প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

দ্বাদশ অধ্যায়

তথ্য প্রবাহ

গণশুনানী ও উহার পদ্ধতি
৮৭৷ (১) কোন আবেদন বা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কমিশন যদি মনে করে যে, জনস্বার্থ রতগার জন্য উহার কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা প্রস্ত্মাবিত প্রয়োগের বিষয়ে বা অন্য বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণশুনানীর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে গণশুনানীর ব্যবস্থা করিতে পারে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গণশুনানী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কমিশন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি গণশুনানী কমিটি, অতঃপর এই অধ্যায়ে কমিটি বলিয়া উল্লেখিত, গঠন করিতে পারে; কমিশনের চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান কমিটির সভাপতি এবং কমিশন কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন কমিশনার বা কর্মকর্তা কমিটির অপর দুইজন সদস্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) গণশুনানীর ব্যাপারে অনুসরণীয় পদ্ধতি প্রবিধানে বর্ণিত না থাকিলে, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কমিটির বিবেচনামত যথাযথ পদ্ধতিতে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কমিটি উহার সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে যে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত করিবে৷
 
 
 
 
(৫) প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ পাওয়ার জন্য কমিটি তদন্তাধীন বিষয়ে লিখিতভাবে নির্দিষ্ট সাতগ্য বা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দিতে পারে এবং যে বিষয়ে মৌখিক সাতগ্য বা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা যাইবে তাহাও নির্ধারণ করিতে পারে৷
 
 
 
 
(৬) কমিটি যথাযথ বিবেচনা করিলে উহার সম্মুখে সাতগ্য বা কোন তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাহার মনোনীত একজন এডভোকেট বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা প্রতিনিধকে উক্ত সাতগ্য বা তথ্য উপস্থাপনে বা সেই ব্যাপারে সহায়তা করার অনুমতি দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) গণশুনানীর কার্যধারা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে এবং উহাতে উপস্থাপিত সাতগ্য ও অন্যান্য তথ্য এবং কমিটি কর্তৃক বিবেচিত ঘটনাবলী গণশুনানীর কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করানোর জন্য কমিটির সভাপতি ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৮) তলব করা হইয়াছে এইরূপ যে কোন ব্যক্তি, বা তলব না পাওয়া সত্ত্বেও তদন্তাধীন বিষয়ে গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের কারণে যাহার স্বার্থতগুণ্ন বা প্রভাবিত হইতে পারে যা উক্ত বিষয় সম্পর্কে ওয়াকেফহাল আছেন এইরূপ যে
 
 
কোন ব্যক্তি, নিজে বা তাহার ক্ষমতাপ্রদত্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে, কমিটির সম্মুখে হাজির হইয়া তাহার বক্তব্য পেশ করিতে পারেন৷
 
 
 
 
(৯) তদন্তকালে বা তদন্ত শেষে, কমিটি-
 
 
 
 
(ক) তদন্তাধীন বিষয় বা উহার অংশবিশেষ সম্পর্কে সংতিগপ্ত কারণ উল্লেখপূর্বক সিদ্ধান্ত দিতে পারে;
 
 
 
 
(খ) তদন্তাধীন কোন বিষয় বা উহার অংশবিশেষকে তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক বা ভিত্তিহীন বা জনস্বার্থে তত্সম্পর্কে গণশুনানী চালাইয়া যাওয়ার প্রয়োজন নাই বা উহা কাম্য নহে বলিয়া মনে করিলে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বা উহার সংশ্লিষ্ট অংশকে তদন্ত হইতে বাদ দিতে বা তত্সম্পর্কে শুনানী হইতে বিরত থাকিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উহার বিবেচনাধীন, যে কোন বিষয়ের উপর ত্বরিত এবং ন্যায্য শুনানী অনুষ্ঠান এবং তত্সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে সাধারণভাবে যে কোন নির্দেশ দিতে এবং অন্যবিধ যে কোন কাজ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১০) উপ-ধারা (৯)(ক) এর অধীনে প্রদত্ত প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত বা উহার সারাংশ অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিতে হইবে এবং গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক আগ্রহী পক্ষকে প্রতিটি নির্দেশ ও সিদ্ধান্তের অনুলিপি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে সরবরাহ করিতে হইবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs