সালিসী রোয়েদাদ বাতিলের কারণসমূহ
৪৩। (১) কোন সালিসী রোয়েদাদ বাতিল করা যাইতে পারে, যদি-
(ক) কোন পক্ষ আবেদন দাখিল করিয়া এই মর্মে প্রমাণ উপস্থাপন করে যে-
(অ) সালিসী চুক্তির কোন এক পক্ষের কোনরূপ অক্ষমতা ছিল;
(আ) যে আইনের অধীন পক্ষগণ সালিস চুক্তি করিয়াছে সেই আইনটি বৈধ আইন নহে;
(ই) আবেদনকারী পক্ষকে সালিসকারী নিয়োগ বা সালিসী কার্যধারা সম্পর্কে যথাযথ নোটিশ প্রদান করা হয় নাই অথবা উক্ত পক্ষ তাহার মামলা উপস্থাপন করিতে অন্য কোন যুক্তিসংগত কারণে অক্ষম হইয়াছিল;
(ঈ) সালিসী রোয়েদাদ এমন কোন বিরোধীয় বিষয় সম্পর্কিত যাহা সালিসে প্রেরিত বিষয়ের উদ্দেশ্যে বা শর্ত বহির্ভূত বা উহাতে এমন সিদ্ধান্ত রহিয়াছে যাহা সালিসে প্রেরিত বিষয়ের পরিধি বহির্ভূত:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি সালিসে প্রেরিত হয় নাই এইরূপ বিষয়কে সালিসে প্রেরিত হইয়াছে এইরূপ বিষয় হইতে পৃথক করা সম্ভব হয় তাহা হইলে সালিসে প্রেরিত না হওয়া বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত অংশ বাতিল করা যাইতে পারে;
(উ) সালিসী ট্রাইব্যুনালের গঠন বা সালিসী পদ্ধতি পক্ষগণের চুক্তির সহিত সংগতিপূর্ণ ছিল না অথবা এইরূপ চুক্তির অবর্তমানে এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ নয়;
(খ) আদালত কিংবা ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-
(অ) বিরোধের বিষয়বস্তু বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুসারে সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য নহে;
(আ) সালিসী রোয়েদাদ দৃশ্যতঃ বাংলাদেশে প্রচলিত কোন আইনের পরিপন্থী;
(ই) সালিসী রোয়েদাদ বাংলাদেশের জননীতির পরিপন্থী; অথবা
(ঈ) সালিসী রোয়েদাদ তঞ্চকতা বা দুর্নীতি দ্বারা প্ররোচিত বা প্রভাবান্বিত।
(২) কোন পক্ষ রোয়েদাদ বাতিল করার জন্য আবেদন দাখিল করিলে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত বা ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ রোয়েদাদের অধীনে প্রদেয় কোন অর্থ, যদি থাকে, আদালতে বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগে নগদে অথবা অন্য কোনভাবে জামানত হিসাবে জমা করিবার জন্য উক্ত পক্ষকে আদেশ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় "আদালত" অর্থে যে আদালতের অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার ভিতরে সালিসী রোয়েদাদটি চূড়ান্তভাবে প্রদত্ত ও স্বাক্ষরিত হইয়াছে উক্ত আদালতকে বুঝাইবে।