প্রিন্ট

21/06/2025
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

বেতার ও টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা বার্তা ইত্যাদি প্রেরণের দণ্ড
৬৬৷ (১) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মিথ্যা বা প্রতারণামূলক বিপদ সংকেত, বার্তা বা আহ্বান প্রেরণ করিবেন না বা তাহা করাইবেন না৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করেন; বা
 
 
(খ) আইনানুগ কারণ ব্যতিরেকে, যদি এমনভাবে কোন যন্ত্রপাতি বা কৌশল বা উহার কোন অংশ ব্যবহার, স্থাপন, পরিবর্তন বা পরিচালনা করেন বা উহা দখলে রাখেন যে, উক্ত যন্ত্রপাতি বা কৌশল বা উহার অংশবিশেষ উপ-ধারা (১) লংঘনক্রমে ব্যবহার করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্তরূপে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ছিল মর্মে বিবেচনা করা যায়,
 
 
তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 1[৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির পরিপন্থী কার্যক্রম ইত্যাদি পরিচালনার দন্ড
2[৬৬ক। (১) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া যদি এমন কোন সংকেত, বার্তা বা আহ্বান প্রেরণ করেন যাহা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির পরিপন্থী, দেশদ্রোহীমূলক অথবা জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ, বিভেদ এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করিতে পারে, অথবা যাহা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষায় ক্ষতিকর অথবা বাংলাদেশের সহিত বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণে ক্ষতিকর অথবা বাংলাদেশের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলায় ক্ষতিকর অথবা আইনের শাসন অথবা আইন ও শৃঙ্খলা সংরক্ষণে হস্তক্ষেপ, উৎসাহ অথবা উত্তেজিত করে অথবা জনসাধারণ কিংবা কোন সমপ্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করিতে পারে অথবা রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বা আর্থিক স্বার্থে ক্ষতিকর, তাহা হইলে তাহার এই কাজটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
 
(২) কোন ব্যক্তি যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কার্য সংঘটন করেন বা সংঘটনে সহায়তা করেন তাহা হইলে কমিশন কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত সংকেত, বার্তা বা আহবান বন্ধ করিয়া দেওয়ার জন্য যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
(৩) যদি কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কমিশনের কোন নির্দেশ তাৎক্ষণিক ভাবে পালন না করে তাহা হইলে উহাও একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর অথবা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন]
বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দণ্ড
৬৭৷ (১) কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) আইনানুগ কারণ ব্যতীত বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগে বাধা দিবেন না বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবেন না; বা
 
 
(খ) কোন বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগ এর পথ রুদ্ধ করিবেন না অথবা রুদ্ধকৃত এই যোগাযোগ কোন কাজে লাগাইবেন না অথবা উহাকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করিবেন না, যদি এই কাজে উক্ত যোগাযোগ সূচনাকারী ব্যক্তির বা তিনি যাহার নিকট প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যোগাযোগ সূচনা করেন তাহার অনুমোদন বা সম্মতি না থাকে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 3[১০(দশ) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
কর্মচারী কর্তৃক টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রপাতি অপব্যবহারের দণ্ড
৬৮৷ (১) কোন পরিচালনাকারীর কোন কর্মচারী-
 
 
(ক) টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বার্তা প্রেরণ করিবেন না যাহা তাহার জানামতে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বা কোন টেলিযোগাযোগ সেবার দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করিতে পারে বা কোন ব্যক্তির জীবন বা কোন সম্পত্তির নিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত করিতে পারে;
 
 
(খ) তাহার দায়িত্ব পালনকালে-
 
 
(অ) টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেরিত এমন বার্তার প্রেরক বা প্রাপক বা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কোন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিবেন না, যে বার্তাটি গ্রহণের জন্য কমিশন উক্ত কর্মচারীকে বা উক্ত পরিচালনকারীকে ক্ষমতা প্রদান করে নাই;
 
 
(আ) কমিশন বা আদালতের কোন আইনগত কার্যধারা (legal proceedings) বা উহার অনুবর্তী (consequential) কার্যক্রমের প্রয়োজন ব্যতীত এমন বার্তার প্রেরক, প্রাপক বা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করিবেন না যে বার্তাটি তিনি শুধুমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বা ব্যবহারের সূত্রে জ্ঞাত হইয়াছেন৷
 
 
(গ) সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন তথ্য বা বার্তা বা অন্য কিছু প্রেরণকালে বা গ্রহণকালে উহার প্রেরক বা গ্রাহক বা কমিশনের অনুমোদন ব্যতিরেকে উক্ত নেটওয়ার্কের কোন অংশে বাধা সৃষ্টি করিবেন না বা উক্ত তথ্য বা বার্তা বা অন্য কিছুর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত হইবেন না৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহার এই কাজ একটি অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 4[১(এক) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা প্রেরণের দণ্ড
5[৬৯৷ যদি-
 
 
(ক) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোন অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোন বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যন্ত্রপাতির পরিচালন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট প্রস্তাব করেন, বা
 
(খ)উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে উক্তবার্তা প্রেরণ করেন, বা
 
(গ) কোন ব্যক্তি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোন বার্তা বা অন্যকোন ভীতিকর বার্তা বা কোন কথোপকথন বা ছবি বা ছায়াছবি প্রেরণ করেন, তাহা হইলে দফা (ক) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী এবং দফা (খ) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী ও প্রেরণকারীর এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত প্রস্তাবকারী বা, প্রেরণকারী বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং দফা (গ) এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]
টেলিফোনে বিরক্ত করার দণ্ড ইত্যাদি
৭০৷(১) কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত যদি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট এইরূপে বারবার টেলিফোন করেন যে, উহা উক্ত অন্য ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে এইরূপে টেলিফোন করা একটি অপরাধ হইবে এবং উহার জন্য দোষী ব্যক্তি অনধিক 6[১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত ধরনের টেলিফোন যাহার নিকট করা হয় তাহার বা তাহার পক্ষে অন্য কাহারো অভিযোগ এবং এতদুদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব প্রদানের ভিত্তিতে, পরিচালনাকারী উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত টেলিফোন কলের উত্স চিহ্নিতকরণ, উহার পথরোধ, পরিবীক্ষণ বা বাণীবদ্ধকরণ করিতে বা এইরূপ কল যাহাতে সম্ভব না হয় উহার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
টেলিফোনে আড়িপাতার দণ্ড
৭১৷কোন ব্যক্তি যদি অপর দুই জন ব্যক্তির টেলিফোন আলাপে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়িপাতেন, তাহা হইলে প্রথমোক্ত ব্যক্তির, এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 7[২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫(পাচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন 8[:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৯৭ক এর অধীন সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷]
যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধন, অনুপ্রবেশ, অবৈধ অবস্থান, পরিচালন কার্যে বাধা দান ইত্যাদির দণ্ড
৭২৷ কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ পরিচালিত হয় এইরূপ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি ব্যতীত উহাতে প্রবেশ করিলে;
 
 
(খ) উক্ত কার্যালয়ে যে কোনভাবে প্রবেশের পর উহা ত্যাগ করার উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার অধীনস্থ কোন ব্যক্তির অনুরোধের পরও সেখানে অবস্থান করিলে;
 
 
(গ) উক্ত যন্ত্রপাতি রহিয়াছে এইরূপ স্থানে প্রবেশের ব্যাপারে টাংগানো নিষেধাজ্ঞা উপেতগা করিয়া প্রবেশ করিলে;
 
 
(ঘ) উক্ত কার্যালয়ে বা স্থানে যে কোনভাবে প্রবেশ করিয়া সেখানে কর্তব্যরত কোন ব্যক্তিকে তাহার কর্তব্য পালনে বাধা দিলে; বা
 
 
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধন বা উহা অবৈধভাবে অপসারণ করিলে বা অবৈধভাবে উহার কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করিলে,
 
 
তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 9[৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
অন্যান্য অপরাধ ও দণ্ড
৭৩৷ (১) কোন ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত যে কোন কাজ হইবে একটি অপরাধ, যথা-
 
 
(ক) লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘন করিয়া টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা বা সেবা প্রদান বা এইসবের সহায়ক কোন কাজ;
 
 
(খ) তিনি যদি জানিতে পারেন যে বা তাহার এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, এই আইনের বিধান লংঘনক্রমে তাহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা বা চালু রাখা হইয়াছে বা উহা পরিচালন করা হইতেছে এবং তাহা সত্ত্বেও উক্ত ব্যক্তি উহা ব্যবহার করিয়া বা উহার সাহায্যে কোন তথ্য প্রেরণ বা গ্রহণ বা কোন সেবা প্রদান বা এইসবের আনুষঙ্গিক কোন কাজে ব্যবহার;
 
 
(গ) কোন 10[টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন সেবা গ্রহণের] সেবা গ্রহণের জন্য প্রদেয় চার্জ এড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক বা অন্যবিধ কৌশল অবলম্বন;
 
 
(ঘ) লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের কাজে নিয়োজিত থাকাকালে উক্ত নেটওয়ার্কের সাহায্যে প্রেরিত কোন বার্তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন বা বিকৃত করা বা উহার বিষয়বস্তুতে অবৈধ হস্তক্ষেপ;
 
 
(ঙ) কমিশনকে এমন তথ্য বা দলিল সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা, যাহা এই আইন বা প্রবিধান অনুযায়ী কমিশন পাওয়ার অধিকারী এবং যাহা সরবরাহের জন্য কমিশন ১০ (দশ) দিনের নোটিশ দিয়াছে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত যে কোন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদণ্ডে বা 11[অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ১(এক) কোটি টাকা] অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(৩) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধানের এমন বিধান লংঘন করেন যাহার জন্য এই আইনে বা প্রবিধানে কোন সুনির্দিষ্ট দণ্ড নির্ধারিত নাই, তাহা হইলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাপেক্ষে:
 
 
(ক) উক্তরূপ প্রথম লংঘনের জন্য অনধিক 12[৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) কোটি টাকা] অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে;
 
 
(খ) উক্তরূপ পরবর্তী প্রতিটি লংঘনের জন্য 13[অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন দণ্ড আরোপ সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অন্যান্য প্রতিকার লাভের অধিকার তগুণ্ন হইবে না৷
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ইত্যাদির দণ্ড
৭৪৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে, অথবা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দিলে বা ষড়যন্ত্র করিলে এবং উক্ত ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, উক্ত সহায়তাকারী ষড়যন্ত্রকারী, বা প্ররোচনাকারী উক্ত অপরাধের জন্য বর্ণিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
প্রবিধানে অপরাধ, দণ্ড, ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত বিধান
৭৫৷ কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
(ক) প্রবিধানে বা কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লংঘনকে অপরাধরূপে চিহ্নিত করা ও উহার জন্য ক্ষেত্রমত 14[অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা] অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড আরোপ;
 
 
(খ) প্রবিধানে বা কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ এবং উহা আদায়ের পদ্ধতি নির্ধারণ, এইরূপ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে অনধিক ২ (দুই) 15[কোটি] টাকা৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৭৬৷ (১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে;
 
 
(খ) “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে৷
 
 
(২) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোম্পানী কর্তৃক এই আইন বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, কোম্পানীর নিবন্ধিত কাযার্লয় বা প্রধান কাযার্লয় বা এইরূপ কাযার্লয় না থাকিলে যে স্থান হইতে সাধারণতঃ উহার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় বা যে স্থানে অপরাধটি সংঘটিত হয় বা যে স্থানে কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া যায় সেই স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন 16[প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট] আদালতই হইবে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত৷
অপরাধের বিচার।
17[৭৭।(১) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন এবং ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable ) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।
 
 
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিদর্শক বা যে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে কোন কর্মকর্তার, যিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিদর্শক বা সম-পদমর্যাদার নিমেড়ব নহেন, লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত কোন আদালত এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন এখতিয়ারাধীন আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও অনুসন্ধান করার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনের কোন কর্মকর্তা পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম শুরু করেন নাই, অথচ উক্ত অভিযোগ বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা রহিয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে উক্ত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে, অথবা যথাযথ মনে করিলে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করিয়া ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং অনুরূপ নির্দেশ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস বায়ন করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিতে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বাধ্য থাকিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লইতে পারিবে।
 
 
(৩) মেট্রোপলিটান এলাকায় মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটান এলাকা বহিভূর্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এই আইন ও ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধের বিচার করিতে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, যদি এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনে বর্ণিত অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় সম্পাদন করা সমীচীন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্র্রেট উভয় অপরাধ আমলে লইয়া ফৌজদারী কাযবিধির বিধান অনুসারে মামলাটি, বিচারের জন্য প্রস্তুত করিয়া, অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধ ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামলাটি, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিবে, অথবা অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধটি বা অপরাধগুলি দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালত কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামালাটি, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালতে প্রেরণ করিবে।
 
 
(৫) সংশ্লিষ্ট আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত একই মামলায় অন্তভুর্ক্ত সকল অপরাধের বিচার করিয়া সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মোতাবেক দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে এবং অপরাধ সংঘটনে জড়িত আলামতসমূহ, ধারা ৮১ এর বিধান সাপেক্ষে, কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
(৬) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত দেওয়া যাইবে না :
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।
 
(৭) অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি তাহার ঊধর্বতন সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে; বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পনড়ব না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করার জন্য চেয়ারম্যান বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।
 
(৯) উপ-ধারা (৮) অনুসারে কোন মামলা যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত পূর্ববর্তী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছে তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করিবে এবং মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।
 
(১০) উপ-ধারা (৭), (৮) ও (৯) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সম্ভব না করা হইলে তজ্জন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বকদায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে এবং উক্তরূপ সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দাখিল করিবে।
 
(১১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ কার্যকর হইবার পূর্বে যে সকল মামলা বিচারার্থে যে আদালতে প্রেরিত হইয়াছে সেই সকল মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন কাযর্ক র হয় নাই।]
অপরাধের অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদন্ত পদ্ধতি।
18[৭৮। (১) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের তদন্ত করিবার জন্য কমিশন পরিদর্শক বা অন্য কোন সংস্থা বা অন্য কোন সংস্থার কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত কমিশনের পরিদর্শক অনুসন্ধান, মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পাদন করিবেন।
 
(৩) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার প্রয়োজনবোধে জনশৃঙ্খলার স্বার্থে, উপ-ধারা (২) এর বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করিবার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পুলিশ পরিদর্শক বা সমপদ মর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণপূর্বক অনুসন্ধান, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।
 
(৪) অনুসন্ধানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া মাত্রই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি এজাহার দায়ের করিবেন যাহা অপরাধ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হইবে এবং সংশ্লিষ্ট থানা প্রচলিত বিধি বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত এজাহার প্রেরণ করিবে।
 
(৫) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশন বহিভর্ূত কর্মকর্তা হইলে তিনি এজাহারের একটি পাঠযোগ্য অনুলিপি বা ছায়ালিপি অবলিম্বে কমিশন সমীপে প্রেরণ করিবেন।
 
(৬) কোন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও ইহার অধীনে প্রণীত বিধি বা সংশিস্নষ্ট প্রবিধানমালা সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন।
 
(৭) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন যদি যুক্তি সংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হইবার সম্ভাবনা আছে।
 
(৮) আনুষ্ঠানিক তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে।
 
(৯) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা কমিশনের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কমিশনের অনুমোদনের জন্য দাখিল করিবেন এবং উক্তরূপ অনুমোদন প্রাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত তদন্ত রিপোর্ট, অনুমোদনপত্র এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল কারিবেন যাহার একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিবেন; এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার অধীন প্রদত্ত পুলিশি রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দলিলপত্রের মূল কপি আদালতে দাখিল করা সম্ভব না হইলে উহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রিপোর্টের সহিত আদালতে দাখিল করিতে হইবে।
 
(১০) যদি এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানভুক্ত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের তদন্ত ও বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধও একই তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তযোগ্য হইবে।
 
(১১) ধারা ৬১ ও এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিদর্শক, অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, অন্যকোন সরকারী কর্তৃপক্ষ বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদানুসারে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ সহায়তা করিতে বাধ্য থাকিবে।]
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
৭৯৷ (১) এই আইন, তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল এবং আনুষংগিক সকল বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন পরিদর্শকের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে সূচিত মামলা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে সূচিত মামলা বলিয়া গণ্য হইবে৷
মামলা পরিচালনা।
19[৮০।(১) আদালতে কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য কমিশন প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, কমিশন কতৃর্ক নিয়োজিত নিজস্ব আইনজীবী ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ সরকারী কৌঁসুলী বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
(৩) আইন পেশায় অথবা বিচার কাজে কমপক্ষে ৭ (সাত) বৎসরের অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে কেহ এই ধারায় কমিশনের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগযোগ্য হইবেন না ঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে কমিশন উক্ত অভিজ্ঞতার সময়সীমা শিথিল করিতে পারিবে।
 
 
(৪) কোন মামলার কোন পর্যায়ে যে কোন নিজস্ব আইনজীবী একবার বা একাধিকবার কমিশনের পক্ষে কাজ করিলে, পরবর্তীতে তিনি কমিশনে নিয়োজিত থাকুন বা না থাকুন, উক্ত মামলায় বা উক্ত মামলা হইতে উদ্ভুত কোন আপীল বা রিভিশন বা রিভিউ মামলায় কমিশনের বিপরীত পক্ষ অবলম্বন করিতে পারিবেন না।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর লংঘন Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 (P.O. No. 46 of 1972) এর অনুচ্ছেদ ৩২ মোতাবেক অসদাচরণ বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৬) কমিশন কতৃর্ক নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগের শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং এইরূপ প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কমিশন, প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা, এই বিষয়ে অনুসরণীয় নিয়মাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৭) আদালতে কোন মামলা পরিচালনার সময় কমিশনের নিজস্ব আইনজীবীকে কমিশন কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত কর্মকর্তা সহায়তা করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির থাকিয়া তাহার বক্তব্য ও প্রাসঙ্গিক দলিল পত্র পেশ করিতে পারিবেন।]
যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বাজেয়াপ্তকরণ
৮১৷ (১) এই আইন বা প্রবিধানের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি বা যান বা অন্য কোন বস্তু বা দলিল, অতঃপর এই ধারায় মালামাল বলিয়া উল্লেখিত, সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে তাহা সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ আদালত প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালামাল এই উপ-ধারার অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হইলে, কমিশন উক্ত বাজেয়াপ্তকরণ সম্পর্কে একটি নোটিশ ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচার করিবে; এই নোটিশ, প্রচারিত হওয়ার ৩০ দিন পর কমিশন, বাজেয়াপ্তকৃত মালামাল নিষ্পত্তি করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের দায়ে যে ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বাজেয়াপ্ত মালামালের মালিক, বন্ধক গ্রহীতা, লিয়েন হোল্ডার বা অন্যবিধ ক্ষমতায় কোন স্বার্থ দাবী করিলে, তিনি বাজেয়াপ্তকরণের নোটিশ প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিচারকারী আদালতের নিকট উপ-ধারা (৬) এর অধীন আদেশ প্রাপ্তির জন্য দরখাস্ত, অতঃপর উক্ত দরখাস্ত বলিয়া উল্লেখিত, করিতে পারেন এবং উক্ত দরখাস্ত্মের উপর শুনানীর জন্য উক্ত আদালত একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) দরখাস্তকারী উক্ত দরখাস্ত আদালতে দাখিল করার সময় বা তত্পূর্বে কমিশনকে এবং বাজেয়াপ্ত মালামালে অন্য কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৩)-এর উল্লেখিত কোন স্বার্থ দাবী করিয়াছেন বলিয়া দরখাস্তকারীর জানা থাকিলে তাহাকে, উক্ত দরখাস্ত্মের অনুলিপিসহ একটি নোটিশ দিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত দরখাস্ত সম্পর্কে দরখাস্তকারী, দাবী উত্থাপনকারী অন্যান্য ব্যক্তি এবং কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে-
 
 
 
 
(ক) যে অপরাধের কারণে উক্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত হইয়াছে উহার সহিত উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারীর অজ্ঞাতসারে বা তাহার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতিরেকে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী উক্ত মালামালের ব্যাপারে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন যে, মালামালের অনুমোদিত দখলদার বা ব্যবহারকারীগণ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইবে না মর্মে সন্তুষ্ট থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ তাহার ছিল;
 
 
 
 
তাহা হইলে আদালত যে দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী সম্পর্কে উক্তরূপে সন্তুষ্ট হয় তাহার স্বার্থের পরিধি এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তুলনায় তাহার স্বার্থের অগ্রগণ্যতা ঘোষণা করিতে পারিবে; এবং ইহা ছাড়াও উক্ত মালামাল এইরূপ স্বার্থবান ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য বা উক্ত মালামাল বিক্রি বা অন্যবিধভাবে নিষ্পত্তি হইয়া থাকিলে স্বার্থের অনুপাতে প্রত্যেক স্বার্থবান ব্যক্তিকে আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত অর্থ নিষ্পত্তি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ হইতে পরিশোধ করার নির্দেশও দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্তকরণ বা নিষ্পত্তিকরণ বা এতদসংক্রান্ত কার্যধারায় উক্ত মালিক বা স্বার্থবান ব্যক্তি কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবে না বা অন্য কোন আদালতে এইরূপ ক্ষতিপূরণের দাবী বা অন্য কোন দাবী উত্থাপন করিতে পারিবেন না৷
আদায়কৃত প্রশাসনিক জরিমানা ও অর্থদণ্ডের নিষ্পত্তি
৮২৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধানের অধীনে আদায়কৃত প্রশাসনিক জরিমানা এবং অর্থদণ্ড প্রজাতন্ত্রের সরকারী তহবিলে জমা হইবে৷
আপীল কর্তৃপক্ষ গঠন, ইত্যাদি
20[৮২ক। (১) সরকার, কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রশাসনিক জরিমানা সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক আপীলের উদ্দেশ্যে,বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, একটি আপীল কর্তৃপক্ষ গঠন করিবে।
 
(২) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারক এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অপর দুইজন সদস্য সমন্বয়ে আপীল কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে।
 
(৩) আপীল দায়ের এবং নিষ্পত্তির পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
বার্তার অবৈধ প্রকাশ সম্পর্কে দেওয়ানী মামলা ও অন্যান্য প্রতিকার লাভের অধিকার
৮৩৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করেন যে, তত্কর্তৃক প্রেরিত বা গৃহীত বার্তা অবৈধভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে বা হইবে, অথবা উহা ৬৭(১) বা ৬৮(১) ধারার বিধান লংঘনক্রমে ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত প্রকাশ বা অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বা দায়ী ব্যক্তির নিকট হইতে তজ্জনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য, প্রকাশকারী বা অবৈধ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে 21[উপযুক্ত দেওয়ানী] আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারেন; এবং এইরূপ মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণ বা উহার বিবেচনামত অন্য কোন প্রতিকার প্রদান করিতে পারে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি ইতিপূর্বে ৬৭(১) বা ৬৮(১) ধারার অধীন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া থাকিলে এবং তাহার বিরুদ্ধে একই ঘটনার ভিত্তিতে এই ধারার উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন দেওয়ানী মামলা দায়ের হইলে এইরূপ দেওয়ানী কার্যধারায় অভিযোগকৃত বার্তার প্রকাশ বা উহার অবৈধ ব্যবহার প্রমাণের জন্য উক্ত অপরাধ সম্পর্কিত ফৌজদারী কার্যধারায় উপস্থাপিত সাতেগ্যর সত্যায়িত নকল উপস্থাপন করা যাইবে এবং অপরাধ সংঘটনের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত উক্ত আদালতে প্রার্থিত প্রতিকারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন মামলা দায়েরের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩ (তিন) বত্সরের মধ্যে উক্ত মামলা দায়ের করিতে হইবে৷
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে দেওয়ানী মামলা দায়েরের কারণে কোন ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন অধিকার প্রয়োগ বা অন্য, প্রতিকার লাভের অধিকার ক্ষুণ্ন হইবে না৷

  • 1
    "৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    ধারা ৬৬ক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    "১০ (দশ) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৩ (তিন) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    "১ (এক) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৫ (পাঁচ) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    ধারা ৬৯ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    "১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "২৫ (হাজার) টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    "২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৬ (ছয়) মাস করাদন্ডে বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    কোলনটি (:) দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৭ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত৷
  • 9
    "৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    “টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন সেবা গ্রহণের” শব্দগুলি "কোন সেবা গ্রহণের" শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    “অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ১(এক) কোটি টাকা” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুরির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    “৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) কোটি টাকা সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "২(দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    “অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডেসংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ৩(তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা অনধিক (তিন) বৎসর কারাদন্ডে" শব্দগুলি, সংখ্যাগুলির বন্ধনীগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 14
    “অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩০০(তিনশত) কোটি টাকা” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা" শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    “কোটি” শব্দটি “লক্ষ” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 16
    “প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট” শব্দগুলি “সেশন” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 17
    ধারা ৭৭ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 18
    ধারা ৭৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 19
    ধারা ৮০ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 20
    ধারা ৮২ক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 21
    “উপযুক্ত দেওয়ানী” শব্দগুলী “সাব জজ” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs