প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

অপরাধের অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদন্ত পদ্ধতি।
1[৭৮। (১) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের তদন্ত করিবার জন্য কমিশন পরিদর্শক বা অন্য কোন সংস্থা বা অন্য কোন সংস্থার কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত কমিশনের পরিদর্শক অনুসন্ধান, মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পাদন করিবেন।
 
(৩) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার প্রয়োজনবোধে জনশৃঙ্খলার স্বার্থে, উপ-ধারা (২) এর বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করিবার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পুলিশ পরিদর্শক বা সমপদ মর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণপূর্বক অনুসন্ধান, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।
 
(৪) অনুসন্ধানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া মাত্রই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি এজাহার দায়ের করিবেন যাহা অপরাধ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হইবে এবং সংশ্লিষ্ট থানা প্রচলিত বিধি বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত এজাহার প্রেরণ করিবে।
 
(৫) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশন বহিভর্ূত কর্মকর্তা হইলে তিনি এজাহারের একটি পাঠযোগ্য অনুলিপি বা ছায়ালিপি অবলিম্বে কমিশন সমীপে প্রেরণ করিবেন।
 
(৬) কোন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও ইহার অধীনে প্রণীত বিধি বা সংশিস্নষ্ট প্রবিধানমালা সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন।
 
(৭) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন যদি যুক্তি সংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হইবার সম্ভাবনা আছে।
 
(৮) আনুষ্ঠানিক তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে।
 
(৯) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা কমিশনের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কমিশনের অনুমোদনের জন্য দাখিল করিবেন এবং উক্তরূপ অনুমোদন প্রাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত তদন্ত রিপোর্ট, অনুমোদনপত্র এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল কারিবেন যাহার একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিবেন; এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার অধীন প্রদত্ত পুলিশি রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দলিলপত্রের মূল কপি আদালতে দাখিল করা সম্ভব না হইলে উহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রিপোর্টের সহিত আদালতে দাখিল করিতে হইবে।
 
(১০) যদি এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানভুক্ত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের তদন্ত ও বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধও একই তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তযোগ্য হইবে।
 
(১১) ধারা ৬১ ও এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিদর্শক, অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, অন্যকোন সরকারী কর্তৃপক্ষ বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদানুসারে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ সহায়তা করিতে বাধ্য থাকিবে।]

  • 1
    ধারা ৭৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs