তহবিল তছরুপ ইত্যাদির শাস্তি
৮৩৷ (১) ধারা ৪৬ এর অধীন প্রাপ্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদন বা ধারা ৪৯ এর অধীন প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদন বা অবসায়কের কোন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিবন্ধক যদি সন্তুষ্ট হন যে, কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য বা সমিতির কোন সদস্য বা কর্মচারী-
(ক) ইচ্ছাকৃতভাবে এই আইন বা বিধি বা উপ-আইনের বিধান ভঙ্গ করিয়া কোন অর্থ প্রদান করিয়াছেন বা প্রদানের ক্ষমতা অনুমোদন করিয়াছেন;
(খ) ইচ্ছাকৃতভাবে এমন আদেশ প্রদান করিয়াছেন যাহার ফলে সমিতির কোন ক্ষতি হইয়াছে;
(গ) ইচ্ছাকৃতভাবে সমিতির কোন অর্থ হিসাব বহিতে অন্তর্ভুক্ত করেন নাই; বা
(ঘ) সমিতির অর্থ আত্মসাত্ করিয়াছেন বা প্রতারণামূলকভাবে সমিতির কোন সম্পত্তি আটকাইয়া রাখিয়াছেন;
তাহা হইলে নিবন্ধক বিষয়গুলি সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট সদস্য বা কর্মচারীকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে শুনানীর সুযোগ দিবেন এবং পরিস্থিতি অনুসারে যথাযথ মনে করিলে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ত্রুটি সংশোধন বা আত্মসাত্কৃত অর্থ বা সম্পদ সমিতিকে ফেরত বা উক্ত সদস্যের আদেশ বা কর্মকাণ্ডের ফলে উদ্ভুত ক্ষতিজনিত ক্ষতিপূরণ [১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে] প্রদানের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সদস্য বা কর্মচারী বাধ্য থাকিবেন, এবং উহা পালনে ব্যর্থতা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক [৭ (সাত) বৎসর] কারাদণ্ড বা আত্মসাত্কৃত অর্থের বা, ক্ষেত্রমত, ক্ষতিসাধিত সম্পদের মূল্যের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷