যেহেতু বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংসদকে জটিল হইতে জটিলতর দায়িত্ব গ্রহণ করিতে হইতেছে এবং তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে বিশ্বের পার্লামেন্টসমূহ এবং পার্লামেন্টারিয়ানদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসদীয় সংস্কার দ্রুত প্রসার লাভ করিতেছে;
এবং যেহেতু সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল করার জন্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে আরো বেশী সহযোগিতা ও সহমর্মিতা সৃষ্টি করিয়া সংসদীয় সংস্কৃতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে উপনীত করা আবশ্যক;
এবং যেহেতু সহমর্মিতার রাজনীতিতে উত্তরণের জন্য সংসদের বাহিরে ভিন্ন একটি ফোরাম সৃষ্টি করা প্রয়োজন;
এবং যেহেতু সংসদীয় ব্যবস্থা, সংসদ ব্যবস্থাপনা ও সংসদ কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরো সমৃদ্ধ ও গতিশীল করা প্রয়োজন;
এবং যেহেতু সংসদ সদস্যদের সংসদে কার্যকর ভূমিকা পালনে গবেষণালব্ধ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য আইন ও সংসদীয় বিষয়ে অভিজ্ঞ একটি বিশেষজ্ঞ দলের সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রয়োজন;
এবং যেহেতু সংসদীয় ব্যবস্থার উন্নয়নে দক্ষ জনপ্রশাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সচেতনতা, কর্মতত্পরতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যক;
এবং যেহেতু উক্তরূপ গবেষণাকার্য এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন ও পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারী ষ্ট্যাডিজ নামে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজন;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল: