প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বাজেয়াপ্তকরণ
৮১৷ (১) এই আইন বা প্রবিধানের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি বা যান বা অন্য কোন বস্তু বা দলিল, অতঃপর এই ধারায় মালামাল বলিয়া উল্লেখিত, সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে তাহা সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ আদালত প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালামাল এই উপ-ধারার অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হইলে, কমিশন উক্ত বাজেয়াপ্তকরণ সম্পর্কে একটি নোটিশ ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচার করিবে; এই নোটিশ, প্রচারিত হওয়ার ৩০ দিন পর কমিশন, বাজেয়াপ্তকৃত মালামাল নিষ্পত্তি করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের দায়ে যে ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বাজেয়াপ্ত মালামালের মালিক, বন্ধক গ্রহীতা, লিয়েন হোল্ডার বা অন্যবিধ ক্ষমতায় কোন স্বার্থ দাবী করিলে, তিনি বাজেয়াপ্তকরণের নোটিশ প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিচারকারী আদালতের নিকট উপ-ধারা (৬) এর অধীন আদেশ প্রাপ্তির জন্য দরখাস্ত, অতঃপর উক্ত দরখাস্ত বলিয়া উল্লেখিত, করিতে পারেন এবং উক্ত দরখাস্ত্মের উপর শুনানীর জন্য উক্ত আদালত একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) দরখাস্তকারী উক্ত দরখাস্ত আদালতে দাখিল করার সময় বা তত্পূর্বে কমিশনকে এবং বাজেয়াপ্ত মালামালে অন্য কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৩)-এর উল্লেখিত কোন স্বার্থ দাবী করিয়াছেন বলিয়া দরখাস্তকারীর জানা থাকিলে তাহাকে, উক্ত দরখাস্ত্মের অনুলিপিসহ একটি নোটিশ দিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত দরখাস্ত সম্পর্কে দরখাস্তকারী, দাবী উত্থাপনকারী অন্যান্য ব্যক্তি এবং কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে-
 
 
 
 
(ক) যে অপরাধের কারণে উক্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত হইয়াছে উহার সহিত উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারীর অজ্ঞাতসারে বা তাহার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতিরেকে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী উক্ত মালামালের ব্যাপারে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন যে, মালামালের অনুমোদিত দখলদার বা ব্যবহারকারীগণ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইবে না মর্মে সন্তুষ্ট থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ তাহার ছিল;
 
 
 
 
তাহা হইলে আদালত যে দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী সম্পর্কে উক্তরূপে সন্তুষ্ট হয় তাহার স্বার্থের পরিধি এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তুলনায় তাহার স্বার্থের অগ্রগণ্যতা ঘোষণা করিতে পারিবে; এবং ইহা ছাড়াও উক্ত মালামাল এইরূপ স্বার্থবান ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য বা উক্ত মালামাল বিক্রি বা অন্যবিধভাবে নিষ্পত্তি হইয়া থাকিলে স্বার্থের অনুপাতে প্রত্যেক স্বার্থবান ব্যক্তিকে আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত অর্থ নিষ্পত্তি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ হইতে পরিশোধ করার নির্দেশও দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্তকরণ বা নিষ্পত্তিকরণ বা এতদসংক্রান্ত কার্যধারায় উক্ত মালিক বা স্বার্থবান ব্যক্তি কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবে না বা অন্য কোন আদালতে এইরূপ ক্ষতিপূরণের দাবী বা অন্য কোন দাবী উত্থাপন করিতে পারিবেন না৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs