঘ) সালিসী কার্যধারার অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়বস্তু হিসাবে অন্তর্ভুক্ত কোন মালামাল বা সম্পত্তি আটক, সংরক্ষণ, পরিদর্শন, চিত্রায়ন, ফটোসংগ্রহ, হেফাজতকরণ, তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ বা সাক্ষ্য গ্রহণ করিবার জন্য এবং তদুদ্দেশ্যে কোন পক্ষের দখলকৃত ভূমি বা ইমারতে প্রবেশের জন্য যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ;
(ঙ) অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা;
(চ) রিসিভার নিয়োগ; এবং
(ছ) আদালত অথবা হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যুক্তিসংঙ্গত বা যথাযথ প্রতীয়মান হয় এইরূপ অন্য যে কোন অন্তর্বর্তীকালীন সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ।
(২) কোন আইনগত কার্যধারার বিষয়ে আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগের যেইরূপ ক্ষমতা রহিয়াছে উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রেও আদালত বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগের সেইরূপ ক্ষমতা থাকিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন সম্পর্কে আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আদেশ প্রদানের পূর্বে অপর পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ প্রদান করা না হইলে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইবে, তাহা হইলে উক্তরূপ নোটিশ প্রদানের প্রয়োজন হইবে না।
(৪) আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন বিষয়ে উপ-ধারা (১) এর অধীন কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষমতা সালিসী ট্রাইব্যুনালের নাই অথবা ট্রাইব্যুনাল ধারা ২১ এর অধীন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদেশ প্রদানে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে আদালত বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ, এই ধারার অধীন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ আদালত বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ, যথার্থ মনে করিলে বাতিল, পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে পারিবে।
(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশসংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সালিসী ট্রাইব্যুনাল কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিষয়ে কোন আদেশ প্রদান করা হইলে, সেই বিষয়ে আদালত বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ সম্পূর্ণ কিংবা ক্ষেত্রমত উক্ত আদেশের সংশ্লিষ্ট অংশ বিশেষ অকার্যকর হইবে।]