প্রিন্ট

25/04/2024
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১

সমবায় সমিতি আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ৪৭ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

সমবায় সমিতির আইনগত মযার্দা, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি

প্রত্যেক সমবায় সমিতি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা
১৪৷ (১) এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত প্রত্যেক সমবায় সমিতি হইবে স্বতন্ত্র আইনগত সত্বাবিশিষ্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (body corporate) যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা থাকিবে, উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন ধরনের সম্পদ অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর করার এবং চুক্তি করার অধিকার থাকিবে; সমিতির একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং সমিতি উহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সাধারণ সীলমোহর কাহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে, কোন্‌ কোন্‌ দলিলে ও কোন্‌ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সীলমোহর দ্বারা সীল দিতে হইবে তাহা উপ-আইন দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
সমবায় সমিতির শেয়ার মূলধন ও শেয়ার সম্পর্কে সদস্যগণের দায়-দায়িত্ব
১৫৷ (১) এই আইনের অধীনে নিবন্ধনযোগ্য প্রত্যেকটি সমবায় সমিতির শেয়ার মূলধন থাকিবে যাহা সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির উপ-আইনে নির্ধারিত মূল্যমানের এবং নির্ধারিত সংখ্যক শেয়ারে বিভক্ত থাকিবে৷
 
 
1[(২) কোন সমবায় সমিতির নিবন্ধনকালে উহার প্রত্যেক সদস্যকে অন্ততঃ একটি শেয়ার অভিহিত মূল্যে (face value) ক্রয় করিতে হইবে এবং পরবর্তী সময়ে নতুন সদস্যপদ লাভের জন্য বা কোন সদস্য কর্তৃক অতিরিক্ত শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অথবা, ক্ষেত্রমত, নিবন্ধক কর্তৃক নির্ধারিত শেয়ারের বাজার মূল্য (market value) সমিতিকে প্রদান করিতে হইবে, যাহা সমিতির নিজস্ব মূলধন হিসেবে পরিগণিত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার ব্যতীত, কোন সদস্য বা, ক্ষেত্রমত, সমিতি কোন সমবায় সমিতির মোট শেয়ার মূলধনের এক পঞ্চমাংশের অধিক শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে না।]
 
 
(৩) কোন সমবায় সমিতির শেয়ার সমিতির নিকট ফেরত্যোগ্য হইবে না বা সমিতি উক্ত শেয়ার ক্রয় বা উহার পরিবর্তে অর্থ বা অন্য কোন সম্পদ উক্ত সদস্যকে পরিশোধ করিতে পারিবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমবায় সমিতির সদস্য পদ যদি উহার উপ-আইন অনুসারে কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কোন শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেতনভোগী কর্মচারী বা শ্রমিকদের মধ্যে সীমিত রাখা বাধ্যতামূলক হয়, তাহা হইলে উক্ত সদস্যগণের ধারণকৃত শেয়ারের ক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৪) কোন সদস্য তাহার শেয়ার সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির পূর্বসম্মতিক্রমে উপ-আইন অনুসারে হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৫) সমবায় সমিতির অবসায়নের সময় উহার দায়-দায়িত্ব পরিশোধের ক্ষেত্রে সমিতির পরিসম্পদে ঘাটতি থাকিলে উহা পরিশোধের জন্য সদস্যগণ তাহাদের নিজ নিজ শেয়ারের অনুপাতে দায়ী থাকিবেন৷
সমবায় সমিতির চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ
১৬৷ (১) এই আইন, বিধি এবং উপ-আইনের শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যেক সমবায় সমিতির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব উহার সাধারণ সভার উপর বর্তাইবে৷
 
 
 
 
(২) সাধারণ সভা আহ্বান এবং ইহার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি ও উপ-আইন অনুসরণ করিতে হইবে৷
বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা
১৭৷ (১) সমবায় সমিতি উহার সদস্যগণের সমন্বয়ে দুই প্রকার সভা অনুষ্ঠান করিতে পারে, যথাঃ বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা কমিটি সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা বত্সরে একবার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে; এবং অন্য যে কোন সাধারণ সভা বিশেষ সাধারণ সভা নামে অভিহিত হইবে; উভয় প্রকারের সাধারণ সভা এই আইন ও বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হইবে, তবে সমিতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুসারে উপ-আইনেও এই ব্যাপারে অতিরিক্ত বিধান থাকিতে পারে৷
 
 
2[(৩) প্রত্যেক সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা উহার নিরীক্ষা কাজ সম্পন্ন হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্তরূপ সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হইবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে নিবন্ধক উক্ত সময়সীমা সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।]
 
 
 
 
(৪) সাধারণ সভার কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ:-
 
 
 
 
(ক) বিগত বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বিশেষ সাধারণ সভার কার্য বিবরণী অনুমোদন;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের উপর বাত্সরিক রিপোর্ট পর্যালোচনা;
 
 
 
 
(গ) বার্ষিক হিসাব বিবরণী বিবেচনা ও অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঘ) উদ্বৃত্তপত্র ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, নিরীক্ষিত উদ্বৃত্তপত্রের এক কপি সাধারণ সভার নোটিশের সাথে প্রত্যেক সদস্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) পরবর্তী আর্থিক বত্সরের জন্য প্রাক্কলিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন;
 
 
 
 
(চ) ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ছ) সমবায় সমিতির কোন সদস্য বা কর্মচারী কর্তৃক কোন অভিযোগ বা সদস্যপদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ত্রিশ দিন পূর্বে কোন নোটিশ সমিতিতে দাখিল করা হইলে উক্ত বিষয়ে শুনানী, পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ;
 
 
 
 
(জ) সমবায় সমিতির কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, তাহাদের বেতন নির্ধারণ ও সার্ভিস রুল অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঝ) সমিতির নিরীক্ষা প্রতিবেদন বা তদন্ত রিপোর্টে উল্লিখিত বিষয়ে নিবন্ধকের বরাবরে প্রেরণের জন্য পরিপালন পত্র অনুমোদন;
 
 
 
 
(ঞ) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল বা বিশেষ কোন সদস্যের বহিষ্কার বা সমিতির অন্য কোন সদস্যকে বহিষ্কার;
 
 
 
 
(ট) উপ-আইন সংশোধন বা পুনঃপ্রণয়ন৷
 
 
 
 
(৫) যে সকল সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা একশত বা ইহার কম, সেই সকল সমবায় সমিতির সাধারণ সভার কোরাম হইবে মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ; এবং সদস্য সংখ্যা একশত এর অধিক কিন্তু এক হাজারের কম হইলে কোরামের জন্য সদস্য সংখ্যা হইবে মোট সদস্য সংখ্যার এক চতুর্থাংশ; এবং এক হাজার বা তাহার অধিক সদস্য বিশিষ্ট সমিতির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতি৷
 
 
(৬) আইন ও বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হইলে তজ্জন্য দায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্য বা সদস্যগণ উক্ত সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির পরবর্তী নির্বাচনে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিন বত্সরের জন্য 3[অযোগ্য হইবেন] ।
 
 
 
 
(৭) ধারাবাহিকভাবে পর পর তিন বত্সর যদি কোন সমবায় সমিতির সাধারণ সভায় কোরাম না হয়, তবে ঐ সমিতি অবসায়নের যোগ্য বলিয়া নিবন্ধক আদেশ দিতে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে পর পর দুই বত্সর কোরাম অর্জনে ব্যর্থ সমিতিকে নিবন্ধক এই বিষয়ে সতর্ক করিয়া দিবেন৷
 
 
 
 
(৮) কোন সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিতে হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের বিধান অনুসারে উক্ত সভা আহ্বানের প্রয়োজন হয়;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন বিশেষ কারণে উক্ত সভা আহ্বান প্রয়োজনীয় বলিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে;
 
 
 
 
(গ) অনধিক পাঁচশত সদস্য বিশিষ্ট সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশ সদস্য লিখিতভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট আবেদন করেন;
 
 
 
 
(ঘ) এইরূপ সভা আহ্বানের জন্য নিবন্ধকের নির্দেশ থাকে৷
 
 
 
 
(৯) নিবন্ধক বা তত্কর্তৃক লিখিত নির্দেশবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন যদি ঐ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি নিবন্ধকের নির্দেশে বা সদস্যদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সভা আহ্বান করিতে ব্যর্থ হয়৷
 
 
 
 
(১০) সাধারণ সভা বা বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির যে কোন বা সকল নির্বাচিত সদস্যকে বহিষ্কার করা যাইবে যদি এতদুদ্দেশ্যে উক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়; তবে এইরূপ সিদ্ধান্ত অবশ্যই সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে৷
 
 
 
 
(১১) যে সাধারণ সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য বহিষ্কৃত হন সেই সভাতেই অপর একজন সদস্যকে তদ্‌স্থলে নির্বাচন করিতে হইবে এবং তিনি বা তাঁহারা উক্ত কমিটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন৷
 
 
 
 
(১২) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত যে কোন বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে৷
ব্যবস্থাপনা কমিটি
১৮৷ (১) প্রত্যেক সমবায় সমিতির যাবতীয় ক্ষমতা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই আইন, বিধি ও উপ-আইন মোতাবেক গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সকল কার্য উক্ত কমিটি সম্পাদন করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-আইনে নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে, এবং তাঁহারা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে,
 
 
 
 
(ক) নিবন্ধনের সময় নিবন্ধক তত্কর্তৃক অনুমোদিত উপ-আইন অনুসারে প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করিবেন;
 
 
 
 
(খ) যেই সকল সমবায় সমিতির পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের ৫০% এর অধিক সরকারের মালিকানায় আছে বা যেই সকল সমবায় সমিতির মোট ঋণের বা অগ্রিমের ৫০% এর অধিক সরকার প্রদান করিয়াছে বা উক্ত সমিতির গৃহীত ঋণের ব্যাপারে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে, সেই সকল ক্ষেত্রে 4[নিবন্ধক প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির এবং সরকার জাতীয় সমবায় সমিতির] 5[ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রদান করিবেন]
 
 
 
 
6[(৩) কোন সমবায় সমিতি নিবন্ধনকালে নিবন্ধক কর্তৃক অনুমোদিত প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ হইবে ২(দুই) বৎসর এবং এই মেয়াদের মধ্যে অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করিয়া নিয়মিত কমিটি গঠন করিবে।]
 
 
 
 
7[(৪) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি উহার প্রথম অনুষ্ঠিত সভার তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করিবে এবং উক্ত কমিটি উহার মেয়াদ পূর্তির পূর্বে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করিবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৩) ও (৪) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমিতির সদস্য বা সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে 8[১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
 
 
 
 
(৬) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্বভার হস্তান্তর করিবে৷
 
 
 
 
(৭) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ধারা (৬) এ বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক উপ-ধারা (৫) ও (৬) এ উল্লিখিত শর্ত ও সময়ের জন্য পুনরায় একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ পরবর্তী কোন অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
 
 
 
 
(৮) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসাবে একাদিক্রমে 9[তিনটি] মেয়াদ পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোন সদস্য উক্ত মেয়াদের অব্যবহিত পরবর্তী একটি মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থী হইবার যোগ্য হইবেন না৷]
ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা
১৯৷ (১) প্রাথমিক সমবায় সমিতির কোন সদস্য ঐ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার বা সদস্য পদে বহাল থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি নিম্নবর্ণিত যে কোন অবস্থা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় অর্থাত্ যদি তিনি-
 
 
 
 
(ক) ২১ বত্সর বয়স্ক না হন;
 
 
 
 
10[* * *]
 
 
 
 
(গ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ পর্যন্ত অব্যাহতভাবে অন্তত ১২ মাস ব্যাপী সমিতির সদস্য হিসাবে বহাল না থাকেন;
 
 
 
 
(ঘ) কোন ফৌজদারী অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত হইয়া দুই বত্সর বা ততোধিক মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া থাকেন এবং কারাভোগের পর পাঁচ বত্সর সময় অতিবাহিত না হয়;
 
 
 
 
(ঙ) কোন সমবায় সমিতি বা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অগ্রিম, গৃহীত পণ্যের মূল্য বা অন্য যে কোন পাওনা বা পাওনার কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন;
 
 
(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটির বা কোন সদস্যের অধীনে বা সমিতির অধীনে বেতনভোগী কর্মচারী হন বা সমিতির আওতাধীন কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র শ্রমিক বা কারিগর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি শুধুমাত্র ড্রাইভার, হেলপার বা কন্ডাক্টর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি বা কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সমন্বয়ে গঠিত কর্মচারী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই দফা প্রযোজ্য হইবে না;
 
 
 
 
(ছ) সমিতির কোন কাজের জন্য ঠিকাদার হন বা লাভজনকভাবে সমিতিকে কোন সামগ্রী সরবরাহ করেন;
 
 
 
 
(জ) যথোপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি কোন কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইবার বা উক্ত পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য হইবেন, যদি-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরিস্থিতি তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
 
 
 
 
11[(খ) তিনি উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ববর্তী ৩ (তিন) বৎসর যাবৎ অব্যাহতভাবে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্য না থাকেন এবং উক্ত ৩ (তিন) বৎসরে অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমিতির অন্যূন দু’টি বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত না থাকেন;]
 
 
 
 
(গ) তিনি সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতি বা, ক্ষেত্রমত, কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতির পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে উক্ত সমিতি কর্তৃক খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন; অথবা,
 
 
 
 
(ঘ) তিনি যে সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেই সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হন12[; অথবা
 
 
(ঙ) ঋণ খেলাপী, সমবায় উন্নয়ন তহবিল (সিডিএফ), অডিট সেস বা অন্য কোন সরকারি পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হন।]
 
 
(৩) কোন সমিতিতে সরকারের শেয়ার থাকিলে এবং উহার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সদস্য হিসাবে সরকার কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে তাহার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
শূন্য পদ পূরণ
13[২০। (১) ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য পদ শূন্য হইলে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্যকে উক্ত পদ শূন্য হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটি কো-অপ্ট করিবে।
 
 
(২) কোন সমবায় সমিতির নির্বাচনে কোরাম সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত না হইলে বিদ্যমান কমিটি সম্ভব হইলে উহার মেয়াদের মধ্যে বা, ক্ষেত্রমত, নিবন্ধক কর্তৃক গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির শূন্য পদসমূহে নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শূন্য পদে নির্বাচন করা না হইলে বা নির্বাচনের মাধ্যমে কোরাম সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত না হইলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল হইবে এবং এইক্ষেত্রে সমিতির কার্যক্রম নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে।]
সমবায় সমিতির কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারী প্রেষণে নিয়োগ
14[২১।(১) যে সকল সমিতিতে সরকারের শেয়ার, ঋণ বা উক্ত সমিতির গৃহীত ঋণের ব্যাপারে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে সে সকল সমিতিতে সরকার, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাকে উহার নির্বাহের জন্য প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) কোন সমবায় সমিতির আবেদনক্রমে নিবন্ধক, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে সমিতির কার্যাবলী নির্বাহের জন্য প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবেন।]
ব্যবস্থাপনা কমিটি ভংগকরণ, দোষী সদস্যের বহিষ্কার ইত্যাদি
২২৷ (১) অষ্টম অধ্যায়ের অধীন সম্পাদিত নিরীক্ষা বা অনুষ্ঠিত তদন্তের ভিত্তিতে নিবন্ধক যদি সন্তুষ্ট হন যে, কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা এই আইন, বিধি বা উপ-আইনের বিধান লংঘন করিয়া সম্পন্ন হইতেছে বা হইয়াছে এবং উক্ত লংঘনের ফলে সমিতির সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইয়াছে বা হইবে বা সমিতি দেউলিয়া হইবার উপক্রম হইয়াছে, তাহা হইলে নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্তসার ও কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত পরিস্থিতির জন্য নিবন্ধকের বিবেচনায় দায়ী সদস্য বা সদস্যগণকে বহিষ্কারের উদ্দেশ্যে 15[আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানীঅন্তে সন্তুষ্ট না হইলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে] একটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নির্দেশ দিবেন এবং তদনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা আহ্বানে বাধ্য থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার থাকিলে বা উক্ত সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকিলে বা সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে নিবন্ধক বিশেষ সভা আহ্বানের পরিবর্তে উক্ত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়ী সদস্যগণকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়া তাহাদেরকে কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান না করিলে নিবন্ধক কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া দোষী সদস্য বা সদস্যগণকে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটিকে ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) যে সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার আছে বা যে সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছে বা যে সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারাণ্টি সরকার প্রদান করিয়াছে, সেই সমিতির বিষয়াবলী সরকার যে কোন সময় তদন্ত করিতে পারিবে এবং এইরূপ তদন্তে যদি দেখা যায় যে, সমিতির কাজ কর্ম এই আইন, বিধি বা উপ-আইন লংঘন করিয়া পরিচালিত হইয়াছে বা হইতেছে এবং উক্ত লংঘন সরকার প্রদত্ত ঋণ বা গ্যারান্টি বা সাধারণ সদস্যদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর তাহা হইলে সরকার কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া সরকারের বিবেচনায় উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী সদস্য বা সদস্যগণকে ব্যবস্থাপনা কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে আহ্ববানকৃত বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বা উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ অনুযায়ী উপ-ধারা (২) বা (৩) অনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করা হইলে বা উক্ত কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে বহিষ্কৃত সদস্য বা ভাংগিয়া দেওয়া কমিটির সকল 16[ সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন৷]৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীনে নিবন্ধক ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করিলে বা ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিলে উক্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী নিবন্ধকের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আপীল করিতে পারিবে এবং এইরূপ সিদ্ধান্ত 17[সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে] সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে পেশকৃত আপীল বা পুনঃবিবেচনা আবেদনের উপরে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং তদ্‌সম্পর্কে 18[ধারা ৫২] এর অধীনে জেলা জজের নিকট বা অন্য কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) এই ধারার অধীনে কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে নিবন্ধক সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহের জন্য ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য 19[ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন৷
 
 
20[(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে। ]
 
 
 
 
(৯) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি উপ-ধারা (৮) অনুসারে যথাসময়ে কার্যক্রম গ্রহণে ব্যর্থ হইলে নিবন্ধক উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করিয়া নতুন 21[১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন৷
সমবায় সমিতির ঠিকানা
22[২৩৷ উপ-আইনে পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখসহ প্রত্যেক সমবায় সমিতির একটি কার্যালয় থাকিবে এবং উক্ত ঠিকানায় সকল নোটিশ প্রেরণসহ সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করা হইবে।]
সমবায় সমিতির শাখা অফিস খোলা এবং উহার নামের সহিত ব্যাংক শব্দ ব্যবহারের উপর বাধা নিষেধ
23[২৩ক। (১) কোন সমবায় সমিতি উহার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন শাখা অফিস খুলিতে পারিবে না, তবে এই বিধান কার্যকর হইবার পূর্বে কোন অনুমোদিত শাখা অফিস থাকিলে, উহা এই বিধান কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল সমিতির সাথে একীভূত হইবে অথবা সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির আবেদনক্রমে উক্ত শাখা অফিস প্রাথমকি সমবায় সমিতি হিসাবে নিবন্ধিত হইতে পারিবে।
 
 
(২) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রিয় সমবায় ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ব্যতীত কোন প্রাথমিক সমবায় সমিতি, কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতি উহার নামের সহিত ব্যাংক শব্দ ব্যবহার করিতে পারিবে না, তবে কোন সমবায় সমিতি এইরূপ শব্দযুক্ত নামে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে এই বিধান কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহার নাম সংশোধন করিয়া নিবন্ধককে অবহিত করিতে হইবে।
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত সমবায় সমিতি কর্তৃক ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনার উপর বাধা নিষেধ
২৩খ। - (১) কোন সমবায় সমিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না।
 
 
(২) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।]
 
সমবায় সমিতি কর্তৃক সংরক্ষণযোগ্য রেজিষ্টারসমূহ
২৪৷ প্রত্যেক সমবায় সমিতি নিম্নবর্ণিত রেজিষ্টার ও বহিসমূহ হালনাগাদপূর্বক সংরক্ষণ করিবে:-
 
 
 
 
(ক) সদস্য রেজিষ্টার;
 
 
 
 
(খ) শেয়ার রেজিষ্টার;
 
 
 
 
(গ) ডিপোজিট রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
 
 
 
 
(ঘ) লোন রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
 
 
 
 
(ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত রেজিষ্টার;
 
 
 
 
(চ) ক্যাশ বহি/রেজিষ্টার;
 
 
 
 
(ছ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা নিবন্ধক কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য বহি ও রেজিষ্টার৷
বার্ষিক উদ্বৃত্ত পত্র প্রকাশনা
২৫৷ প্রত্যেক সমবায় সমিতি নিরীক্ষক কর্তৃক পরীক্ষিত উদ্বৃত্তপত্র প্রতিবত্সর নির্ধারিত নিয়মে প্রকাশ করিবে৷
আমানত ও ঋণ গ্রহণ এবং ঋণ প্রদানের উপর বাধা নিষেধ
২৬৷ 24[(১) বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ব্যতীত কোন সমবায় সমিতি উহার সদস্য ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ বা ঋণ প্রদান করিতে পারিবে না।]
 
 
 
 
(২) 25[***] কোন সমবায় সমিতি কর্তৃক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(ক) উহার সদস্য নহে এমন কোন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করা যাইবেনা;
 
 
 
 
(খ) উহার সদস্যগণকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপ-আইনে ও বিধিতে বর্ণিত সীমা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
 
 
26[***]
 
 
 
 
(৪) এই ধারায় যাহা কিছু্‌ই থাকুক না কেন,-
 
 
 
 
(ক) ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্য হিসাবে যেই ঋণ পাইবার অধিকারী উহার অতিরিক্ত কোন ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না;
 
 
 
 
(খ) ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য ঋণ পাইবার যোগ্য হইবেন না৷
 
 
সরকার কর্তৃক আর্থিক সহায়তা প্রদান, ইত্যাদি
27[২৬ক৷ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্ধারিত শর্তে সরকার-
 
 
 
 
(ক) কোন সমবায় সমিতির শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) কোন সমবায় সমিতিকে আর্থিক সহায়তা বা ঋণ প্রদান করিতে পারিবে৷]
আমানত সুরক্ষা তহবিল
28[২৬খ। (১) আমানাতকারী কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের সুরক্ষার জন্য নিবন্ধক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আমানত সুরক্ষা তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং সঞ্চয় আমানত গ্রহণকারী সমিতি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ উক্ত তহবিলে জমা রাখিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
(২) আমানত সুরক্ষা তহবিলের অর্থ নিবন্ধক ও সংশ্লিষ্ট সমিতির যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করা যাইবে।]
ঋনপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে নিবন্ধকের ক্ষমতা
২৭৷ কোন সমবায় সমিতি উহার তহবিল উন্নয়নের জন্য ঋণপত্র ইস্যু করিতে চাহিলে নিবন্ধকের অনুমতি সাপেক্ষে বিধিদ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
 
 

  • 1
    উপ-ধারা (২) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    “অযোগ্য হইবেন” শব্দগুলি “অযোগ্য বলিয়া নিবন্ধক আদেশ দিতে পারিবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    “নিবন্ধক প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির এবং সরকার জাতীয় সমবায় সমিতির” শব্দগুলি “নিবন্ধক সমবায় সমিতির” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 5
    “ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রদান করিবেন” শব্দগুলি “ব্যবস্থাপনা কমিটির একতৃতীয়াংশের সদস্য মনোনয়ন করিবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    উপ-ধারাসমূহ (৪), (৫), (৬), (৭) এবং (৮) পূর্ববর্তী উপ-ধারাসমূহ (৪), (৫), (৬) এবং (৭) এর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 8
    “১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “৯০ (নব্বই) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    “তিনটি” শব্দ “দু’টি” শব্দ ও চিহ্নের পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    দফা (খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 11
    দফা (খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    “; অথবা” সেমিকোলন ও শব্দ “দাঁড়ি” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর দফা (ঙ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৩(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
  • 13
    ধারা ২০ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 14
    ধারা ২১ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    “আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানীঅন্তে সন্তুষ্ট না হইলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “বহিস্কারের উদ্দেশ্যে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 16
    “সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন” শব্দগুলি “সদস্য পরবর্তী পাঁচ বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হইবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 17
    “সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে” শব্দগুলি “অধিদপ্তর প্রধান হিসাবে নিবন্ধক স্বয়ং বা সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে অধিদপ্তর প্রধান বা” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 18
    “ধারা ৫২” শব্দ ও সংখ্যা “ধারা ৫৪” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 19
    “ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “যে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০ (নব্বই) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 20
    উপ-ধারা (৮) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 21
    “১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “নতুন” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 22
    ধারা ২৩ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 23
    ধারা ২৩ক ও ২৩খ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 24
    উপ-ধারা (১) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 25
    “উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,” শব্দগুলি, চিহ্ন, বন্ধনী ও সংখ্যা সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 26
    উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 27
    ধারা ২৬ক সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
  • 28
    ধারা ২৬খ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs