প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

ষষ্ঠ অধ্যায়

ট্যারিফ, চার্জ ইত্যাদি

ট্যারিফ অনুমোদন
1[৪৮।(১) টেলিযোগাযোগ পরিচালনকারী তৎকর্তৃক প্রদেয় সেবা প্রদান শুরু করার পূর্বেই উক্ত সেবা বাবদ প্রদেয় সর্বোচ্চ চার্জের হার বিশিষ্ট একটি ট্যারিফ প্রস্তাব কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিবেন এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পরিচালনকারী উক্ত সেবা প্রদান বা সেবা বাবদ কোন ধরণের চার্জ আদায় শুরু করিতে পারিবেন না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ট্যারিফ পেশ করার সময় পরিচালনকারী উক্ত ট্যারিফ নির্ধারণের ভিত্তি সম্পর্কিত তথ্যাদিও সংযুক্ত করিবে।
 
(৩) পেশকৃত ট্যারিফ অনুমোদন করিলে উহা জনসাধারণের অবগতি ও পরিদর্শনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ফরমে ও পদ্ধতিতে কমিশন প্রকাশ করিবে এবং প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত তথ্যাদিও উহাতে সন্নিবেশ করিতে পারিবে।
 
(৪) পরিচালনকারী কর্তৃক ট্যারিফ পেশ করার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার,
 
(ক) সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত ট্যারিফ অনুমোদন করিবে, বা তদস্থলে একটি বিকল্প ট্যারিফ প্রতিস্থাপন করিবে বা কমিশনকে পরিচালনাকারী কর্তৃক বিকল্প ট্যারিফ দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
 
(খ) উক্ত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে পেশকৃত ট্যারিফ নামঞ্জুর করিবে এবং উহা নামঞ্জুর করার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে কমিশনের মাধ্যমে কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত সিদ্ধান্ত জানাইয়া দিবে; অথবা
 
(গ) দফা (ক) বা (খ) এর অধীন কোন সিদ্ধানত্দ গ্রহণ না করিলে উহার কারণ উক্ত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বা উহার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে কমিশনের মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করিবে এবং কত দিনের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকার ইচ্ছুক তাহাও সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করিবে, তবে এই বিলম্ব ৬০ (ষাট)দিনের বেশী হওয়া চলিবে না।]
কমিশন কর্তৃক ট্যারিফ নির্ধারণের নীতিমালা
2[৪৯। (১) ট্যারিফ অনুমোদন বা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার নিম্নবর্ণিত সাধারণ নীতিমালা অনুসরণ করিবে, যথা :
 
(ক) ট্যারিফ হইবে ন্যায্য ও যুক্তিসংগত;
 
(খ) একটি নির্দিষ্ট সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি বা উক্ত সেবার বিভিন্ন গ্রাহকের ক্ষেত্রে সংশিস্নষ্ট চার্জ
 
সমভাবে প্রযোজ্য হইবে;
 
(গ) যদি কোন পরিচালনকারী এমন একাধিক সেবা প্রদান করেন যে, একটি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাজার প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু অপর একটি সেবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নাই, তাহা হইলে
 
(অ) প্রতিযোগিতাবিহীন সেবার আয় হইতে প্রতিযোগিতামূলক সেবার জন্য কোন ভর্তুকি প্রদান করা যাইবে না;
 
(আ) এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান প্রতিযোগিতাবিহীন সেবার ক্ষেত্রে উহার আয় হইতে এইরূপ, ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকিলে, উক্ত ভর্তুকি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত ক্রমবর্ধমানহারে (Progressively) তুলিয়া দিতে হইবে;
 
(ঘ) কোন সেবার ট্যারিফ বা উক্ত সেবার জন্য প্রদেয় কোন চার্জের বিষয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা শ্রেণীকে অন্যায়ভাবে বা অযৌক্তিকভাবে বৈষম্য বা আনুকূল্য প্রদর্শন বা অসুবিধাজনক পরিস্থিতির শিকার করা হইবে না।
 
(২) কোন ট্যারিফ ন্যায্য ও যুক্তিসংগত কিনা তাহা নির্ধারণের জন্য সরকার যে কোন স্পষ্ট ও যুক্তিসংগত পদ্ধতি অবলম্বন করিতে পারে, এবং এইরূপ পদ্ধতি কোন পরিচালনকারীর সংশিস্নষ্ট রিটার্নভিত্তিক বা অন্যবিধ তথ্যভিত্তিক হইতে পারে।
 
(৩) কোন পরিচালনাকারীর প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে
 
(ক) উক্ত পরিচালনকারীর কোন অধীনস্থ সহযোগীর কোন কাজকর্ম উক্ত সেবা প্রদান কাজকর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
 
(খ) উক্ত সেবা বাবদ পরিচালনকারী কতর্ৃক ধার্যকৃত চার্জের হারকে ন্যায্য এবং যুক্তিসংগত করার জন্য এই আইন, বিধি বা প্রবিধানে পর্যাপ্ত বিধান নাই,
 
তাহা হইলে সরকার, উক্ত সহযোগীর সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম হইতে প্রাপ্ত আয়ের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষকে পরিচালনকারীর আয় বলিয়া গণ্য করিতে পারিবে।]
বৈষম্যমূলক চার্জ নিষিদ্ধ
৫০৷ (১) কোন পরিচালনাকারী, তাহার প্রদত্ত সেবা অথবা উহার জন্য প্রদেয় চার্জের ব্যাপারে, অন্যায় বা অযৌক্তিকভাবে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা শ্রেণীর ক্ষেত্রে বৈষম্য করিবেন না অথবা অন্যায় বা অযৌক্তিক বা অসুবিধাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করিবেন না, অথবা তিনি নিজের ক্ষেত্রে বা অন্য কাহারও ক্ষেত্রে কোন অন্যায় বা অযৌক্তিক আনুকূল্য প্রদর্শন করিবেন না 3[অথবা এই আইনের ধারা ২৯(ঘ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বৈষম্যমূলক কোন ব্যবস্থা নিবেন না৷]
 
 
(২) কোন পরিচালনকারীর বিরুদ্ধে উক্তরূপ কোন বৈষম্য প্রদর্শন, অসুবিধা ঘটানো বা আনুকূল্য প্রদর্শনের অভিযোগ উত্থাপনের ক্ষেত্রে-
 
 
(ক) উক্ত অভিযোগের প্রাথমিক যৌক্তিকতা আছে বলিয়া কমিশন বিবেচনা করিলে অভিযোগ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে, অভিযোগ সম্পর্কে তাহার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য পরিচালনাকারীকে ১৫ (পনের) দিনের একটি নোটিশ দিবে;
 
 
(খ) এতদবিষয়ে পরিচালনাকারীর আচরণ যে বৈষম্যমূলক, অসুবিধা সৃষ্টিকারী বা আনুকূল্যমূলক নহে তাহা কমিশনের নিকট প্রমাণ করার দায়িত্ব বর্তাইবে পরিচালনাকারীর উপর;
 
 
(গ) উক্ত অভিযোগ ও পরিচালনকারীর বক্তব্য বিবেচনান্তে কমিশন উপ-ধারা (৩) অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
4[(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান ভঙ্গ করিলে কমিশন পরিচালনকারীর উপর অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে বা, ক্ষেত্রবিশেষে, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য পরিচালনকারীকে নির্দেশ দিতে বা সংশিস্নষ্ট বৈষম্যমূলক কার্যকলাপ হইতে বিরত থাকিবার জন্য উক্ত পরিচালনকারীকে নির্দেশ দিতে বা এইরূপ একাধিক বা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]

  • 1
    ধারা ৪৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    ধারা ৪৯ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    "অথবা এই আইনের ধারা ২৯(ঘ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বৈষম্যমূলক কোন ব্যবস্থা নিবেন না" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী্সমূহ "অযৌক্তিক আনুকূল্য প্রদর্শন করিবেন না" শব্দসমূহের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 4
    উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন)এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs