দশম অধ্যায়
পরিদর্শন ও বাধ্যতামূলক গ্রহণ ও নিষ্পত্তি
চলিত বা সম্ভাব্য লংঘনের ক্ষেত্রে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা
৬৪৷ (১) কমিশন যদি মনে করে যে, কোন ব্যক্তি এমন কাজ করিতে উদ্যত হইয়াছেন বা করিতেছেন যাহার ফলে এই আইন, প্রবিধান, লাইসেন্স বা পারমিটের কোন শর্ত বা কমিশনের নির্দেশ বা নির্দেশনা লংঘিত হইতেছে বা হইবে, তাহা হইলে উক্ত কাজ হইতে কেন তিনি বিরত থাকিবেন না সেই মর্মে ৭ (সাত) দিনের একটি লিখিত নোটিশ দিয়া তত্সম্পর্কে তাহার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে তাহা বিবেচনায় অন্যবিধ নির্দেশ দিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন যদি সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত লংঘন বা সম্ভাব্য লংঘনের প্রকৃতি এমন যে, অবিলম্বে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত কাজ হইতে বিরত রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে কমিশন উক্ত নোটিশ জারীর সময়েই তাহাকে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে পারিবে যে, বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত লংঘন বা সংশ্লিষ্ট কাজ হইতে বিরত থাকিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কাজ হইতে বিরত থাকিবেন বা ক্ষেত্রমত কমিশনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করিবেন৷
[ (৩) উক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিলে কমিশন তাহার উপর অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে এবং কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত জরিমানা পরিশোধ না করা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs