৩০৷ (১) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচন বা গৃহীত নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না৷
(২) কোন নির্বাচনের প্রার্থী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করিতে পারিবেন না৷
নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন
৩১৷ এই আইনের অধীনে নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন একজন সাব-জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং একজন জেলাজজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিবে৷
নির্বাচন দরখাস্ত বদলী
৩২৷ নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোন এক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন নির্বাচনী দরখাস্ত বা আপীল এক ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য ট্রাইব্যুনালে অথবা ক্ষেত্রমতে, এক আপীল ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য আপীল ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে; এবং যে ট্রাইব্যুনালে বা আপীল ট্রাইব্যুনালে তাহা বদলী করা হয় সেই ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাস্ত বা আপীল যে পর্যায়ে বদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচার কার্য চলিতে থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনী দরখাস্ত বা আপীল যে ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেই ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ইতোপূর্বে পরীক্ষিত কোন সাক্ষীকে পুনরায় তলব বা পরীক্ষা করিতে পারিবে৷
নির্বাচনী দরখাস্ত, আপীল ইত্যাদি নিষ্পত্তি
৩৩৷ নির্বাচনী দরখাস্ত ও আপীল দায়েরের পদ্ধতি, ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্বাচন বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি, ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনালসমূহের এখতিয়ার ও ক্ষমতা, সংশ্লিষ্ট পক্ষকে প্রদেয় প্রতিকার এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷