প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

অপরাধের বিচার।
1[৭৭।(১) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন এবং ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable ) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।
 
 
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিদর্শক বা যে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে কোন কর্মকর্তার, যিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিদর্শক বা সম-পদমর্যাদার নিমেড়ব নহেন, লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত কোন আদালত এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন এখতিয়ারাধীন আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও অনুসন্ধান করার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনের কোন কর্মকর্তা পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম শুরু করেন নাই, অথচ উক্ত অভিযোগ বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা রহিয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে উক্ত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে, অথবা যথাযথ মনে করিলে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করিয়া ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং অনুরূপ নির্দেশ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস বায়ন করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিতে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বাধ্য থাকিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লইতে পারিবে।
 
 
(৩) মেট্রোপলিটান এলাকায় মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটান এলাকা বহিভূর্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এই আইন ও ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধের বিচার করিতে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, যদি এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনে বর্ণিত অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় সম্পাদন করা সমীচীন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্র্রেট উভয় অপরাধ আমলে লইয়া ফৌজদারী কাযবিধির বিধান অনুসারে মামলাটি, বিচারের জন্য প্রস্তুত করিয়া, অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধ ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামলাটি, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিবে, অথবা অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধটি বা অপরাধগুলি দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালত কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামালাটি, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালতে প্রেরণ করিবে।
 
 
(৫) সংশ্লিষ্ট আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত একই মামলায় অন্তভুর্ক্ত সকল অপরাধের বিচার করিয়া সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মোতাবেক দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে এবং অপরাধ সংঘটনে জড়িত আলামতসমূহ, ধারা ৮১ এর বিধান সাপেক্ষে, কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
(৬) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত দেওয়া যাইবে না :
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।
 
(৭) অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি তাহার ঊধর্বতন সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে; বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পনড়ব না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করার জন্য চেয়ারম্যান বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।
 
(৯) উপ-ধারা (৮) অনুসারে কোন মামলা যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত পূর্ববর্তী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছে তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করিবে এবং মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।
 
(১০) উপ-ধারা (৭), (৮) ও (৯) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সম্ভব না করা হইলে তজ্জন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বকদায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে এবং উক্তরূপ সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দাখিল করিবে।
 
(১১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ কার্যকর হইবার পূর্বে যে সকল মামলা বিচারার্থে যে আদালতে প্রেরিত হইয়াছে সেই সকল মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন কাযর্ক র হয় নাই।]

  • 1
    ধারা ৭৭ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs