প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৭৬৷ (১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে;
 
 
(খ) “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে৷
 
 
(২) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোম্পানী কর্তৃক এই আইন বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, কোম্পানীর নিবন্ধিত কাযার্লয় বা প্রধান কাযার্লয় বা এইরূপ কাযার্লয় না থাকিলে যে স্থান হইতে সাধারণতঃ উহার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় বা যে স্থানে অপরাধটি সংঘটিত হয় বা যে স্থানে কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া যায় সেই স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন 1[প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট] আদালতই হইবে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত৷

  • 1
    “প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট” শব্দগুলি “সেশন” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs