প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

দশম অধ্যায়

পরিদর্শন ও বাধ্যতামূলক গ্রহণ ও নিষ্পত্তি

প্রশাসনিক জরিমানা
৬৫৷ (১) এই আইনের যে সকল বিধানে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা রহিয়াছে, উহার অতিরিক্ত হিসাবে কমিশন প্রবিধান দ্বারা এই আইনের অন্যান্য বিধান বা প্রবিধানের কোন বিধান লংঘনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করিতে পারে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৩৫(১), ৫৫(১) এবং ৫৭(২) ধারার লংঘনের ক্ষেত্রে এইরূপ প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করা যাইবে না৷
 
 
(২) এই আইনে বা প্রবিধানের যে সকল বিধান লংঘনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপনীয় সেই সকল ক্ষেত্রে কমিশন 1[অপরাধের ধরন ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করিয়া জরিমানা আরোপ করিবে] লংঘনকারীকে এই মর্মে একটি নোটিশ দিবে যে, তিনি উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর তাহার দোষ স্বীকার করিয়া নোটিশে নির্ধারিত প্রশাসনিক জরিমানা উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রদানের মাধ্যমে দায়মুক্ত হইতে পারেন এবং এই ব্যাপারে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে তাহাও উপস্থাপন করিবেন৷
 
(৩) উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখিত লংঘনের ব্যাপারে-
 
 
(ক) একজন পরিদর্শক প্রাসংগিক তথ্যাদিসহ নির্ধারিত নোটিশের ফরম পূরণ এবং দস্তখত করিয়া উক্ত নোটিশ-
 
 
(অ) অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করিবেন; অথবা
 
 
(আ)পরিদর্শকের জানামতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ বাসস্থান বা কর্মস্থলের ঠিকানায় প্রেরণ করিবেন;
 
 
(খ) অভিযোগকৃত লংঘনের যে সকল বিষয় বিবেচনা ও যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হইবে এবং দোষ স্বীকারের ক্ষেত্রে আরোপণীয় প্রশাসনিক জরিমানার পরিমাণ কত হইবে তাহাও নোটিশে উল্লেখ করিবেন;
 
 
(গ) অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত লংঘন-
 
 
(অ) স্বীকার করিয়া নোটিশে উল্লেখিত 2[সময়ের মধ্যে] সম্পূর্ণ প্রশাসনিক জরিমানা জমা দিতে পারেন;
 
 
(আ)স্বীকার করতঃ লংঘনের পরিস্থিতি বর্ণনাক্রমে উক্ত জরিমানা কমানোর জন্য্ 3[নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে] আবেদন করিতে পারেন; বা
 
 
(ই) অস্বীকার এবং উহার সমর্থনে তাহার লিখিত বক্তব্য ও প্রয়োজনীয় দলিল বা তথ্য পেশ করিয়া উক্ত জরিমানার দায় হইতে অব্যাহতির 4[জন্য নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে] আবেদন করিতে পারেন৷
 
 
(৪) উপ-ধারা ( 5[৩])(গ) এর উপ-দফা (আ) বা (ই) এর অধীনে আবেদন করা হইলে কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা সমগ্র বিষয়টি বিবেচনাক্রমে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক তাহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং এইরূপ সিদ্ধান্তের ৩ (তিন) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে সিদ্ধান্তের অনুলিপি প্রদান করিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে সিদ্ধান্ত প্রদান তারিখের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত পুনরীক্ষণের (revision) জন্য কমিশনের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারেন, এবং এইরূপ আবেদন সম্পর্কে কমিশন সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক ও আবেদনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
(৬) লংঘনকারী উপ-ধারা (৩) এর অধীনে প্রেরিত নোটিশে অভিযোগকৃত লংঘন স্বীকার করিয়া প্রশাসনিক জরিমানার অর্থ জমা দিলে বা উপ-ধারা (৪) বা (৫) এর অধীনে তাহার অনুকূলে দায় মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রদত্ত হইলে তদানুযায়ী তিনি দায়মুক্ত হইবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত লংঘন অপরাধ হিসাবে বা প্রদত্ত জরিমানা অর্থদণ্ড হিসাবে গণ্য হইবে না৷
 
 
(৭) কোন লংঘনকারী এই ধারার অধীনে তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা জমা না দিলে বা নোটিশের প্রেক্ষিতে হাজির না হইলে উক্ত লংঘন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তদানুসারে লংঘনকারীর বিচার হইবে।

  • 1
    "অপরাধের ধরন ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করিয়া জরিমানা আরোপ করিবে" শব্দগুলি "প্রশাসনিক জরিমানা আরোপনীয় সেই সকল ক্ষেত্রে কমিশন" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    "সময়ের মধ্যে" শব্দগুলি "নোটিশে উল্লিখিত" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    "নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে" শব্দগুলি "জরিমানা কমানোর জন্য" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 4
    "জন্য নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে" শব্দগুলি "দায় হইতে অব্যাহতির" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    "(৩)" সংখ্যা ও বন্ধনী "(২)" সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs