পঞ্চম অধ্যায়
তদন্ত, তল্লাসী, আটক, বাজেয়াপ্তকরণ, ইত্যাদি
বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি
৩৩৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারকালে আদালত যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, আটককৃত কোন বস্তু ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য তাহা হইলে, আদালত অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, বস্তুটি বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ দিতে পারিবেন৷
(২) যেই ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া যায় না, সেই ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানের পূর্বে তত্বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারী করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারীর তারিখ হইতে অন্যুন পনের দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে-
(ক) আদেশটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে ডেপুটি কমিশনারের নিকট; এবং
(খ) আদেশটি ডেপুটি কমিশনার বা তত্কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে সরকারের নিকট-
আপীল করিতে পারিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷