প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

সমবায় সমিতি আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ৪৭ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

সমবায় সমিতির আইনগত মযার্দা, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি

ব্যবস্থাপনা কমিটি ভংগকরণ, দোষী সদস্যের বহিষ্কার ইত্যাদি
২২৷ (১) অষ্টম অধ্যায়ের অধীন সম্পাদিত নিরীক্ষা বা অনুষ্ঠিত তদন্তের ভিত্তিতে নিবন্ধক যদি সন্তুষ্ট হন যে, কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা এই আইন, বিধি বা উপ-আইনের বিধান লংঘন করিয়া সম্পন্ন হইতেছে বা হইয়াছে এবং উক্ত লংঘনের ফলে সমিতির সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইয়াছে বা হইবে বা সমিতি দেউলিয়া হইবার উপক্রম হইয়াছে, তাহা হইলে নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্তসার ও কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত পরিস্থিতির জন্য নিবন্ধকের বিবেচনায় দায়ী সদস্য বা সদস্যগণকে বহিষ্কারের উদ্দেশ্যে 1[আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানীঅন্তে সন্তুষ্ট না হইলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে] একটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নির্দেশ দিবেন এবং তদনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা আহ্বানে বাধ্য থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার থাকিলে বা উক্ত সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকিলে বা সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে নিবন্ধক বিশেষ সভা আহ্বানের পরিবর্তে উক্ত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়ী সদস্যগণকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়া তাহাদেরকে কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান না করিলে নিবন্ধক কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া দোষী সদস্য বা সদস্যগণকে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটিকে ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) যে সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার আছে বা যে সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছে বা যে সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারাণ্টি সরকার প্রদান করিয়াছে, সেই সমিতির বিষয়াবলী সরকার যে কোন সময় তদন্ত করিতে পারিবে এবং এইরূপ তদন্তে যদি দেখা যায় যে, সমিতির কাজ কর্ম এই আইন, বিধি বা উপ-আইন লংঘন করিয়া পরিচালিত হইয়াছে বা হইতেছে এবং উক্ত লংঘন সরকার প্রদত্ত ঋণ বা গ্যারান্টি বা সাধারণ সদস্যদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর তাহা হইলে সরকার কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া সরকারের বিবেচনায় উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী সদস্য বা সদস্যগণকে ব্যবস্থাপনা কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে আহ্ববানকৃত বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বা উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ অনুযায়ী উপ-ধারা (২) বা (৩) অনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করা হইলে বা উক্ত কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে বহিষ্কৃত সদস্য বা ভাংগিয়া দেওয়া কমিটির সকল 2[ সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন৷]৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীনে নিবন্ধক ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করিলে বা ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিলে উক্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী নিবন্ধকের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আপীল করিতে পারিবে এবং এইরূপ সিদ্ধান্ত 3[সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে] সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে পেশকৃত আপীল বা পুনঃবিবেচনা আবেদনের উপরে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং তদ্‌সম্পর্কে 4[ধারা ৫২] এর অধীনে জেলা জজের নিকট বা অন্য কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) এই ধারার অধীনে কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে নিবন্ধক সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহের জন্য ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য 5[ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন৷
 
 
6[(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে। ]
 
 
 
 
(৯) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি উপ-ধারা (৮) অনুসারে যথাসময়ে কার্যক্রম গ্রহণে ব্যর্থ হইলে নিবন্ধক উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করিয়া নতুন 7[১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন৷

  • 1
    “আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানীঅন্তে সন্তুষ্ট না হইলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “বহিস্কারের উদ্দেশ্যে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    “সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন” শব্দগুলি “সদস্য পরবর্তী পাঁচ বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হইবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    “সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে” শব্দগুলি “অধিদপ্তর প্রধান হিসাবে নিবন্ধক স্বয়ং বা সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে অধিদপ্তর প্রধান বা” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 4
    “ধারা ৫২” শব্দ ও সংখ্যা “ধারা ৫৪” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    “ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “যে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০ (নব্বই) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    উপ-ধারা (৮) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    “১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “নতুন” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs