পরিদর্শকের ক্ষমতা
৬১৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের প্রয়োজনে, একজন পরিদর্শক উপ-ধারা (৩) সাপেক্ষে-
(ক) যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে যে কোন স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন, যদি তাহার এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, উক্ত স্থানে-
(অ)এই আইনের অধীনে অনুমোদিত নহে এইরূপ বেতার যন্ত্রপাতি বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি আছে বা ব্যবহার করা হইতেছে; বা
(আ)এই আইনের অধীনে অনুমোদিত নহে এইরূপ কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি আছে; বা
(ই) প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা পারমিট ব্যতিরেকে বা উহার শর্ত ভঙ্গ করিয়া টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান বা বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন বা পরিচালনা করা হইতেছে;
(খ) উক্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে উহা পরীতগা করিতে পারিবেন;
(গ) উক্ত স্থানে দৃষ্ট যে কোন লগ বুক, প্রতিবেদন, উপাত্ত, নথিপত্র, বিল বা অন্যবিধ দলিল পরীতগা করিতে পারিবেন, যদি তিনি যুক্তিসংগত কারণে মনে করেন যে, এই আইন বা প্রবিধান বা তদধীনে কমিশন প্রদত্ত নির্দেশ বা নির্দেশনা প্রয়োগের জন্য উক্ত পরীতগা প্রয়োজন, এবং তিনি উহার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষের অনুলিপি বা ফটোকপি; বা প্রয়োজনীয় তথ্যাদিও (extract) সংগ্রহ করিতে পারেন;
(ঘ) উক্ত ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতির দখলকার, ব্যবহারকারী বা নিয়ন্ত্রণকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারেন এবং তাহার পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলিয়া মনে করিলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে এবং উক্ত যন্ত্রপাতি সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তাহা আটক করিতে পারেন;
(ঙ) যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবা প্রদানের জন্য যে যন্ত্রপাতি অনুমোদিত নহে উহা আটকের জন্য কমিশনের নিকট সুপারিশ করিতে পারেন৷
(২) উপ-ধারা (১)(ঙ) অনুযায়ী প্রাপ্ত সুপারিশ বিবেচনান্তে কমিশন উক্ত যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবে এবং এইরূপ আটককৃত যন্ত্রপাতি আপাতঃ দৃষ্টে মালিকবিহীন হইলে উহা কমিশনে ন্যস্ত হইবে, এবং পরবর্তী অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কোন ব্যক্তি উক্ত যন্ত্রপাতির মালিকানা দাবী করিলে, প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর, কমিশন তাহাকে উহা ফেরত দিতে পারিবে বা কমিশনের বিবেচনামতে অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত স্থানে কাহারো আবাসস্থল হইলে, পরিদর্শক উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্ববধানকারীর সম্মতি ব্যতীত, সেখানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না, তবে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে তিনি উক্ত সম্মতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করিতে পারেন:-
(ক) যদি উপ-ধারা (৪) এর অধীনে ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ারেন্ট ইস্যু করিয়া থাকেন; বা
(খ) যদি এমন বিশেষ পরিস্থিতি থাকে যে, ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করা বাস্তবসম্মত নহে৷
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ম্যাজিষ্ট্রেটের ওয়ারেন্ট সংগ্রহজনিত বিলম্বের কারণে জীবন, সম্পত্তি বা সংঘটিত অপরাধের সাতেগ্যর নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন বা সাতগ্য বিনষ্ট বা অপসারিত হইতে পারে; এইরূপ পরিস্থিতি দফা (খ) এর আওতায় বিশেষ পরিস্থিতি বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৪) পরিদর্শকের কোন প্রতিবেদন অথবা অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সত্যতার প্রত্যায়নসহ প্রদত্ত কোন তথ্যের ভিত্তিতে যদি প্রতীয়মান হয় যে-
(ক) এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত কোন আবাসস্থলে প্রবেশ করা পরিদর্শকের প্রয়োজন; এবং
(খ) উহাতে প্রবেশের জন্য সম্মতি দেওয়া হয় নাই, বা ইহা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ আছে যে, সম্মতি দেওয়া হইবে না;
তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের আবেদনক্রমে একজন প্রথম শ্রেণীর [জুডিশিয়াল] ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত পরিদর্শককে উক্ত গৃহে প্রবেশের ক্ষমতা দিয়া এবং যথাযথক্ষেত্রে বল প্রয়োগের ক্ষমতাসহ একটি ওয়ারেন্ট ইস্যু করিতে পারেন, এবং এইরূপ ওয়ারেণ্টে পরিদর্শকের নাম উল্লেখ করিবেন ও প্রয়োজনবোধে কোন শর্তও আরোপ করিতে পারিবেন৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টবলে কোন আবাসস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে, পরিদর্শক বল প্রয়োগ করিবেন না; যদি তাহার সংগে কোন পুলিশ ফোর্স না থাকে৷
(৬) পরিদর্শক কোন স্থানে প্রবেশ করিলে তাহাকে উহার দখলকার বা তত্ত্বাবধানকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিদর্শকের অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহসহ অন্যবিধ সকল যুক্তিসংগত সহায়তা করিবেন, যাহাতে এই আইনের অধীন দায়িত্ব পরিদর্শক যথাযথভাবে পালন করিতে পারেন৷
(৭) এই আইনের অধীন পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকালে কোন ব্যক্তি-
(ক) পরিদর্শককে বাধা দিবেন না বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবেন না; অথবা
(খ) স্বজ্ঞানে কোন মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য, মৌখিক হউক বা লিখিত হউক, পরিদর্শকের নিকট উপস্থাপন করিবেন না৷
(৮) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৭) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক [১০০ (একশত) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷