পথাধিকার (Right of way) ইত্যাদি
৪২৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য একজন পরিচালনাকারী যে কোন জমির মধ্যে, উপরে বা উপর দিয়া উক্ত সেবা বা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বস্তু বা সুবিধা স্থাপন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারেন; লাইসেন্সধারীর এই অধিকার এই অধ্যায়ে পথাধিকার (Right of way) বলিয়া উল্লেখিত৷
(২) পথাধিকার এর আওতায় পরিচালনাকারীর নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাহার কোন প্রতিনিধি বা কর্মচারী-
(ক) যে কোন সময় যুক্তিসংগত নোটিশ দিয়া উক্ত জমিতে প্রবেশ করিতে এবং টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ধারণ বা আটকাইয়া রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটি বা স্তম্ভ স্থাপন করিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত যন্ত্রপাতি আটকাইয়া রাখার জন্য জমিতে অবস্থিত কোন গাছে বা অন্য কিছুতে ব্রাকেট বা অনুরূপ কৌশল সংযুক্ত করিতে পারিবেন;
(গ) উক্ত যন্ত্রপাতি, বস্তু, সুবিধা বা কৌশলের ক্ষতি করিতেছে বা করিতে পারে বা উহার কার্যক্ষমতায় প্রতিবন্ধক হয় বা হইতে পারে এইরূপ গাছপালা বা শাখা-প্রশাখা কাটিয়া ফেলিতে পারিবেন; এবং
(ঘ) উক্ত যন্ত্রপাতি, বস্তু, সুবিধা বা কৌশল ক্ষেত্রমত স্থাপন, নির্মাণ, মেরামত, পরীতগা, পরিবর্তন, অপসারণ বা উহার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কাজ করতে বা এতদ্বিষয়ে এই আইনের অধীন অন্যান্য কাজ করিতে পারিবেন৷
(৩) কোন পরিচালনাকারী তাহার পথাধিকার সাধারণভাবে সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন বা দখলাধীন জমিতে প্রয়োগ করিবে, তবে প্রয়োজনবোধে অন্য যে কোন জমিতেও এই অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন; সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা সাধারণতঃ পথাধিকার প্রয়োগে বাধা দিবে না৷
(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধানবলে উক্ত পরিচালনাকারী-
(ক) জীবন বা সম্পত্তির জন্য বিপজ্জনক বা উহার নিরাপত্তা বিঘ্নকারী কোন কিছু অপসারণ বা মেরামতের উদ্দেশ্যে ব্যতীত, কোন কবরস্থানে বা শ্মশানে বা স্থানীয় জনসাধারণ পবিত্র মনে করেন এমন কিছু অবস্থিত থাকিলে সেই স্থানে প্রবেশ করিতে বা উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন কিছু করিতে পারিবেন না;
(খ) উক্তরূপ অপসারণ বা মেরামতের উদ্দেশ্যে উক্ত কবরস্থান, শ্মশান বা পবিত্র স্থানে প্রবেশের প্রয়োজন হইলে, উহার তত্ত্বাবধানকারীর সম্মতি নিয়া বা তত্ত্বাবধানকারী না থাকিলে বা তত্ত্বাবধানকারীকে তাত্তগণিকভাবে পাওয়া না গেলে বা তাহার সম্মতি না পাওয়া গেলে কমিশনের লিখিত অনুমতি নিয়া উক্ত পরিচালনাকারী উহাতে প্রবেশ করিতে বা উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন কিছু করিতে পারিবেন৷
(৫) উক্ত পরিচালনাকারী-
(ক) জমির মালিক বা দখলকার এর সম্মতি ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না;
(খ) এই ধারার অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে উক্ত জমিতে পথাধিকার ব্যতীত অন্য কোন অধিকার অর্জন করিবেন না;
(গ) কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন জমিতে উক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত এই ধারার অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না;
(ঘ) কোন জমিতে এই ধারার অধীন ক্ষমতা এমনভাবে প্রয়োগ করিবেন যেন উক্ত জমি ও পরিবেশের ক্ষতি ন্যুনতম পর্যায়ে থাকে, এবং উক্ত প্রয়োগের কারণে ক্ষতি হইলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে যুক্তিসংগত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন৷
(৬) উপ-ধারা (২)(ক) তে উল্লেখিত নোটিশে ঈপ্সিত কাজের সঠিক ও পূর্ণ বিবরণ থাকিতে হইবে এবং উক্ত কাজ শুরু করার ১০ (দশ) দিন পূর্বে নোটিশের প্রাপককে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে প্রদান করিতে বা তাহার বাসস্থানে বা কর্মস্থলে পৌঁছাইয়া দিতে হইবে৷
(৭) কোন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি কাহারও জীবন বা সম্পদের জন্য বিপজ্জনক হইয়া পড়িলে পরিচালনাকারী উক্ত জীবন বা সম্পদ রতগার্থে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়কের বিনা অনুমতিতে উক্ত জমিতে প্রবেশ করিতে এবং প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
(৮) এই ধারার অধীন যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগকালে উক্ত পরিচালনাকারী সকল যুক্তিসংগত সতর্কতা অবলম্বন করিবেন এবং সকল ক্ষেত্রে-
(ক) ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা, সেবা বা সুবিধাকে প্রয়োজনীয় মেরামতের মাধ্যমে বা অন্যবিধভাবে যথাসম্ভব পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া আনিবেন;
(খ) কার্য সম্পাদনের স্থান হইতে তজ্জনিত সকল আবর্জনা বা ধ্বংসাবশেষ সরাইয়া ফেলিবেন;
(গ) কোন সম্পত্তির ক্ষতি হইলে উহার মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়ককে ক্ষতিপূরণ দিবেন৷
(৯) উপ-ধারা (৬) এর অধীন কোন নোটিশ পাওয়ার ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে উক্ত জমির মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়ক কমিশনের নিকট লিখিত আপত্তি দাখিল করিতে পারেন, এবং এইরূপ কোন আপত্তি দাখিল করা হইলে কমিশন আপত্তি সম্পর্কে অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অনুসন্ধান সমাপ্ত করিয়া প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিবে; এরূপ সিদ্ধান্ত উক্ত পরিচালনাকারী ও আপত্তিকারী উভয়ের উপর বাধ্যকর ও চূড়ান্ত হইবে; এবং এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷